भद्रt&द्र उठछु दांख्ि SS6. করলে-ওখানে কি হচ্ছে ? সৈন্যটি বল্লে—শোনে নি তুমি ? মাংহাই শহর এখন আমাদের হাতে। আজ সকালে আমাদের হাতে এসেছে। — এত বড় সাংহাই'শহর তোমাদের হাতে সবটা এসেছে ? —সব । ওরা এইমাত্র ফিল্ড টেলিফোনে খবর পেয়েছে। —যুদ্ধ হোল কখন ? —কাল সারারাত প্রায় দুশো বস্থার প্লেন বোমা ফেলেছে—শুনছি বিস্তর লোক মরেছে সাংহাইতে— —সকলেই সাধারণ নাগরিক বোধ হয় ? –বেশীর ভাগ। হাজার দুই তো শুধু চা-পেইলেই মরেছে—আর শুনছি কনশেসনে বোমা ফেলে ছ'শো পলাতক চীনাকে মারা হয়েছে। ভয়ানক যুদ্ধ হয়ে গিয়েছে—হবেই তে। —আমাদের বাধা দেবার কেউ নেই। সাংহাই কি, সারা এশিয়া আমরা দখল করবে।— তোমাদের ভারতবর্ষ তো বটেই। দেখে নিও তুমি-নাও, এগিয়ে চল। বিমল ভাবছিল সুরেশ্বর কি বেঁচে আছে! বোধ হয় নয়। চা-পেই পল্লীর অত্যস্ত কাছে চ্যাং সে লীন এ্যাভিনিউতে চীন রেডক্রস্ হাসপাতাল। জাপানী বস্বারগুলোর বিশেষ দৃষ্টি হাসপাতালের ওপর। কাল রাত্রেই সুরেশ্বরের ডিউটি থাকবার কথা। সম্ভবতঃ হাসপাতাল গুড়িয়ে দিয়েছে- রোগী, ডাক্তার, নাস মৃদ্ধ ভাগ্যে এ্যালিস্ আর মিনি ওখানে ছিল না ! কিন্তু আন্তর্জাতিক কনশেসনে বোমা ফেলে আশ্রয়হীন চীন নরনারীদের মেরেছে, এ কথাটা বিমলের ভাল বিশ্বাস হলো না। আন্তর্জাতিক কনশেসনে বোমা ফেলতে সাহস করে কখনো ? ওটা নিতান্ত বাজে কথা বলছে । ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক কনশেসনের সম্পর্কে বিমলের এ অলৌকিক শ্রদ্ধা ও সম্বুমের ভাব দূর হয়েছিল—সাংহাই অধিকার করার পূৰ্ব্বে ও পরে জাপানী বস্থার প্লেনগুলে। সে কনশেসনের পবিত্রতা মানে নি—এ সংবাদ বিমল আরও ভাল জায়গা থেকে এর পরে শুনেছিল । পথের মধ্যে একটা চীনা গ্রাম। বড় বড় ভুট্রাক্ষেতের মধ্যে। তখন সন্ধ্যা হবার বেশী দেরি নেই। পূৰ্ব্বোক্ত পাহাড় ও পাইনবন থেকে অন্তত: পাচ মাইল তখন আসা হয়েছে। জাপানী সৈন্যের একটা দল গ্রামটা দেখেই উল্লসিত হয়ে উঠলো—এবং সবাই তক্ষুনি হামাগুড়ি দিয়ে মাটিতে প্রায় বুক ঠেকিয়ে, চুপি চুপি অগ্রসর হোতে লাগলো গ্রামখানার দিকে। বিমল শুধু ভাবছিল,.ভগবান করেন—গ্রামটাতে লোক না থাকে—সব যেন পালিয়ে গিয়ে থাকে। কিন্তু তা হোল না। এ গ্রামের লোক যুদ্ধের বিশেষ কোন খবর রাখতে না—সাংহাই থেকে অন্ততঃ পনেরো ষোল মাইল দূরে এই গ্রামখানা। এরা বেশ নিশ্চিন্তু ছিল যে চীনা নাইনথ-কুট আমি তাদের রক্ষা করছে। হঠাৎ যে নাইনথ-কুট আমি ঘাট ছেড়ে দিয়েছে —ত ওরা সম্ভবতঃ জানতো না ।
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (নবম খণ্ড).djvu/১৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।