মরণের ডঙ্কা বাজে Ꮌ Ꮍ☾ প্রোফেসর লি হেসে বল্পেন-সন্ধ্যা থেকে এতগুলে। উদ্ধার করেছি স্কুপ থেকে । আপনাদেরটিও দিন। আমার দুটি ছাত্র এখানে পাহার দিচ্ছে—আমরা খুজে এনে এখানে জড়ো করছি—রাখে। এখানে । গোলমাল ও ভিড় এখন একটু কমেছে। প্রোফেসর লি সকলকে বল্লেন - আম্বন, একটু চা খাওয়া যাক—রাত্রে আর ঘুম হবে না আজ, সারারাত এই রকম চলবে দেখছি— যে ঘরে শিশুগুলিকে জডে করা হয়েছে, তার পাশেই একট। ছোট বাড়িতে লি থাকেন র্তার ছাত্রবৃন্দ নিয়ে। দুজন ছাত্রকে শিশুদের কাছে রেখে বাকী সকলে ওদের নিয়ে গেল তাদের সেই বাসায়। ছোট ছোট পেয়ালায় দুধ-চিনি-বিহীন সবুজ চা, শসার বিচি ভাজা, শরবতী লেবুর টুকরো এবং বাঙালী মেয়েদের পাইজোরের মত দেখতে, শূয়োরের চব্বিতে ভাজা একপ্রকার কি খাবার। স্বরেশ্বর ও বিমল শেষোক্ত খাবার ঠেলে রেগে দিলে, সে কি এক ধরনের বিশ্ৰী গন্ধ খাবারে । প্রোফেসর লি বল্লেন—আপনার রিদেশী | আমাদের দেশকে সাহায্য করতে এসেছেন, কিন্তু আমাদের দেশের এখনও কিছুই দেপেন নি, দেখলে আপনাদের দয়া হবে । এত গরীব দেশ অার এমন হতভাগ্য— মিনি বল্লে—আমাদের সব দেখাবেন দয়া করে প্রোফেসর লি । দেখতেই তো এসেছি— এ্যালিস বল্লে—আর একটা দেশ আছে প্রোফেসর লি । ভারতবর্ষ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বুটের তলায় পড়ে আছে। ছেলেবেলা থেকে দুঃস্থ ভারতবর্ষের কথা শুনলে কষ্টে আমার বুক ফেটে যায়। ५ বিমল এ্যালিসের দিকে কৃতজ্ঞতাপূর্ণ চোখে চাইলে—বড় ভাল লাগলো এই বিদেশিনী বালিকার এই নিষ্কপট নিঃস্বার্থ সহানুভূতি তার দরিদ্র স্বদেশের জন্যে। এ্যালিস বল্লে—শিশুগুলির কে আছে ? পুওর লিট্ল মাইটস। আমায় একটা খোক দেবেন প্রোফেসর লি ? প্রোফেসর লি হেসে বল্লেন—কি করবে মিস্— এ্যালিস্ বল্লে—আমাদের নাম ধরে ডাকবেন প্রোফেসর লি, ওর নাম মিনি, আমার নাম এ্যালিস। আমরা আপনাকে দাদু বলে ডাকবে - কেমন ? এই সদানন্দ উদার, সৌম্যমূৰ্ত্তি বৃদ্ধকে এ্যালিসের বড় ভাল লেগে গেল। কিউরিও দোকানে বিক্রি হয় যে চিনে মাটির হাস্যমুখ বুদ্ধ—বৃদ্ধের মুখখানা ঠিক যেন তেমনি পরিপূর্ণ সন্তোষ, আনন্দ ও প্রেমের ভাব মাখানে । প্রোফেসর লি’র মুখ উদার হাসিতে ভরে গেল । কল্পেন—বেশ তাই হবে। একটা বড় রকমের আওয়'জের দিকে এই সময় প্রোফেসর লি’র জনৈক ছাত্র ওদের
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (নবম খণ্ড).djvu/১২৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।