বিভূতি-রচনাবলী 88ט এই বনে যেখানে-সেখানে একা যাওয়া উচিত নয়, তারা কতবার বলবে একথা ? কত জানা-অজানা বিপদ এখানে পদে পদে ! পরদিন ছুতো করে স্বশীল ও জামাতুল্লা আবার বেরিয়ে গেল। বনের মধ্যে সেই গুহায়। সনৎকে সঙ্গে নিয়ে গেল না। কেন না সকলে গেলে সন্দেহ করবে এরা । আবার সেই পরিশ্রম। আরও দুধাপ সিড়ি ও দুটো চাতাল ওরা ডিঙিয়ে গেল। দিন শেষ হয়ে গেল, সেদিন আর কাজ হয় না। আবার তার পরের দিন কাজ হল শুরু । এইরকম আরও তিন চার দিন কেটে গেল । একদিন সনৎ বললে—দাদা, তোমরা আর সেখানে দিনকতক ষেও না । স্বশীল বললে—কেন ? g —ইয়ার হোসেন সন্দেহ করছে । সে রোজ বলে, এরা বনের মধ্যে কী করে। এত ফটো নেয় কিসের ? —কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আর একদিনের কাজ বাকি । ওর শেষ না দেখে আমি আসতে পারছি নে । —এক যাও—দু-জনে ঘেও না । জোট বেঁধে গেলেই সন্দেহ করবে। হাতিয়ার নিয়ে যেও । —তুই তাঁবুতে থেকে নজর রাখিল ওদের ওপর । কাল খুব সকালে আমি বেরিয়ে যাব। স্বশীল তাই করলে। প্রায় ষাট ফুট নিচে তখন শেষ চাতাল পর্য্যন্ত নেমে গিয়েছে। সেদিন দুপুর পর্য্যন্ত পরিশ্রম করে সে চাতালটা ভেঙে ফেললে। তারপর যা দেখলে তাতে স্বশীল একেবারে বিস্মিত, স্তম্ভিত ও হতভম্ব হয়ে পড়ল । সিড়ি গিয়ে শেষ হয়েছে ক্ষুদ্র একটি ভূগর্ভস্থ কক্ষে । কক্ষের মধ্যে অন্ধকার সূচীভেদ্য । টর্চের আলোয় দেখা গেল কক্ষের ঠিক মাঝখানে একটি পাষাণবেদিকার ওপর এক পাষাণ নাৰীমূৰ্ত্তি—বিলাসবতী কোন নর্তক ধেন নাচতে নাচতে হঠাৎ বিটম্ববেদিকার ওপর পুত্তলিকার মত স্তন্ধ হয়ে দাড়িয়ে গিয়েছে কি দেখে। একি ! এর জন্তে এত পরিশ্রম করে এরা এসব কাও করেছে । স্থলীল আরও অগ্রসর হয়ে দেখতে গেল। হঠাৎ সে থমকে দাড়াল। পাথরের বেদীর ওপর সেই চিহ্ন আবার খোদাই করা। ঘরের মধ্যে টর্চ ঘুরিয়ে দেখলে। তাকে ঘর বলা ধেতে পারে, একটা বড় চৌবাচ্চাও বলা যেতে পারে। তাতসেতে ছাদ, স্তাতসেতে মেঝে—পাতাল-পুরীর এই নিভৃত অন্ধকার গহবরে এ প্রজয়মী নারী-মুর্ভির রহস্ত কে ভেদ করবে ? কিন্তু কী অদ্ভুত মূৰ্ত্তি কটিতে চক্সহার, গলদেশে যুক্তমালা, প্রকোষ্ঠে মণিবলয়। চোখের छांहनि नृजौरु वरण अब एम्न !
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (নবম খণ্ড).djvu/৩৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।