পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দম্পতি - &b& —এই উত্তর শোনবার জন্যে আজ সকালে তোমার এখানে এসেছিলাম আমি ? মনে বড় কষ্ট দিলে শোভা । আমার বড় অাশা ছিল, তোমাকে আমি পাৰোই। শোভা রাগের স্বরে বলিল—আপনি পাটের ব্যবসা ক'রে এসেছেন, অন্য ব্যবসার কথা আপনি কি বোঝেন যে যা-তা বলতে আসেন ? প্রথম আমি তো ইচ্ছে করলেই যেতে পারি নে—এদের স্টুডিওতে আমার এখনও এক-বছরের কণ্ট ক্টি রয়েছে। তাছাড়া আমি একটা নিশ্চিত জিনিস ছেড়ে অনিশ্চিতের পেছনে ছুটবো, এত বোকা অামায় ঠাউরেচেন ? —আমার কোম্পানি অনিশ্চিত ? —তা না তো কি ? আপনি ও-কাজ বোঝেন না। পরের হাতে খেলতে হৰে আপনাকে । এক ব্যবসায় টাকা রোজগার ক’রে অন্য এক ব্যবসাতে ঢালচেন-কারো সঙ্গে পরামর্শ করেন নি। ওতে আমার যেতে সাহস হয় না—এক কথায় বললাম। —আচ্ছা, আমি যদি তোমার সঙ্গে পরামর্শ করতাম, কি পরামর্শ দিতে ? —সে-কথার দরকার নেই। কারো কথার মধ্যে আমি কখনো থাকি নে গঙ্গাধরবাৰু, আমায় মাপ করবেন । বিশেষ ক'রে এর মধ্যে রেখা, স্বযম রয়েচে–ওরা সকলেই আমার বন্ধুলোক, এক স্টুডিওতে কাজ করেচি অনেক দিন। অঘোরবাবুকে আমি কাকাবাৰু ব’লে ডাকি । উনিও আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র । অতএব আমি এ কথার মধ্যে থাকবে না। —তা হচ্চে না, আমার কথার উত্তর দাও—তুমি কি পরামর্শ দিতে ? শোভা ধমকের স্বরে বলিল—ফের আবার ওই কথা ! ওর উত্তর আমার কাছে নেই। আচ্ছা, আমাকে কেন আপনি এর মধ্যে জড়াতে চান, বলতে পারেন ? আমি কারো কথায় কখনো থাকি নে। তবুও আমি কখনও আপনাকে এ-পরামর্শ দিতাম না। —দিতে না ? —না। ব্যস, আপনি এখন আস্থন। আমি এক্ষুনি উঠবো, অনেক কাজ আছে আমার | গদাধর কিঞ্চিৎ অনিচ্ছাসত্বেও বিদায় লইতে বাধ্য হইলেন। छ्ग्न ইহার দুইদিন পরে ভড়মশায় গদিতে বসিয়া কাজ করিতেছেন, গদাধর বলিলেন—তেরো তারিখে একটা চেক্ ডিউ আছে ভড়মশায়, ছ’হাজার টাকা জমা দিতে হবে ব্যাঙ্কে। ভড়মশায় মনিবের দিকে বিস্ময়ের দৃষ্টিতে চাহিয়া বলিলেন–ছ'হাজার টাকা এই ক’দিনের মধ্যে ? টাকা তো মোকামে আটকে আছে—এখন এত টাকা এই ক'দিনের মধ্যে কোথায় পাওয়া যাবে বাৰু? —তা হবে না ! চেষ্টা দেখুন, পথ হাত ড্রান।