পাতা:বিভূতি রচনাবলী (নবম খণ্ড).djvu/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইয়ামানিক জলে ৩২৭ মাত্র উপায় এই বন্দুকের জাওয়াজ-অনেক দূর থেকে দক্ষিণগামী দলের এ হল সঙ্কেতধ্বনি । পরদিন সকালে আরও এক মাইল গিয়ে প্রাচীরের উত্তর দিক থেকে পূৰ্ব্ব দিকে মুখ ফেরালে। অর্থাৎ এদিকে আর শহর নেই। প্রাচীর ধরে সবাই বাকতে গিয়ে দেখলে পরিখার এপারে অনেকগুলো স্তুপ, স্কুপের ওপর বিরাট জঙ্গল। বড় বড় পাথর গড়িয়ে এসে পড়েছে কূপ থেকে নিচে—সেগুলো বেশ চৌকশ করে কাট। সম্ভবত ভূপের ওপর কোন দুর্গ ছিল বা ঠিক নগরপ্রাচীরের উত্তর-পশ্চিম কোণ পাহারা দিত। পশ্চিম মুখে কতটা খেতে হবে কেউ জানে না, কারণ তার দৈর্ঘ্য ধরে যাচ্ছে, না প্রস্থ ধরে যাচ্ছে তা জানবার সময় এখনও আসে নি। সেদিনও কেটে গেল বনের মধ্যে ; সন্ধ্যা নামল । সন্ধ্যায় যে বন্দুকের আওয়াজ শোনা গেল, আওয়াজ খুব ক্ষীণ ও অস্পষ্ট। স্বশীল বললে—আমরা দৈর্ঘ্য অতিক্রম করেছি—প্রস্থ ধরে চলেছি। বুঝেছেন মি: হোসেন ? —এবার বুঝলাম। ওদিকে ষে দল গিয়েছে তারা ওদিকের শেষ প্রাস্তে পৌছে বন্দুক ছুড়ছে। অন্তত সাত মাইল দূর এখান থেকে । পরদিন বেলা দশটার মধ্যে নগরীর সিংহদ্বার পাওয়া গেল। সেখানটাতে পরিখার ওপর পাথরের সেতু। এপারে সেতু রক্ষার জন্তে দুর্গ ছিল, বর্তমানে প্রকাও ভরা ঢ়িবি। সকলে ব্যস্ত হয়ে সেতু পার হয়ে সিংহদ্বার লক্ষ্য করে অল্প কিছুদূর অগ্রসর হয়েই থেমে গেল । সিংহদ্বারের খিলান ভেঙে পড়ত—যদি বট-জাতীয় কয়েকটি বৃক্ষের শিকড় আষ্ট্রেপৃষ্ঠে তাকে না জড়িয়ে ধরে রাখত। সিংহদ্বারের দুপাশে অদ্ভুত দুই প্রস্তর মূৰ্ত্তি—নাগরাজ বাস্থকি ফণা তুলে আছে সামনে, পেছনে তিনমুখ-বিশিষ্ট কোন দেবভার মূৰ্ত্তি। স্বর্ঘ্যের আলো ওপরের বটবৃক্ষের নিবিড় ডালপালা ভেদ করে মুক্তি দুটির গায়ে বাকাভাবে এসে পড়েছে। গম্ভীর শোভা। স্বশীল শুধু নয়, দলের সকলেই দাড়িয়ে মুগ্ধ লেত্রে চেয়ে রইল এই কারুকাৰ্য্যময় সিংহদ্বার ও প্রাচীন যুগের শিল্পীর হাতের এই ভাস্কর্ঘ্যের পানে। স্বশীল হাত জোড় করে প্রণাম করলে মুক্তি দুটির উদ্বেপ্তে। সে পুরাতত্ব বা দেবমূৰ্ত্তি সম্বন্ধে অভিজ্ঞ না হলেও আন্দাজ করলে এ দুটি তিন-মুখ-বিশিষ্ট শিবমূৰ্ত্তি। স্বলুসমূত্রের এই জনহীন অরণ্যাবৃত দ্বীপে প্রাচীন ভারতের শক্তি ও তেজ একদিন এই দেবমূৰ্ত্তিকে স্থাপিত করেছিল। আজ ভারত অধঃপতিত,—দাসত্ত্বের শৃঙ্খলে শৃঙ্খলিত। ছে দেৰ, তোমার যে ভক্তগণ তোমাকে এখানে বাহুবলে প্রতিষ্ঠিত করেছিল তারা আজ নেই— তাদের অধোগ্য বংশধরকে তুমি সেই শৌর্য ও সাহস ভিক্ষা দাও, তাদের বীরপুরুষদের বংশধর काइ लांe, cए ब्रहदैछब्रव ! ইয়ার হোসেন পর্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়েছিল। এই বিরাট ভাস্কর্ঘ্যের সম্মুখে দাড়িয়ে সে বললে—বছি আমার দিন জালে, এই মূৰ্ত্তি লিঙ্গাপুরের মিউজিয়মে দান করবার ইচ্ছে ब्रहेण--