(w বিভূতি-রচনাবলী একটা উইনচেস্টার, অপরটি ম্যান্লিকার—দুটোরই ম্যাগাজিনে টোটা ভক্তি। এমন কোনো শরীবধারী জীব নেই, যে এই দুই শক্তিশালী অতি ভয়ানক মারণাস্ত্রকে উপেক্ষা করে আজ রাত্রে অক্ষতদেহে তাবুতে ঢুকতে পারে। f ভয় ও বিপদ মাতুষকে সাহসী করে। শঙ্কর সারারাত সজাগ পাহারা দিল। পরদিন সকালে আলভারেজের মৃতদেহ সে একটা বড় গাছের তলায় সমাধিস্থ করলে এবং দুখান৷ গাছের ডাল ক্ৰশের আকারে শক্ত লতা দিয়ে বেঁধে সমাধির ওপর তা পুতে দিলে। আলভারেজের কাগজপত্রের মধ্যে ওপর্টে খনি-বিদ্যালয়ের একটা ডিপ্লোমা ছিল ওর নামে । তাদের শেষ পরীক্ষায় আলভারেজ সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছে। ওর কথাবাৰ্ত্তায় অনেক সময়ই শঙ্করের সন্দেহ হতো যে, সে নিতান্ত মূখ, ভাগ্যান্বেষী, ভবঘুরে নয়। লোকালয় থেকে বহুদূরে এই জনহীন, গহন অরণ্যে ক্লান্ত আলভারেজের রত্নানুসন্ধান শেষ হল। তার মত লোকের রত্বের কাঙাল নয়, বিপদের নেশায় পথে পথে ঘুরে বেড়ানোই তাদের জীবনের পরম আনন্দ, কুবেরের ভাণ্ডারও তাকে এক জায়গায় চিরকাল আটকে রাখতে পারতে না । দুঃসাহসিক ভবঘুরের উপযুক্ত সমাধি বটে। অরণ্যের বনস্পতিদল ছায়া দেবে সমাধির ওপর । সিংহ, গরিলা, হায়েন সজাগ রাত্রি যাপন করবে, আর সবারই ওপরে, সবাইকে ছাপিয়ে বিশাল রিখটারসভেল্ড, পৰ্ব্বতমালা অদূরে দাড়িয়ে মেঘলোকে মাথা তুলে খাড়া পাহারা রাখবে চিরযুগ। प्रश्sों সেদিন-সে-রাত্রিও কেটে গেল। শঙ্কর এখন দুঃসাহসে মরীয়া হয়ে উঠেছে। যদি তাকে প্রাণ নিয়ে এ ভীষণ অরণ্য থেকে উদ্ধার পেতে হয়, তবে তাকে ভয় পেলে চলবে না। দু-দিন সে কোথাও না গিয়ে তাবুতে বসে মন স্থির করে ভাববার চেষ্টা করলে, সে এখন কি করবে ! হঠাৎ তার মনে হল, আলভারেজের সেই কথাটা—সল্স্বেরি"-এখান থেকে পূৰ্ব্ব-দক্ষিণ কোণে আন্দাজ পাচ-ছশে মাইল•••••• সলসবেরি -দক্ষিণ রোডেসিয়ার রাজধানী সলবেরি। যে করে হোক, পৌছুতেই হবে তাকে সলসবেরিতে । সে এখনও অনেকদিন বাচবে, তার জন্মকোষ্ঠীতে লেখা আছে । এ জায়গায় বেঘোরে সে মরবে না । 帝 来 肇 米 শঙ্কর ম্যাপগুলো খুব ভাল কলে দেখলে। পটুগিজ গবর্নমেন্টের ফরেস্ট, সার্ভের ম্যাপ, ১৮৭৩ সালের রয়েল মেরিন সার্ভের তৈরী উপকূলের ম্যাপ, ভ্রমণকারী স্তার ফিলিপে ডি ফিলিপির ম্যাপ, এ বাদে আলভারেজের হাতে আঁকা ও জিম্ কার্টারের সইযুক্ত একখানা জীর্ণ বিবর্ণ খসড়া নক্সা। আলভারেজ বেঁচে থাকতে সে এই সব ম্যাপ বুঝতে একবারও ভাল
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (নবম খণ্ড).djvu/৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।