পাতা:বিভূতি রচনাবলী (নবম খণ্ড).djvu/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छूङ ●●● —বরো বাগদিনী বসে আছে ঝোপের মধ্যে আমড়াতলায়-সেই নদীর ধারের দিকে । স্পষ্ট বসে আছে দেখলাম। —লে কি রে ? তা কখনো হয় ? —নিজের চোখে দেখলাম। একেবারে স্পষ্ট বরো বাগদিনী-~~ —দূর—চল তো ধাই—দেখি কেমন ? তোর মিথ্যে কথা— সবাই মিলে যেতে উষ্ঠত হোল—কিন্তু সেই সময় দলের চাই নিমাই কলু বলে,—লা তাই। ওর কথায় বিশ্বাস করে অতদূর গিয়ে স্কুলে ফিরতে বড দেরি হয়ে যাবে। এতক্ষণ মাস্টারদের ঘুম ভেঙেচে । ইাড়ি-বেচা মাস্টারের বেতের বহর জানো তো ! সে ঠ্যাল সামলাবে কে ? আমি ভাই স্বাবে না-তোমরা যাও—ওর সব মিথ্যে কথা— ছেলের দলের কৌতুহল মিটে গেল হাড়ি-বেচা-মাস্টারের বেতের বহর স্মরণ করে। একে একে সবাই স্কুলের দিকে চললে । আমিও চল্লাম । আমরা গিয়ে দেখি মাস্টার মশায়দের ঘুম খানিক আগেই ভেঙেচে—ওঁদের গতিক দেখে মনে হোল। হাড়ি-বেচা-মাস্টার আমাদের শূন্ত ক্লাস রুমের সামনে অধীরভাবে পায়চারি করছিলেন—আমাদের আসতে দেখে বলে উঠলেন—এই যে ! খেলা ভাঙলো ? আমরাও বলতে পারতাম, আপনার ঘুম ভাঙলো ?--কিন্তু সে কথা বলে কে ? তার ক্রুদ্ধ দৃষ্টির সামনে আমরা তখন সবাই এতটুকু হয়ে গিয়েছি। ক্লাসে ঢুকেই তিনি হাকলেন–রতন ! অর্থাৎ আমি। এগিয়ে গেলুম। —কোথায় থাকা হয়েছিল ? আমি তখন নবমীর পাঠার মতো জড়সড় হয়ে কাপচি। এদিকে বরো বাগদিনী ওদিকে ষ্ঠাড়ি-বেচা-মাস্টার। আমার অবস্থা অতীব শোচনীয় হয়ে উঠেচে । কিন্তু শেষ অস্ত্র ছিল আমার হাতে, তা ত্যাগ করলাম । বল্লাম-পণ্ডিত মশাই, দেরি হয়ে গেল কেন ওরা জানে । এই সৰ্ব্ব পরামানিকের বাগানে বাদাম কুড়তে গিয়ে ভূত দেখেছিলাম—তাই— 尊 হাড়ি-বেচা-মাস্টারের মুখে অবিশ্বাস ও আতঙ্ক যুগপৎ ফুটে উঠলো। বঙ্গেন—ভূত ? ভূত কি রে ? —আজ্ঞে, ভূত—সেই ধারা— —বুঝলাম বার। কোথায় ভূত ? কি রকম ভূত ? সবিস্তারে বল্লাম। আমার সঙ্গীরা আমায় সমর্থন করলে। আমায় কি রকম ছাপাতে ইাপাতে আসতে দেখেছিল, বল্পে সে কথা ! হাড়ি-বেচা-মাস্টার ডেকে বল্পেন—শুনচেন झांशं ? রাখাল মাস্টার তামাক খাওয়ার যোগাড় করছিলেন, বল্পেন—কি ? —ওই কি বলে গুছুন। রতনা নাকি এখুনি ভূত দেখে এলেচে সৰ্ব্ব পরামানিকের বাগানে । &