পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छैश्रृंजथ७ SS স্টেশনে নেমে ছ মাইল। চলো, পূজোর ছুটিটা তবুও কলকাতার বাইরে—আর সে বেশ জায়গা, ছেলেছোকরাদের জল মিলে রাস্ত করেচে, ঘাট করেচে, জঙ্গল কেটেচে । একটা পুরনো শিবমন্দির আছে নাকি অনেককালের । তাহলে কাল সকাল সাতটায় শেয়ালদ” থেকে দত্তপুকুর লোক্যাল ছাড়বে—ওতেই চলে যাওয়া যাক। দেখবার মত জায়গা । শন্তু ডাক্তার উৎসাহের সঙ্গে বল্পেন—বেশ, বেশ, সে বেশ বেড়ানো হবে এখন। চলো তাই, আমি ঠিক সময়ে রেডি হয়ে স্টেশনে হাজির হবে কাল । পরবর্তী তিনদিন দুই বন্ধুর পরম আনন্দে লাঙলপোতায় কাটে । সত্যি বেশ জায়গা। অনেক কিছু দেখবার আছে। একটা পুরনো শিবমন্দির। চৌধুরীদের বড় মজা দীঘি। গায়ের ছেলে-ছোকরাদের নিজেদের তৈরী মেটে রাস্তা। শনিবারে-সোমবারে হাট বলে—বেগুন-কুমড়ো-ঝিঙে রাঙা আলু বিক্রি হয়। রামায়ণ-গান হলো নবমীর রাত্রে । • পরদিন হলো গ্রামের দলের কেষ্ট যাত্র । খাওয়া-দাওয়া কদিন ৰেশ হোল। বষ্ণু সরকার অতিথিবৎসল লোক । খুব খুশি গোপীকৃষ্ণবাবু ও শম্ভু ভাক্তার । নস্থমামা ও আমি ছেলেমান্নুষ তখন আমি । আট বছর বয়স । দিদিমা বলতেন, তোর বিয়ে দেব ওই অতুলের সঙ্গে । মামার বাড়ীতে মাস্থ্য, বাবা ছিলেন ঘর-জামাই—এসব কথা অবিপ্তি আরও বড় হলে বুঝেছিলাম । অতুল আমার দিদিমার সইয়ের ছেলে, কোথায় পড়ে, বেশ লম্বামত আধফর্স গোছের ছেলেটা। আমাদের রান্নাঘরে বসে দিদিমার সঙ্গে আড্ডা দিত। অতুলকে আমার পছন্দ হতো না, কেমনধারা যেন কথাবার্তা । আমায় বলতো—এই পাটী, যা—এখানে কি ? ঐ দিকে গিয়ে খেলা করগে যা— কখনো বলতো—অমন দুষ্টুমি করবি তো বাশবনে লক্ষ শেয়ালটা আছে তার মূখে ফেলে দিয়ে আসবো বলে দিচ্চি— অতুলকে সবাই বলতে ভাল ছেলে। লেখা-পড়ায় বছর বছর ভালো হয়ে ক্লাসে উঠতো, আমার ছোট মামার সঙ্গে কি সব ইংরিজি-মিংরিজি বলতো—যদি তার কিছু বুঝি । এইসব জন্তেই হয়তো অতুলকে আমার মোটেই ভালো লাগত না । তা সে যতই ভালো হোক, লোকে তাকে যতই ভালো বলুক । 屬 象 ভালো আমার লাগতো মুখুয্যে-বাড়ীর নম্বকে। কি স্বন্দর ফর্স চেহারা, ননী-ননী গড়ন, ভাগর চোখস্থটি, ৰেশ হালি-হাসি মুখখানি। বয়সও অতুল মামার মত অত বেশি নয়,