পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८जाiडिबैित्रश्न دهانهها —আমার মনভা ভাল বলছে না। সেই থেকে আমিও ঘুমুই নি। আমার কথা শোন, ওখানে ছেলের বিয়ে ভেঙে দ্যাও । —পাগল ! আজই বিয়ে, আজ বিয়ে ভেঙে দেবে ? —খুব দেওয়া যায়। অলুক্ষণে কনে, ঘরে আগুন লাগে ভিটেতে পা দিতে না দিতে ? আমার খোকা বেঁচে থাকুক, তার মুখের দিকে চেয়ে সংসারে সব করতে পারি তো ভারি একটা মেয়ের সঙ্গে সম্বন্ধ ভেঙে দেওয়া যায় না ? কাল রাত্রে যারা যারা নাড়, ভজিতে এসেছিল তাদের মধ্যে অনেকেই একথা বলেছে—দিগম্বর চাটুজ্যের বেী, ন খুড়ি, পাড়ার মঙ্গল ঠাকরুন, কাশী চক্কত্তির শাশুড়ি ; আমাদের মনমতি, ময়না, এরা ছেলেমানুষ এরাও বলছিল । রামচন্দ্র রায় একটুখানি ঘাবড়ে গেলেন। ছেলের শুভ বিবাহের দিনটিতে এসব কি বিভ্ৰাট রে বাবা । বললেন—আচ্ছা, দেখব, সেখানে আগে যাই তো । —ছেলেকে আমি পাঠাব না কিন্তু । —তবে দধিমঙ্গলের শাখ বাজালে কেন ? ওসব লোক-হাসাহাসির মধ্যে আমি নেই । . একটা নিরীহ মেয়ের সৰ্ব্বনাশ করতে আমি পারব না । —সৰ্ব্বনাশ কিসে হল ? —ও কথা বলে না গিন্নি। পরের দুৰ্দ্দিনটা নিজের মত দেখতে শেখে । আজ তার মেয়ের বিয়ে, মেয়েরও দধিমঙ্গলের শাখ বাজল, কত লোক-কুটুম্ব এসেছে তাদের বাড়ী । কি সমাচার, না বর এল না । মেয়ে দো-পড়া হয়ে গেল। কান্নাকাটি উঠল চারিদিকে, রান্নাবান্নার যোগাড় সব নষ্ট । শক্রয়া মুখ টিপে হেসে মুখে আবার গা-ঘেষে দুখু জানাতে এল। কি দিন ভাব দিকি ! ওসব ছেড়ে দ্যাও, পরের মন্দ করতে পারব না ; এতে আমাদের ছেলের খারাপ হবে না গিন্নি, ভাল হবে । তুমি ওর মা, তুমি ভাল মনে ওকে আশীৰ্ব্বাদ কর । তোমার পায়ের ধুলোতে ওর সব মঙ্গল । পরমেশের মা স্বামীকে মানতেন । স্বামীর কথায় নরম হয়ে গেলেন । উনি যখন বলছেন, তখন কোন ভয় নেই। উনি আমার চেয়ে অনেক বোঝেন । যা ভাল বোঝেন করুন। আমি মেয়েমানুষ, কি বুঝি । - তার পর বেলা হল । বরযাত্রী-ভোজনের যজ্ঞি চড়ে গেল। প্রায় ষাট জন বরযাত্রী হবে । তারা খেয়ে দেয়ে সব রওনা হয়ে চলে গেল, কিন্তু রামচন্দ্র রায় গেলেন না । যেতে পারলেন না। সেই পোড়ার ঘায়ে বড় যন্ত্রণা হতে আরম্ভ করল, একটু জর-মত হল দুপুরের দিকে । র্তার ভায়রা ভাইএর হাতে বরকর্তার দায়িত্ব তুলে দিয়ে রামচন্দ্র রায় কথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লেন কোণের ছোট্ট ঘরে । - স্ত্রী সন্ধ্যার পরে ঘরে ঢুকে বললেন—ই্যাগ, ঘুমিয়েছ ? --न । —এ কি হল ? বি, র, ১১—১৭