\)ჭw> বিভূতি-রচনাবলী পড়ে জলে ডুবে দম বন্ধ হয়ে মরবে!”কিন্তু উঠৰে কোথায় ! উঠবে কিসের সাহায্যে । এ ঘরে লিড়ি নেই আগেই দেখে এসেছে। স্বশীল চিৎকার করে বললে—সনৎ—সনৎ—ওপরে ওঠ—শিগগির— সনৎ বললে—দাদা ! তুমি আমার হাত ধর—হাত ধর— তারপর হঠাৎ সব অন্ধকার হয়ে গেল—পুরোনো রাজাদের পোষ-মানা বেতাল যেন কোথায় হা হা করে বিকট অট্টহাস্ত করে উঠল—সম্মুখে মৃত্যু | উদ্ধার নেই! উদ্ধার নেই! এ জলে সাতার দেওয়া যাবে না স্বশীল জানে—এ মরণের ইচ্ছুরকল। বুক ছাপিয়ে জল তখন উঠে প্রায় নাকে ঠেকে-ঠেকে— কে যে অন্ধকারের মধ্যে চেচিয়ে উঠল—দাদা-দাদা—আমার হাত ধর—দাদা— একজোড়া শক্ত বলিষ্ঠ হাত ওকে ওপরের দিকে তুললে টেনে। ঘন অন্ধকার । টর্চ কোথায় গিয়েছে সেই উন্মত্ত জলরাশির মধ্যে। সুশীলের প্রায় জ্ঞান নেই। সে ডাকছে— কে ? সনৎ ? কোন উত্তর নেই। কেউ কাছে নেই। সুশীলের ভয় হল । সে চেচিয়ে ডাকলে—সনৎ ! জামাতুল্লা ! তার পায়ের তলায় উন্মত্ত গর্জনে যেন একটা পাহাড়ের মাথার হ্রদ খসে পড়েছে! উত্তর দেয় না কেউ—না সনৎ, না জামাতুল্লা । প্রায় দশ মিনিট পরে জামাতুল্লা বললে—বাবু, জলদি আমার হাত পাকড়ান— —কেন ? --পাকড়ান হাত—উপরে উঠব—সাবধান । —সনৎ, সনৎ কোথায় ? তাকে রেখে এলে উপরে ? —জলদি হাত পাকড়ান—ছ – কত যুগ ধরে ঘোরানো সিড়ি দিয়ে ঘুরে ঘুরে সে ওঠা প্রলয়ের অন্ধকারের মধ্য দিয়ে— তারপর কতক্ষণ পরে পৃথিবীর ওপর এসে ছাপ ছেড়ে বাচ পাতালপুরীর গহবর থেকে ! বনের মধ্যে সন্ধ্যার অন্ধকার যেন ঘনিয়ে এসেছে। স্বশীল ব্যগ্রভাবে বললে—সনৎ কই ? তাকে cortetii জামাতুঙ্গা বিষাদ-মাখানো গভীর স্বরে বললে—সনৎবাবু নেই—আমাদের ভাগ্য বাবুজি— স্বশীল বিস্ময়ে হতভম্ব হয়ে বললে—নেই মানে ? —সনৎবাৰু তো পাতালপুরী থেকে ওঠেন নি—তাকে খুজে পাই নি। আপনাকে তুলে ওপরে রেখে তাকে খুজতে যাৰ এমন সময় ঘরের মেঝে স্কুলে উঠে এটে গেল। তিনি থেকে গেলেন তলায়—আমরা রয়ে গেলাম ওপরে। তাকে খুজে পাই কোথায় ? —সেকি । তবে চল গিয়ে খুজে জানি 1••• জামাতুঙ্গা ৰিৰাজের হাসি হেসে বললে—ৰাবুজির মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে, এখন কিছু
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (নবম খণ্ড).djvu/৩৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।