পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अर्टेथ छण כש দেখে বেড়াই, সনাতনদা’র সঙ্গে গ্রাম্য-দলাদলির গল্প করি, একে ওকে সামাজিক শাসন করি, আর এই প্রলোদ সাধুর্থী, নেপাল প্রামাণিক, ভূষণ দায়ের মত লোকের প্রশংসা কুড়িয়ে বেড়াই। আমি হঠাৎ এ কি পেয়ে গেলাম ? কোন অমৃতের সন্ধান পেলাম আজ এই খেমটা নাচের আসরে এসে ? আমার মাথা সত্যিই ঘূরচে। উগ্ৰ মদের নেশার মত নেশা লেগেচে যেন হঠাৎ । কি সে নেশার ঘোর, জীবনভোর এর মধ্যে ডুবে থাকলেও কখনো অমুশোচনা আসবে না আমার । নেপাল প্রামাণিক বললে—তাহোলে আমি বাড়ী থেকে দুধ নিয়ে আসি । ক’পেয়াল চা হবে ? আমি সবিস্ময়ে বললাম—কিসের চা ? —এই যে বললেন আপনার ডাক্তারখানায় চা হবে । —ও ! দুধ ? —হঁ্যl, দুধ না হোলে চা হবে কিসে ! আবদুল হামিদ মন্তব্য করলে—ডাক্তারবাবুর এখন উঠবার ইচ্ছে নেই। আমার বড় লজ্জা হোল। ও বোধ হয় বুঝতে পেরেচে আমার মনের অবস্থা ও কি কিছু লক্ষ্য করেচে ? আমি বললাম—চলো চলে, চ খেয়ে আসা যাক। ততক্ষণ নেপাল দুধ নিয়ে আমুক । আধঘণ্টা পরে আমার ডাক্তারখানায় বসে সবাই চা খাচ্চি, গোবিন্দ দা বলে উঠলো— ছোট ছুড়িটা বেশ দেখতে কিন্তু । না ? আবদুল হামিদ ওর মুখের কথা লুফে নিয়ে অমনি বললে—আমিও তাই বলতে যাচ্ছি— বডড চমৎকার দেখতে। ডাক্তারবাবু কি বলেন ? —কে ? হ্যা—মন্দ নয় । গোবিন্দ দ। বললে—মন্দ নয় কেন ? বেশ ভালো । আমি বললাম—তা হবে । 翻 আবদুল হামিদ বললে –ছুড়িটার বয়স কত হবে আন্দাজ ? গোবিন্দ দা বললে—তা বেশি নয়। অল্প বয়েস। —কত ? —পনেরো কিংবা ষোল । দেখলেই বোঝা যায় তো— আবদুল হামিদ সশব্দে হেসে বলে উঠলো—হঁ্যা, ওসব যথেষ্টই ঘেটেচেন আমাদের দ। মশায়। ওঁর কাছে আর আমাদের— ওদের কথাবার্তা আমার ভাল লাগছিল না। ওদের এখান থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাবার জন্তেই বললাম—চলে। চা খাইগে। রাত হয়ে যাচ্চে। আমি এখান থেকে অনেক দূর চলে যেতে চাই ওদের সঙ্গ ছেড়ে । ওরা যে মেয়েটির দিকে বার বার চাইবে, এও আমার অসহ