পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cजशांडिब्रिज५ ३४* পুত্রবধু তামাক সেজে দিয়ে গেল? আঃ, কি আরাম। সব আছে তার, অথচ নেই কিছুই । আজ দিনটা একটা চমৎকার দিন। এমন দিন আবার কবে আসবে ! বারমেসে সজনে গাছে ফুল ফুটেছে। ডালপাত নড়ছে বর্ষার সজল বাতাসে ! ঘুমিয়ে পড়লেন উপেন ভটচাজ। উপেন ভটচাজের পুত্রবধুও আপন মনে আজ খুব খুলী । ছন্নছাড়া ভাঙা বৃহৎ বাড়ী আজ যেন কার পাদস্পর্শে লক্ষ্মীর সংসারে পরিণত হয়েছে। দোতলায় শ্বশুরকে তামাক সেজে দিতে যাওয়ার সময় এই কথাই তার মনে হচ্ছিল । তার আছে সবাই। শ্বশুর, স্বামী, পুত্ৰ—যা চায় মেয়েরা, এত বড় বাড়ী, জাজল্যমান সংসার যাকে বলে । ওদের সকলের পাতে পাতে ভাত-মাছ দিয়ে আজ কত মুখ পেয়েছে সে। ওদের খাইয়ে মুখ । ভাবতে ভাবতে সেও ঘুমিয়ে পড়ল । ভবতারণ অন্ত দিন খেয়ে দেয়ে আডড দিতে বেরোয় রায়-পাড়ার হরু রায়ের নাতি অমূল্য রায়ের ওখানে। স্থলপথের যাত্রী দুজনেই । দুপুরের পর ভরা পেটে মৌতাত জমে ভাল । আজ কিন্তু সে বাইরে গেল না। স্ত্রীকে ঘুমুতে দেখে সে মনে মনে ক্রুদ্ধ হল। কেন দুটো গল্প করতে কি হয়েছিল । তারাকে কি সে রোজ রোজ পায় ? কত কষ্টে থাকে এই বাড়ীতে একা । সে নিজে অক্ষম স্বামী, কিছু করবার পথ তার নেই সামনে । সে ভাল হবে ভাবে, ভেবেছে কতবার । কিন্তু তা হবার জো নেই । সে জানে কেন । সঙ্গ বড় খারাপ জিনিস। সে-সব বন্ধুদের সঙ্গ তাকে এইখানে নামিয়েছে । জলপথ ও স্থলপথ, কোন পথ বাকি রাখে নি। আজকের সংকল্প কাল উডে যাবে কপূরের মত। তবুও আজকের দিনটি একটা সুন্দর, জাকালো, শান্ত দিন হয়ে থাক তার জীবনে । তারাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে বললে,—চা আছে ঘরে ? চা করে। বাবাকে দিয়ে এস। আমিও একটু খাই— —না, চা খায় না । নেবু আর মুল দিয়ে চিরে কথ করে দি– স্ত্রী সত্যি তাকে যত্ন করবার চেষ্টা করে । তার অদৃষ্টে নেই, কার কি দোষ ? তারা সত্যি ভাল মেয়ে বডড । এদিকে দিবানিদ্রা ভেঙে উপেন ভটচাজ সবে উঠেছেন, অমনি পুত্রবধু গরম চায়ের মাস নিয়ে এসে তার হাতে দিলে। বিন্ধিত চোখে পুত্রবধুর দিকে চেয়ে বললেন—কি ? চা ? বাড়ীতে ছিল ? * —ছিল । —বেশ, বেশ । পুত্রবধু হাসিমুখে বললে—আর কিছু খাবেন ? —হ্যা, তা—কি খাওয়াবে ? —বেশ দোভাজা করে চিড়ে ভেজে নারকোল-কোরা দিয়ে নিয়ে এসে দেব ? —বেশ। কাচা লংকা আমনি ঐ সঙ্গে একটা এনে। আর শোন, ভবতারণকে আর খোকনকেও দিও। ماد س-دد . f3