পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৪৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कूनंण श्रांझाएँौ see ওদের বাড়ীম্বর গ্রামের হরিনাথ চৌধুরী মহাশয় নিজের জমির অন্তভূক্ত করে নিয়ে সেখানে তরিতরকারীর বাগান করেছিলেন। অবাই দাসের স্ত্রী যখন এ গ্রাম ছেড়ে চলে যায়, তখন অশ্বিনীর বয়স হবে আট বছর। আমার সঙ্গে ওর বড় ভাব ছিল । অশ্বিনী সকালে এসে আমাদের বাড়ীর ডোবাতে কঞ্চির ছিপ ফেলে বসতো বর্ষার দিনে । আমরা জিগ্যেস করলে বলতো উন্ধো মাছ ধরচে । কিন্তু সবাই জানি ও ডোবাটায় মাছের চিহ্নও নেই আর আশ্বিনীর ছিপেও না আছে সত্যিকারের স্বতো, না আছে সত্যিকার বড়শি । তারপর ষোল-সতেরো বছর চলে গিয়েচে । অশ্বিনীকে ভুলে গিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে আমার বাবা মারা গিয়েছিলেন । আমরা দু’ভাই পয়সা ওড়াতে লাগলাম, জমিজমা বিক্রি করে ফুৰ্ত্তি করতে লাগলাম। সেও আজ সাত বছর আগেকার কথা হবে—যে সময়ের কথা বলচি তখন বাবার তিনটি গোলা শূন্ত করে ফেলেচি, অৰ্দ্ধেক ব্রহ্মোত্তর সম্পত্তি মৌরুসি দিয়েচি বা বিক্রি করেচি, মায়ের গহনাগাটি প্রায় সব বন্ধক পড়েচে । স্বতরাং আমাদের ফুষ্ঠির সমুদ্রে কিছু উটি পড়ে এসেচে । খামচাদগঞ্জে গিয়েছিলাম ফুৰ্ত্তির সন্ধানে। খুব জাকের বারোয়ারি হয় শুমৰ্চাদগছে । অনেক রকম ফুষ্ঠির সন্ধান এখানে পাওয়া যাবে শুধু এই আশাতেই গিয়েছিলাম সেখানে। আমি একাই গিয়েছিলাম, দাদা আসেনি। কলাই বুনবার জন্য বাড়ীতেই আছে। হঠাৎ অশ্বিনীকে এতদিন পরে দেখে ভারি অবাক হয়ে গেলাম। অশ্বিনী আমাকে বরে —চিনতে পারেন বাৰু? —ছ ! তুই তো অশ্বিনী, অবাই দাসের ছেলে। . —ঠিক চিনেচেন। এখানে কি মনে করে ? —যাত্রা শুনতে । —যাত্রা শুনবেন ? কিসে এলেন ? —তুই আপনি-আজ্ঞে করে কথা বলচিস কেন অশ্বিনী ? ভুলে গেলি নাকি আমাকে ? —না বাৰু, এতকাল পরে দেখা। এখন আপনারা বড় হয়ে গিয়েচেন, এখন কি আর ছেলেবেলার মত কথাবার্তা আপনার সঙ্গে শোভা পায় ? এখন আর সেটা ভাল দেখায় না। কি করছেন আজকাল ? —বাড়ীতেই থাকি । e - —ত আপনাদের ভাবনা কি। জমিদার মানুষ । কাকা বেঁচে আছেন ? —না। বাবা আজ আট ম’বছর মারা গিয়েচেন । আমাকে দাড় করিয়ে অশ্বিনী কোথায় চলে গেল। অল্পক্ষণ পরে এসে বল্পে—চলে আন্ধন জামার সঙ্গে । —ও কি ? মদ ? —ভাল জিনিস, আম্বন । জানি বিজয়ের স্বরে বল্লাম—ষ্ট্যারে, লে কি ! তুই জবাই দাস বোর্টমের ছেলে, তোর