পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२tr बेिङ्कडि-ब्रध्नांबजौ সনাতনদা খুব দ্রমে গেল, কিন্তু সেটা চাপবার চেষ্টায় সহাস্ত স্বরে বললে—হয়েচে, নাওঁ নাও । লেকচার রাখে, একটু চা করতে বলে দাও দিকি বৌমাকে। মঙ্গলগঞ্জ ডিসপেনসারির কাজ সেরে বার হয়েচি সেদিন, সকাল সকাল বাড়ী ফিরবো, নেীকো বাধা রয়েচে বাজারের ঘাটে, এমন সময় ভূষণ দা এসে বললে—আজ র্যাবেন না ডাক্তারবাবু, আজ যে ঝুলনের বারোয়ারি— —কখন ? g —একটু অপেক্ষা করতে হবে, সন্দের পর আলো জেলেই আসর লাগিয়ে দেবো । —যাত্রা ? —না ডাক্তারবাবু, আজ খেমটা । ভালো দল এসেচে একটি। কেট্রনগরের। অনেক কষ্টে স্বপারিশ ধরে তবে বায়না বাধা । আমার তত থাকবার ইচ্ছা নেই। খেমটা নাচ দেখবার আমি পক্ষপাতী নই, তবুও ভাবলাম এ সব অজ পাড়াগায়ে আমোদ-প্রমোদের তেমন কিছু ব্যবস্থা নেই, আজ বরং একটু থেকে দেখেই যাই । অনেকদিন কোন কিছু দেখি নি। একঘেয়ে ভাবে ডাক্তারিই করে চলচি । এ সব জায়গায় খেমটা নাচওয়ালীদের বিশেষ খাতির, সেটা আমি জানি। বাজার স্বদ্ধ মাতব্বর লোকেরা স্টেশনে যায় খেমটার দলের অভ্যর্থনা করতে। ওদের বিশ্বাস, খেমটাওয়ালীরা সবাই স্বশিক্ষিতা ভদ্র ও শহুরে মেয়ে, তারা এ পড়িাগায়ে এসে কোনরকম দোষ 'ন ধরে, অাদর যত্ন ও ভদ্রতার কোন খুঁত না বের করে ফেলে। ভূষণ দা সব সময় হাত জোড় করে ওদের সামনে ঘুরচে, কখন কি দরকার হয় বলা তো যায় না ! শ্ৰীশ দার আড়তে খেমটার দলের জায়গা দেওয়া হয়েচে—এ গ্রামের মধ্যে ঐটিই সব চেয়ে বড় আর खांल वांएँौ । সনাতনদা এলে আজ বেশ হোত। অনেকক্ষণ বসে থাকতে হবে, গল্প-গুজব করবার লোক থাকলে আনন্দে কাটে। বর্ষাকাল হলেও আজ ছুদিন বৃষ্টি নেই। মঙ্গলগঞ্জের ঘাটের উপরেই একটা কদম গাছে থোকা থোকা কদম ফুল ফুটেচে। সজল মিঠে বাতাস, এখানে বৃষ্টি না হলেও অন্য কোথাও বৃষ্টি হয়েচে । নেপাল প্রামাণিকের তামাকের দোকান বাজারের ঘাটের কাছেই। আমাকে একা বলে থাকতে দেখে সে এল। বললাম—নেপাল, একটু চা খাওয়ার বন্দোবস্ত করতে পারো ? নেপাল তটস্থ হয়ে পড়লো –হঁ্যা, হ্যা, এখুনি ক’রে নিয়ে আসছি দোকান থেকে। আমি বললাম—খেমটা আরম্ভ হতে কত দেরি ? —সন্ধের পর হবে ডাক্তারবাৰু। কিছু খাওয়ার ব্যবস্থা করবো ? —ন, মা, শুধু চা করে। আমার এখানেই হবে, স্টোভ আছে, সব আছে, কেবল দুখ নেই।