৩৪২ বিভূতি-রচনাবলী পুরুষটি বললেন—সাহস আছে ? তুমি ভারতবর্ষের সস্তান— —নিশ্চয়ই, দেব। নগরী বহুদিন মৃতা, কিন্তু বহু যুগের পুরাতন কৃষ্ণগুরুর ধুপগন্ধে আমোদিত অরণ্যতরুর ছায়ায় ছায়ায় অজানা পথযাত্রার যেন শেষ নেই। বিশাল পুরী, প্রেতপুরীর সমান নিস্তব্ধ। রাজপ্রাসাদের বিস্তৃত কক্ষে, দামী নীলাংশুকের আন্তরণে ঢাকা স্বর্ণ পর্যাঙ্ক কোন অপরিচিতের অভ্যর্থনার জন্ত প্রস্তুত। সুশীলের বুক গুরুগুরু করে উঠল, গৃহের রত্নপ্রস্তরের ভিত্তিতে যেন অমঙ্গলের লেখা। ভবনদর্পণে প্রতিফলিত হয়ে উঠবে এখনি যেন কোন বিভীষণ অপদেবীর বিকট মূৰ্ত্তি । পুরুষ বললেন—ঐ শোন— স্বশীল চমকে উঠল। ষেন কোন নারীকণ্ঠের শোকার্ত চিৎকারে নিশীথ নগরীর নিন্তব্ধতা ভেঙে গেল। সে নারীর কণ্ঠস্বরকে সে চেনে। অত্যন্ত পরিচিত কণ্ঠস্বর। খুব নিকটআত্মীয়ার বিলাপধ্বনি। স্বশীলের বুক কেঁপে উঠল। ঠিক সেই সময় বাইরে থেকে কে ডাকলে—বাবুজি—বাবুজি— তার ঘুম ভেঙে গেল। বিছানা ঘামে ভেসে গিয়েছে। জামাতুল্লা বিছানার পাশে দাড়িয়ে ডাকছে । দিনের আলো ফুটছে র্তাবুর বাইরে । জামাতুল্লা বললে—উঠুন বাবুজি । স্বশীল বিমূঢ়ের মত বললে—কেন ? —ভোর হয়েছে। ইয়ার হোসেনের লোক এখনও ওঠে নি—আমাদের কেউ কোন সন্দেহ না করে । সনৎবাবুকে ওঠাই— একটু বেলা হলে ইয়ার হোসেন উঠে ওদের ডাকালে। বললে—পরশু এখান থেকে র্তাৰু ওঠাতে হবে। জাঙ্ক ওয়ালা চীনেম্যান এসে বসে আছে। ও আমার নিজের লোক । ও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আর থাকতে চাইছে না। এখানে আপনার এলেন ফটো তুলতে আর ছবি আঁকতে। এত পয়সা খরচ এর জন্তে করি নি। স্বশীল বললে—যা ভাল বোঝেন মিঃ হোসেন । সনৎ বললে—তাহলে দাদা, আমাদের সেই কাজটা এই দু-দিনের মধ্যে সারতে হবে— ইয়ার হোসেন সন্দেহের স্বরে বললে—কি কাজ ? স্বশীল বললে—বনের মধ্যের একটা মন্দিরের গায়ে পাথরের ছবি আছে, সেটা আমি অঁাকছি। সনৎ ফটো নিচ্ছে তার। ইয়ার হোসেন তাচ্ছিল্যের সঙ্গে হেসে বললে—ওই করতেই আপনার এসেছিলেন আর क् ि। कङ्गन क्ष! एझ ७्रे कु-ििन । সনৎ বললে—তাহলে চল দাদা আমরা সকাল-সকাল খেয়ে রওনা হই। ইয়ার হোসেনের অনুমতি পেয়ে ওদের সাহল বেড়ে গেল। দিন পূরেই ওরা ছু-জন রওনা হয়ে গেল—শাবল, গীতি, টর্চ ওরা কিছুই আনে নি, সিড়ির মুখের প্রথম ধাপে
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (নবম খণ্ড).djvu/৩৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।