পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড).djvu/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مه/و জ্যোৎস্নায় দশদিক আলো হয়ে রয়েছে। বিভূভিন্ন চোখে ঘুম নেই। তিনি জানালার বাইরে অপালক দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন। ঘন্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়। অনেক রাত্রে হঠাৎ এক সময় বিভূতির অপূর্ব এক উপলব্ধি হয়। রূপসীর অবগুণ্ঠন খুলে যায়। উন্মোচিত হয় তঁর নয়নে বিশ্ব-প্ৰকৃতির গোপনতম রহস্য। এমন প্রকৃতি-পাগল সাহিত্যিক বাংলা সাহিত্যে বিরল। প্ৰকৃতিকে চোখে দেখে ভালো লীগে না কাৱ ? কিন্তু তাকে ভালোবোলে তায় গভীরে অবগাহন করা অঙ্গ জিনিশ। বিভূতিকে সেইজন্থে বছরে কয়েক মাস অরণ্যবাস করতে হতো। আর কয়েক মাস পল্লীর কোলে কাটাতে হতো। ইছামতী নদীর কুলে। তাঁর জীবনের যুগল মেরু ছিল অরণ্য ও পল্পী। কলকাতাকে বলা যেতে পারত বিষুবরেখা। সেই পথ দিয়ে তার উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ন । শহরে থাকলেও তিনি শহুরে ছিলেন না। কোনোদিন হতে চাননি । নাগরিক সভ্যতা তাকে বশ করতে পারেনি। তঁর পোশাকে আশাকে নাগরিকতার লেশ ছিল না। বৈঠকখানায় তিনি বেমানান। চিড়িয়াখানার যেমন চিড়িয়া । “সিঁদুরুচরণ” বলে তার সেই প্রখ্যাত গল্পটি আমার মনে আছে। সেটি বোধহয় তঁরই sE D SL uDLD gD STBi SL KYL BD DBBK KK BB KDY কর্ম নয়। বিভূতির অনেকগুলি গল্পই দেখতে সহজ, কিন্তু আসলে কঠিন। ইংরেজীতে BDBDB BB gDBB D DBDB BBDD DBB DD DBBBDD BDDB DDBDDLDS অনাবশ্রুক খুঁটিনাটি বর্জন করেছেন। কিন্তু উপন্যাসের বেলা সেই তীর্থে তিনি পৌঁছেছিলেন কি ? এর উত্তর আমি নিজে দিতে পায়ছিনে। ভাৰীকাল দেবে। তঁর শেষ উপন্যাস এক প্রকার কামনাপূরণ। বহুকালের কামনা জীবনে ও শিল্পে পরিপূর্ণ হয়। বৃদ্ধ বয়সে সংসার প্রবেশ ও পুত্ৰলাভ। সে এক পরম উপলব্ধি। সাহিত্যে তাকে তিনি পাকা ফসলের মতো গোলার তুলে রেখেছেন । তা ছাড়া ইছামতী নদীকে নিয়ে এপিক উপন্থাস লেখা তার সারাজীবনের সাধ । নদী এখানে জীবনপ্রবাহের প্রতীক। কালপ্রবাহের প্রতীক । তিনি তার শরিক আর সাক্ষী। ভবানী বাড়ুৰ্য্যের পারমাধিক জীবন বিভূতি ধাড়ায্যেরও। তা ছাড়া ‘ইছামতী’ আর-একখানি ‘নীলদর্পণ”। এর সাহেব চরিত্রগুলিও দরদের সঙ্গে আঁকা । বিভূতিভূষণের সঙ্গে আমার একটি আত্মিক সম্পর্ক ছিল। তাঁর সঙ্গ সেইজন্তু আমার এত ভালো লাগত। তার লেখাও সেই কারণে আমার এত ভাল লাগে। সেই আত্মিক সম্পর্ক এখনো রয়েছে। তঁর মুখ মনে পড়লে আমার আত্মা প্ৰসন্ন হয়। অন্নদাশঙ্কর রাস্তু