পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড).djvu/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ांड्यू Goo ৰসে লোকটা কি একটা আগুনের ওপয় ধরে নাড়ুছে চাড়ছে। বেশ বড় ও কালে মত একটা কি ? কি এটা ? আলো-অপারে সে জিনিসটা দেখাচ্ছে যেন একটা কালো কাপড়ের বাণ্ডিলের মত। আমাদের সকলেরই দৃষ্টি সেই দিকে। কি জিনিস ওটা ? হঠাৎ অ্যামি চমকে উঠলাম। সেই কালো বাণ্ডিলের মত জিনিসটা থেকে যেন একটা ছোট হাত ঝুলে পড়ল। সঙ্গে সঙ্গে সতীশ মহারাজ ও ধীয়েল একসঙ্গে বলে উঠল-ইথারে, ও তো একটা ছোট ছেলে। আমরা তখন ভয়ে বিস্ময়ে অবাক হয়ে সেখানে দাড়িয়ে গেলাম। অদূরে সেই অতি DD DDuuDB LBuBDB BDBB DD LBLB S BDu DBK DD B ত্রিপুণ্ডক ওয়া কপালে, দীর্ঘ জটাজুট, এতখানি লম্বা দাড়ি পড়েছে বুকের ওপর। লোকটা সামনের অগ্নিকুণ্ডের ওপর একটা ছোট ছেলেকে দুহাতে ধরে ঝলসাপোড়া করছে। বাতাসে মড়াপোড়ার বিকট দুৰ্গন্ধ । আমরা কেউ এগোতে সাহুল করলাম না। কারও মুখে কথাটি নেই। এই গভীর রাত্রি, নির্জন পাহাড়-জঙ্গল, কোথাও লোকালয় নেই কাছে। সম্মুখে এই নৱ-রাক্ষস। কেমন একপ্রকার মাতঙ্কে আমরা সবাই মোহগ্ৰস্ত করে চুপ করে আছি, এক পাও কেউ veCsi af লোকটা আমাদের দেখলে কট্‌মট চোখে। তার পর যেন বিরক্তমুখে সেই আধঝলসানো ছেলেটাকে কঁধে ফেলে নিলে আমাদের চোখের সামনে, ঠিক যেমন লোকে গামছা কঁধে ফেলে সেই ভজিতে। তারপর ধীর গম্ভীর পদবিক্ষেপে অন্ধকারে বনের ৪পারে অদৃশ্য হয়ে গেল। সতীশ গিরির মুখ দিয়ে শুধু বেরিয়ে গেল একটা কথা-ছেলে ধৰা। রামতারণ চাটুজ্যে, অথর পনেরো-ষোল বছর আগেকার কথা। পটলডাঙা স্ট্রীটে এক বেঞ্চিপাতা চায়ের দোকানে রামতারুণবাবুর সঙ্গে আমার আলাপ শুরু হয়। এক পয়লা দামের এক পেয়ালা চা ; গোলদিঘি বেড়িয়ে এসে সন্তায় চা-পান সাৱতে দোকানটাতে ঢুকলাম। আমার দরের আরও পাঁচ-ছটা খরিদ্ধাৱ অত সকালেও সেখাংশ জমায়েত হত এক পয়সায় এক পেয়ালা চা খেতে। এই দলের মধ্যে অনেকেই ১৫২নং মোস-বাড়ীর অধিবাসী ; একমাত্র রামতারুণবাবুই ছিলেন গৃহস্থ লোক, যিনি তাড়াটে বাড়ীতে বাস করেন, মেসে নয়। সেইজয়েই তার সঙ্গে আলাপের প্রবৃত্তিটা আমার হয়তো অত বেশি ছিল। তখন থাকি মেলে, গৃহস্থৰাড়ীর মধ্যে একটা নতুন জগৎ দেখতাম ।