$ጫe বিভূতি-রচনাবলী দিয়েচে লোকে—তাই চেটে চেটে খাচ্ছে উলঙ্গ, কঙ্কালসার ছোট ছোট ছেলেরা—অথচ সে পাতায় কিছুই নেই! কি চাটছে তারাই জানে ! এই অবস্থার মধ্যে ভাদ্রমাসের শেষে আমি এলাম এমন একটা জায়গায়, যেখানে অনেক লোক খাটচে একজন বড় কণ্টাক্টারের অধীনে ডিনামাইট দিয়ে পাথর ফাটানো কাজে । জঙ্গলের মধ্যে পাথর ফাটিয়ে এরা টাটায় চালান দিচ্ছে, স্থানীয় জমিদারের কাছ থেকে নতুন ইজারা নেওয়া পাথর খাদান । একদিন সেখানকার ছোট ডাক্তারখানাটার সামনে ভিড় দেখে এগিয়ে গেলাম। ডাক্তারখানাটার সংকীর্ণ বারান্দাতে একজন কুলি শুয়ে আছে। পিঠে ব্যাণ্ডেজ বাধা—ব্যাণ্ডেজ ভিজে রক্ত দরদরিয়ে পড়ে সিমেন্টের রোয়াক ভিজিয়ে দিয়েচে । জিজ্ঞেস করলাম, “কি হয়েচে ?” ডাক্তারবাবু বললেন, “এমন মাঝে মাঝে এক আধটা হচ্ছেই। ব্লাস্টিং করতে গিয়ে পাথর ছুটে লেগে মেরুদণ্ড একেবারে গুড়িয়ে দিয়েচে । সেলাই করে দিয়েচি, এখন টাটানগর হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। অ্যাম্বুলেন্স, আসচে।” ভিড় একটু সরিয়ে কাছে গিয়ে দেখি একটা পাঁচ-ছ বছরের মেয়ে ওর কাছে একটু দূরে বসে—কিন্তু সে কাদেও না, কিছুই ন—নিব্বিকার ভাবে বসে একটা খড় তুলে মুখে দিয়ে छिदूष्छ् । আমি তাকে দেখেই চিনলাম-আটমাস পূৰ্ব্বে মানভূমের বন্য অঞ্চলে দৃষ্ট সেই ক্ষুদ্র বালিকা থুপী ! আহত কুলির মুখ ভাল করে দেখে চিনলাম—এ সেই থুপীর বাবা, যে সগৰ্ব্বে বলেছিল, “এর নাম রেখেচি থুপী ।” আশেপাশের দু’একজনকে জিগ্যেস করলাম, “এ কোথা থেকে এসেছিলো জানো ?” একজন বললে, মানভূম জিলা থেকে আজ্ঞে !” “কি গা ?” “তোড়াং ।”
- ওর কোনো আপনার লোক এখানে নেই ?”
“কে থাকবেকৃ আঞ্জে-ওর ওই বিটি ছানাটা আছে। কত কত ধুর থিক্য এখেনে কাজ করতে এসেচে, চাল দেয় সেই জন্তে আঙ্গে।” “কোম্পানী কত করে চাল দেয় ?” “হপ্তায় পাচ সের মাথাপিছু।” সুতরাং থুপীর বাপের ইতিহাস আমি অনেকটা অনুমান করে নিলাম। গ্রামে গিয়ে দেখলে বাড়ী ভেঙেচুরে গিয়েচে, চাল মেলে না, মিললেও ওর সামর্থ্যের বাইরের জিনিস তা কেনা। মকাই ও বিরি কলাই, তারপরে বুনো কচু ও ভূঁই-কুমড়োর মূল খেয়ে যতদিন চলবার চললো -কারণ ঠিক এই ইতিহাস আমি বিভিন্ন অঞ্চলগুলি থেকে আগত 暴