পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᏬᏜᏬ বিভূতি-রচনাবলী —কলকাতায় বুঝি থাকেন আপনি ? —সেখানে ছিলাম কিছুদিন। ঢাকাতেও ছিলাম—আরও অনেক জায়গার ছিলাম। এখানকার কাজ সেরে রেজুন যাবার ইচ্ছে আছে। আপার বর্মী অঞ্চলে একবার ঘুরে প্রসপেকটিং করবো। যেতম এতদিন, শুধু আমার এই শরীরের জন্তে— —আপনার কি অমুখ ? —হজম হয় না যা খাই। তবু তো আগরতলা এসে অনেক ভালো আছি। দেখেচেন তো কত লেবু খাই, সারাদিনে পনেরো কুড়িটা কাগজি লেবু না খেলে আমার শরীর ভালো থাকে না ! —আপনার দেশ বুঝি কলকাতায় ? এ প্রশ্নটি করার উদ্দেশ্য ছিল তার বাড়ি ও আত্মীয়স্বজনের সম্বন্ধে কিছু জানা যায় কিনা। কিন্তু তিনি আমার অযথা কৌতুহলকে তেমন প্রশ্রয় দিলেন না বলেই মনে হল । অন্ত কথা পাড়লেন, আবার সেই ভূতত্ত্ব সংক্রান্ত তথ্য। ধীরভাবে কিছুক্ষণ র্তার বক্তৃতা শুনবার পরে গেস্ট হাউসের ভূত্য নৈশ আহারের জন্তে ডাক দিয়ে আমার সে-যাত্রা উদ্ধার করলে । খেতে গেলে চাকর আমায় বললে, বাবু, আপনি সাহেবের খবর কি জিজ্ঞেস করছিলেন। উনি এখানে অনেকদিন আছেন, আমরা ওঁর টিকিট বদলে আনি আপিস থেকে । তিনদিন থাকবার পরে টিকিট না বদলালে এখানে থাকতে দেবার নিয়ম নেই। একটা কথা বলচি বাবু, উনি এতদিন আছেন, কখনও কোনো চিঠি আসেনি ওঁর নামে ! কেউ নেই বাবু, থাকলে আর চিঠি দেয় না ! আমি ধমক দিয়ে চাকরটাকে চুপ করাপুম। তার অত কথার দরকার কি। একদিন দেখি ভদ্রলোক গোটের ফাউস্ট-এর ইংরেজি অনুবাদ পড়ছেন। আমার ডেকে দু-এক জায়গা শোনালেন, গোটে সম্বন্ধে অনেক কথা বললেন। বায়রন যখন যুবক, গ্যেটে তখন বৃদ্ধ, বায়রনের মতো মুশ্ৰী তরুণ কবিও প্রেমিক গ্যেটের মনে কি রেখাপাত করেছিলেন প্রধানত সেই সম্বন্ধে অনেক কথা বললেন । এই বইখানা তার অত্যন্ত প্রিয়, বহুবার পড়েচেন । সর্বদা সঙ্গে রাখেন । আমি তার টেবিলে ‘ফাউস্ট-খান পড়ে থাকতে দেখলুম বিকেলেও, তখন তিনি বেরিয়ে গিয়েচেন । বই দেখে মনে হয় ভদ্রলোকের অবস্থা ভালো নয়। বইয়ের পাতাগুলো ময়লা, বাধুনি আলগী, এত প্রিয় বই অথচ এমন অযত্নে রেখেছেন কেন ? হাতে পয়সা থাকলে কি আর বই বাধীতেন না ? বড় দরের কবিকে ভালোবাসে, এমন লোক দুজন দেখলুম আমার ভ্রমণের মধ্যে, বরিশালের সেই শেক্সপিয়ারের ভক্ত ভদ্রলোক, আর ইনি। কিন্তু দুজনের মধ্যে একটা বড় তফাত রয়েছে, বরিশালের সে ভজলোকের অবস্থা সচ্ছল, এমন কি তাকে ছোটখাটো जभिनाइ बना ध्रण, क्च् ि३नि थक्वांप्ब निम्नरण। चषक कि चाडूङ कांशबिश्छा ! वङ