পাতা:বিভূতি রচনাবলী (নবম খণ্ড).djvu/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२३ বিভূতি-রচনাবলী প্রত্যাবর্তন’ বলে একখানা বইয়ে লিখে রেখে গিয়েছেন—তাই ও বলছে— ইয়ার হোসেন তাচ্ছিল্যের স্বরে বললে—ও । জামাতুল্লা বললে—আমার একটা পরামর্শ শোন। কম্পাসে দিক ঠিক করে চল এবার উত্তর মুখে ধাই—ওদিকটা দেখে আসা যাক। সকলেই এ কথায় সায় দিলে। স্বর্ঘ্যের মুখ না দেখে সকলেরই প্রাণ স্থাপিয়ে উঠেছিল। ওরা প্রথম দিনেই সমুদ্রের বালির ওপরে অনেকগুলো বড়-বড় কচ্ছপ দেখতে পেলে। ইয়ার হোসেনের একজন অনুচর ছুটে গিয়ে একটাকে উন্টে চিৎ করে দিলে, বাকিগুলো তাড়াতাড়ি গিয়ে সমূত্রের মধ্যে ঢুকে পড়ল। মালয় দেশীয় দায়ের (মালয়েরা বলে “বোলে ) সাহায্যে কচ্ছপটাকে কাটা হল, মাংসটা ভাগ করে রান্না করে সকলে পরম তৃপ্তির সঙ্গে আহার করলে। ভাগ করার অর্থ এই যে ইয়ার হোসেনের দল ও জামাতুল্লার রান্না হত আলাদ, স্বশীল ও সনৎএর আলাদা রান্না সনৎ নিজেই করত। একদিন সমুদ্রের ধারে বালির ওপরে কি একটা জানোয়ার দেখে সনৎ ছুটে এসে সবাইকে খবর দিলে । সকলে গিয়ে দেখলে প্রকাও বড় শুয়োরের মত বড় একটা জানোয়ার বালির ওপর চুপ করে শুয়ে। তার থ্যাবড়া নাকের নিচে বড় বড় গোপ—মুখের ছুদিকে দুটো বড়-বড় দাত। ইয়ার হোসেন বললে—এ এক ধরনের লীল—লিঙ্গাপুরের সমূত্রে মাঝে মাঝে দেখতে পাওয়া যায় বটে। সালের মূল্যবান চামড়ার লোভে সনৎ ওকে গুলি করতে উষ্ঠত হল। ইয়ার হোসেন নিষেধ করে বললে—ওটা মেরে না-ও সীলকে বলে সী লায়ন, ও মারলে अलक५ ट्झ । পরদিন তাৰু তুলে সকলে উত্তর দিকের জঙ্গল ভেদ করে রওনা হল। উত্তর দিকের জঙ্গলে সমুদ্রের ধার দিয়ে অনেকটা গেল ওরা। এক গাছ থেকে আর এক গাছে বড়-বড় পুষ্পিত লতা সারাবন স্বগন্ধে আমোদ করে ঝুলে পড়েছে—স্ববৃহৎ লতা যেন অজগর সাপের নাগপাশে মহীরুহকে আলিঙ্গনাবদ্ধ করেছে—রাশি রাশি বিচিত্র অঙ্কিণ্ড। বিচিত্র ও উজ্জল বর্ণের পাখির দল ডালে ডালে—অদ্ভুত সৌন্দর্ঘ্য বনের। স্বশীল বললে—মিঃ হোসেন, ও কী লতা জানেন ? যেমন মুন্দর ফুল—আর লতা দেখা যাচ্ছে না ফুলের ভারে— গন্ধও অদ্ভূত। ইয়ার হোসেন লতার নাম জানে না-তবে বললে, সিঙ্গাপুরে বোটানিক্যাল গার্ডেনে ওরকম লতা সে দেখেছে। সারা দ্বীপে গভীর বন। বনের ভেতর দিয়ে যাওয়া কঠিন ও অনবরত গাছপালা কেটে যেতে হয় পথ করবার জন্তে—কাজেই ওরা সমুদ্রের ধার বেয়ে চলছিল। এক জায়গায় একটা নদী এলে সমূত্রে পড়েছে বনের মধ্যে দিয়ে, নদী পার হয়ে যাওয়া কষ্টকর বলে ওরা বাধ্য হয়ে বনের মধ্যে ঢুকে পড়ল। নদী সঙ্ক হবার নাম নেই—অনেক দূরে বনের মধ্যে ঢুকে এখনও नहौ cबणं शृंडौद्ध ।