পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԶgՆ छांबांनंकन-ब्रध्नांबणौ । —কি হল ? —তোমার জর, তুমি খোকার বিয়েতে যেতে পারলে না, এ কি কম কষ্ট আমার । ভেবে দ্যাখ, সেই থোকা আমাদের । আমার মন মোটেই ভাল নিচ্ছে না । চোখের জল ফেলছি নে পাছে খোকার অমঙ্গল হয়। কি অলুকুণে বোঁ আসছে সংসারে যে গাছে না উঠতেই এক কাদি ! —গিন্নি, আবার সেই কথা ? জর মানুষের হয় না ? জর হয়েছে বলে°একজন নিরীহ মেয়ের উপর রাগ কর কেন, তাকে অলুক্ষণে বলই বা কেন ? তার কি দোষ ? —কি খাবে রাত্তিরি? ও বেলা এত যজ্ঞি, তুমি কিছু মুখে দিলে না— —একটু সাবু করে দিও। আর, কিছু ভেব না, ভগবানের নাম নিয়ে গিয়ে তয়ে থাক । যে আসছে, তাকে তুমি আশীৰ্ব্বাদ কর মন খুলে । সেই নতুন বোঁ নিয়ে পরমেশ এখুনি বাড়ী আসছে। কেন না দূরে ঢোলের শক পাওয়া গেল। গরিবের ঘরের ঠাট বাট, আত্মীয় কুটুম্বিনীরা চঞ্চল হয়ে উঠেছেন, শাক নিয়ে দোরের বাইরে রাস্তার কাছে এসে দাড়িয়েছেন । পরমেশের মা এগিয়ে গিয়ে দাড়ালেন, চোখে তার ঔৎসুক্য, মুখে অনিশ্চয়তার হাসি । রাস্তার মোড়ে বরকনের পালকি দেখা গেল । পেছনে বাজনাদার ভক্ত মুচি ও তার দল। পালকির এ পাশে গোপেশ্বর চক্কত্তি, পাত্রের বড় মেসে । সকলেই এগিয়ে গেল । কে একজন চেচিয়ে বললে--দুধ-আলতার খোরা ঠিক কর আগে। গ্রাম্য বেী-ঝিরা ঘিরে দাড়াল। পো পো শাখ বেজে উঠল। স্বগঠিত-দেহ যুবক পরমেশ রায় পালকি থেকে নেমে মার পায়ে উপুড় হয়ে প্রণাম করলে। মা গিয়ে নববধূকে কোলে করে পালকি থেকে নামালেন । তার পর কৌতুহলচঞ্চল হাতে বধুর ঘোমটা খুলে মুখ দেখলেন, হাতে দিলেন দুগাছা সোনার বালা। তার শাশুড়ি, রামচন্দ্র রায়ের স্বর্গগত মাতৃদেবী একদিন এই বালা জোড়া দিয়ে তার মুখ দেখেছিলেন এই ভিটেতে পা দেওয়ার দিনে । 曾 পুত্রবধুর মুখ দেখে খুশী হলেন পরমেশের মা। কাটালতলায় বরণের পিড়ি পাতা ছিল, পুত্র ও পুত্রবধূকে আশীৰ্ব্বাদ করে ঘরে তুললেন। বঁাশবনের মধ্যে বাড়ী । অনেক রাত্রে লক্ষ্মী-পেচা ডাকছে বাশবনের মাথায়। ঝি কি ডাকছে বনে। বন্ধু ৰুি একটা ডাকে ভয় পেয়ে ঘুমের ঘোরে শয্যা-সঙ্গিনী ছোট ননদ হৈমবতীকে জড়িয়ে ধরলে । —ওকি বৌদ্ধি, ভয় কি ? ও শেয়াল ডাকছে। নববন্ধু ঘুম ভেঙে হেসে ননদের মুখের দিকে ডাগর ডাগর চোখ মেলে চাইলে। কানের মাকড়ি দুটো ঠিক করে নিলে। হৈমবতী হেসে বললে—রও একটা দিন। কালই তো