পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अटेश अण wo —মস্ত বাড়ী আমড়াতলা লেনের মুখেই। টাকায় ছাত পড়ে যাচ্চে, যাকে বলে বড়লোক— —'s —সেবার আমাকে অন্নপ্রাশনের নেমস্তন্ন করলে । তা ভাবলাম, অত বড়লোক, কি দিয়ে মুখ দেখি ? একটা সোনার কাজললতা গড়িয়ে নিলাম রাধাবাজারে কুণ্ডু কোম্পানীর দোকান থেকে। আর খাওয়ানে কি ! এ সব পাড়াগায়ে শুধু কচুধে চু খেয়ে মরে। দেখে আমুক গিয়ে কলকাতায় বড়লোকের বাড়ী— —ঠক তো । আবদুল হামিদ এতক্ষণ নিজের কথা বলতে পায় নি। এবার সে র্যাক বুঝে বললে— তা ঠিক, দা মশায় যা বলেচেন । সেবার আমার ইউনিয়নের সাতটা টিউবওয়েল বসাবো। বড়বাৰু নিজে থেকে টিউবওয়েলের স্তাঙ্কসন করিয়ে দিলেন। গ্যালাম নিজে কলকেতায়। বলি, নিজে নিয়ে এলে দুপয়সা সস্তা হবে । নিজের ইউনিয়নের কাজ নিজের বাড়ীর মত দেখতে হবে। নইলে এত ভোট এবার আমাদের দেবে কেন ? সবাই বলে, চৌধুরী সাহেব আমাদের বাপ-x]। তারপর হোল কি— রামহরি সরকার বড় অসহিষ্ণুভাবে বললে, ভোটের কথা যদি ওঠালেন, চৌধুরী সাহেব, এবার ছ নম্বর ইউনিয়ন থেকে আমার ভোট যা হয়েচে–ফলেয়ার হারান তরফদার দাড়িয়েছিল কি-না—ফলেয়ার যত ভোট সব তার—তা, ভাবলাম, এবার আর হোল না বুঝি। কিন্তু গাজিপুর, মঙ্গলগঞ্জ, আর নেউলে-বিষ্ণুপুর এই ক’থান গায়ের একজন লোকও ভোট দিয়েছিল হারান তরফদারকে ? গোবিন্দ দা’র ভাল লাগছিল না । কি পাড়াগায়ের ভোটাভুটির কাও সে এখানে বসে শুনবে ? ছো, কলকাতায় কর্পোরেশনের কোনো ধারণাই নেই এদের । সেবার—। গোবিদ । গল্পটা ফেঁদেছিল সবে, এমন সময় সেই অল্পবয়সী নর্তকীটি ঘুরতে ঘুরতে আবার আমাদের কাছে এল । এবার সত্যিই বুঝলাম, সে আমার মুখের দিকে বার বার চাইচে, চাইচে আর চোখ ফিরিয়ে নিচে । সে এক পরম স্থঐ ভঙ্গি । অথচ আমি প্যাল দিচ্চি না আর। আবদুল হামিদ এর মধ্যে দুবার টাকা দিয়েচে। হঠাৎ আমার মনে হ’ল, সেই জন্তেই বা মেয়েটি বার বার আমার কাছে আসচে। আচ্ছা এবারটা দেখি । এক পয়সা প্যাল দেবো না । এবার রামহরি সরকার ও গোবিন্দ দা এক সঙ্গে প্যাল দিলে। আমি জানি এসব পল্লীগ্রামের খেমটা বা ঢপকীৰ্ত্তনের আসরে, প্যাল দেওয়ার দস্তুরমত প্রতিযোগিতা চলে গ্রাম্য বিশিষ্ট লোকদের মধ্যে। অমুক এত দিয়েচে, আমিই বা কম কিসে, আমি কেন দেবো না—এই হোল আসল ভাব। কে কেমন দরের লোক এই থেকেই নির্দিষ্ট হয়ে যায়। আমি সবই জানি, কিন্তু চুপ করে রইলাম। এর কারণ আছে। আমি একটা পরীক্ষা করতে চাই