পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ժօ পৰিচয় তীর সমস্ত গ্রন্থাবলীর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ছড়িয়ে আছে। অপুৎ প্রকৃতিপ্রেমিক —বিশ্ব-প্রকৃতির বৈচিত্র্যময় সৌন্দৰ তাকে মুণ্ড করে, অভিভূত করে। কিন্তু তার সঙ্গে নিশ্চিঙ্গিBBB BB BBB BB BBDDDtt BuBBBB BB BBBB BBBB BBB BDD নয়। এ সম্পর্ক একীভূ-ভাবে ব্যক্তিগত সম্পর্ক-জননী ও সন্তানের সম্পর্কের মত, প্রেমিক ও -A -_ _ _%% வி শ্লেষিকার সম্পর্বের भउ ctvन ७ अक्षुम्नछ। সম্পর্ক—mystic, esoteric नन्थ्र्क। जब यांश অপুর ভালো লাগে না । ষে মনসাপোতায় জীবনের এতগুলি বিষয় মধুর দিন সে কাটিয়ে গেল সেই মনসাপোতাকেও সে ভালোবাসতে পারে নি কোনদিন : 'অপুর কেমন মনে হয় নিশ্চিন্ধিপুরের সে অপূর্ব মায়ারূপ এখানকার কিছুতেই নাই। —অপুর মনের ভিতরকার শিশুটির পক্ষে ভাই নিশ্চিঙ্গিপুরকে ভোলা অসম্ভব। সাবালক অপু ও নাবালক অপুর সহাবস্থানজনিত এই সমস্ত পথের পাঁচালী-তে ছিল না ; এবং এই সহাবস্থানের ফলেই ‘অপরাজিত’-র অপু অনেক বেশি জটিলতর চরিত্রে পরিণত হয়েছে। এই জটিলতাই তার অসাধারণত্ব —অপু মাঝে মাঝে কেমন খাপছাড়া কথা বলে বসে, অসঙ্গত আচরণ করে বসে ; তার অনেক প্রত্যাশা অমুচিত বলে মনে হয়, অনেক স্বপ্নকল্পনা নিতান্ত অবিবেচন-প্রস্থত বলে মনে হয়। এ সবই তার মধ্যেকার দুই অপুর সংঘর্ষমুহূর্তগুলি থেকে উদ্ভূত। আপাতদৃষ্টিতে তাদের যতই অসঙ্গত বলে মনে হোক না কেন, তাদের মধ্যে কোন মনস্তাত্ত্বিক বা শৈল্পিক অসঙ্গতি নেই। অপু স্বভাবতই ভাবপ্রবণ ও কল্পন-বিলাসী, অর্থাৎ অপু কবি। কিন্তু এখানে মনে রাখা প্রয়োজন যে সাবালক অপু ও নাবালক অপু দুইজনই কবি, অথচ তাদের কাব্যক্ষেত্র এক নয়। একজন মাধুর্যের কবি, অপরজন ঔদার্য ও ব্যাপ্তির কবি ; একজন ক্ষুদ্র বালুকণার মধ্যে বিশ্বরূপ দৰ্শন করে, অপরজন সমগ্র ব্ৰহ্মাওকে হস্তামলকে পরিণত করতে চায় ; একজনের কাব্য বৈষ্ণবের গান, অপরজনের কাব্য উপনিষদের উদাত্ত সঙ্গীত –এই পার্থক্যটুকুর কথা বদি সব সময় মনে না রাখা যায় তাহলে অপুর কাব্যস্থভূতির বিবৃতিগুলিকে হয়তো অনেক ক্ষেত্রে অসংলগ্ন, অসংবদ্ধ, ও তাৎপর্যহীন বলে মনে হতে পারে। নাবালক অপু নিশ্চিম্বিপুরকে শুধু গাছপালা নদী-মাটি আকাশ-প্রান্তরের মধ্যে পায় নি, কয়েকটি নারীর মধ্যেও পেয়েছে। অতি শৈশবে পেরেছিল দিদি দুর্গার সম্বেই সাহচর্ষের মধ্যে। পরবর্তী জীবনে দুর্গারস্থতিছবিটিকে সে কখনও নিশ্চিন্দিপুরের ক্রেম থেকে পৃথক করে দেখতে পারে নি—দেখা যে সম্ভব তাও কখনও তার মনে হয় নি –বাল্যে ও কৈশোরে মাতা সর্বজয়ার অঞ্চলের ছায়ার সে নিশ্চিহ্মিপুরের নিশ্চিন্ত আশ্ৰয় খুঁজে পেয়েছে। বন্ধত: সর্বজয়াকে বিভূতিভূষণ শুধু মমতামী জননী রূপেই চিত্রিত করেন নি, হয়তো বা নিজের অজ্ঞাতেই তাকে গ্রাম-জননীর প্রতীকধূর্তি রূপে গড়ে তুলেছেন। সে চায় তার অপু মনসাপোতার কুঁড়ে ঘরে চিরদিন বাস করুক, তে পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রামের পৌরোহিত্যের ভার গ্রহণ করুক, বিয়ে-খা করে সংসারী হোক—Nির দক্ষিণার মুখে স্বচ্ছদে সংসার বাজা নিৰ্বাহ করুক। এতকাল ঘরছাড়া ৰাউণ্ডুলে জীবন যাপন করার পর সর্বজরা আবার নতুন