లీల్నీ বিভূতি-রচনাবলী লে বিস্মিত হয়ে চেয়ে দেখলে, সিড়ির পর সিড়ি ধাপে ধাপে নেমে গিয়েছে। স্বশীল সিড়ি দিয়ে নামবার আগে উকি মেরে চাইলে অন্ধকার স্বভূক্ষপথে। বহু যুগ আবদ্ধ দূৰ্ধিত বাতাসের বিষাক্ত নিঃশ্বাস যেন ওর চোখে মুখে এসে লাগল। তখন কিন্তু স্বশীলের মন আনন্দে কৌতুহলে চঞ্চল হয়ে উঠেছে, বসে ভাববার সময় নেই। ও তাড়াতাড়ি কয়েক ধাপ নেমে গেল । আবার সিড়ি বেঁকে গিয়েছে কিছুদূর গিয়ে। এবার আর সামনে পাথর নেই, গিড়ি একে বেঁকে নেমে চলেছে। স্বশীল একবার ভাবলে তার আর ধাওয়া উচিত নয়। কতদূর সিড়ি নেমেছে এই ভীষণ অন্ধকূপের মধ্যে কে জানে ? কিন্তু কৌতুহল সংবরণ করা ওর পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ল। ও আরও অনেকখানি নিচে নেমে গিয়ে দেখলে এক জায়গায় সিড়ি হঠাৎ শেষ হয়ে গেল। টর্চ জেলে নিচের দিকে ঘুরিয়ে দেখলে, কোন দিকে কিছুই নেই— পাথর-বাধানো চাতাল বা মেঝের মত তলাটা সব শেষ, আর কিছু নেই। ইংরাজিতে যাকে বলে dead end, ও সেখানে পৌছে গিয়েছে। স্বশীল হতভম্ব হয়ে গেল। যারা এ সিড়ি গেখেছিল তারা কী জন্যে এত সতর্কতার সঙ্গে এত কষ্ট করে সিড়ি গেথেছিল যদি সে লিড়ি কোথাও না পৌছে দেয় ? চাতালের দৈর্ঘ্য হাত-তিনেক, প্রস্থ হাত আড়াই। খুব একখানা বড় পাথরের দ্বারা যেন সমস্ত মেঝে বা চাতালটা বাধানো। তন্ন-তন্ন করে খুজে চাতালের কোথাও কিছু পাওয়া গেল ন। সুশীল বাধ্য হয়ে বোকা বনে উঠে চলে এসে জামাতুল্লা ও সনৎকে বললে। ওরা পরদিন লুকিয়ে তিনজনে সেখানে গেল, সিড়ি দিয়ে নামলে। সামনে সেই চাতাল। সিড়ির শেষ। জামাতুল্লা বললে—এ কী তামাশা আছে বাবুজি—আমি তো বেকুব বনে গেলাম! তিন জনে মিলে নানাভাবে পাথরটা দেখলে, এখানে টিপলে ওখানে চাপ দিলে—হিমালয় পৰ্ব্বতেয় মতই অনড়। কোথাও কোন চিহ্ন নেই পাথরের গায়ে । মিনিট কুড়ি কেটে গেল। মিনিট কুড়ি সেই অন্ধকার ভূগর্তে কাটানো বিপজ্জনকও বটে, অস্বস্তিকরও বটে। সুশীল বললে—ওঠ সবাই, আর না এখানে । হঠাৎ জামাতুল্লা বলে উঠল-বাবুজি, একটা কথা আমার মনে এসেছে। দুজনেই বলে উঠল—কী ? কী ? —গীতি দিয়ে এই পাথরখানা খুড়ে তুলে দেখলে হয়। কী বলেন ? তখন ওরাও ভাবলে এই সামান্ত কথাট। ধে কথা, সেই কাজ। জামাতুল্লা লুকিয়ে গুৰু থেকে গতি নিয়ে এল। পাথর খুড়ে শাবলের চাড় দিয়ে তুলে ফেলে বা দেখলে তাতে ওরা যেমন আশ্চর্ষ হল তেমনি উত্তেজিত হয়ে উঠল। আবার সিড়ির ধাপ। কিন্তু দৃশ খাপ নেমে গিয়ে সিড়ি বেঁকে গেল—আবার সামনে চৌরশ পাথর দিয়ে স্বভৃঙ্গ বোজানো। মাথার ওপরকার পাথরে পূর্ববং চিহ্ন পাওয়া গেল। বুড়ো আঙুল দিয়ে টিপে আবার সে পাথর কাক হল। জাবার লিড়ি। কিন্তু কিছুদূর নেমে আৰাৱ পাথর-বাধানে চাতাল-জাবার cris dead end–firstR is
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (নবম খণ্ড).djvu/৩৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।