পাতা:বিভূতি রচনাবলী (নবম খণ্ড).djvu/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হীরামানিক জলে 4צלא —আমি এতক্ষণ তাই চেয়ে দেখছিলাম—এবার আমার কোন সন্দেহ নেই—এই ডুবে পাহাড়ের এক জায়গায় দক্ষিণ কোণে একটা শুয়োরের মুখের মত চলে। গড়ন দেখেছেন কি ? আক্ষন আমি দেখাচ্ছি—এতকাল আমার মনে ছিল না, কিন্তু এবার দেখেই মনে পড়েছে। --ইয়ার হোসেনকে বলি ? —কিন্তু ওই হলদেমুখে চীনাটাকে কিছু বলবেন না, বাবুজি। ওটাকে আমার ঠিক বিশ্বাস হয় না—আপনি বলুন হোসেন সাহেবকে— —যদি ও-ই সেই ডুবো পাহাড়টা হয়, তবে তো ওখান থেকে জমি দেখা যাবে, আর সেই সাদা পাথরের পাহাড়টা— —সে হল তিন রশি চার রশি তফাতে বাবুজি-টাজনি রাতে সাদা পাথরের পাহাড় অত দূর থেকে ভাল দেখা যাবে না। সকাল হোক – চীনা সারেং চিৎকার করে উঠল—হাল সামলাবে না গল্প করে সময় কাটাবে—ডুবো পাহাড় সামনে, সে খেয়াল আছে ? জামাতুল্লা বিরক্ত হয়ে বললে—আঃ, হলদেমুখো ভূতটা বডড জালালে দেখছি—দাড়ান বাবুজি—আপনি হোসেন সাহেবকে বলুন, আমি দেখি ওদিকে কি বলে— স্বশীল হাসতে হাসতে বললে—তুমি যাই বলে, ও কিন্তু খুব পাকা জাহাঙ্গী—এসব অঞ্চল দেখছি ওর নখদর্পণে-ওস্তাদ জাহাজী—এ বিষয়ে ভুল নেই— কিছু পরে চীনা সারেং তার নাবিকগিরির স্বদক্ষতার এমন একটি প্রমাণ দিলে ঘাতে জামাতুল্লাকে পৰ্য্যস্ত তারিফ করতে হল। জামাতুল্লার হাল পরিচালনায় জাঙ্ক, যখন ডুবে পাহাড়ের একদিক দিয়ে যাবার চেষ্টা করছে তখন চীনা সারেং হুকুম দিলে—সামনে এগোও— পাশ কাটাবার চেষ্টা করছ কেন ? —সামনে এগিয়ে ধাক্কা খাবে নাকি ? —এই বিদ্যে নিয়ে মাঝিগিরি করতে এসেছে স্কুলু সীতে ? নিজের দেশে নদী খালে ডোঙা চালাও গে যাও গিয়ে! ওই পাহাড়ের দু-পাশের ভীষণ চাপা স্রোতের মুখে পড়ে জাঙ্ক, পাহাড়ের BBB BBB BBS BBBS B BBB BD S BBBBBB BB BB B BB BBBBB বেগ সামলানো-দেখছ না জল কী রকম ঘুরছে ? জামাতুল্লা তখনও ইতস্তত করছে দেখে চীনা সারেং হেঁকে বললে—জামাতুল্লা এবার সবাইকে মারবে তার—ওকে বুঝিয়ে বলুন, একবার ওর হাত থেকে ভগবান বাচিয়ে দিয়েছেন—এৰার বোধ হয় আর রক্ষে হয় নী— স্বশীল আর ইয়ার হোসেন জামাতুঙ্গাকে বললে—ও বা বলছে তাই কর না জামাতুল্লা— —ও কী বলছে তা আপনার খেয়াল করছেন না ? ও বলছে ওই ডুবো পাহাড়ের দিকে সোজাস্বজি হাল চালাতে—মরব তো তা-হলে— চীনা সারেং জামাতুল্লার কথা শুনতে পেয়ে বললে—চালিয়ে দেখই না কী করি। মরণের আত ভয় করলে মাঙ্গাগিরি করা চলে না সাহেব- * বি, } , zه هسته