পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अन्त ७ भृङ्का రిశిలి পরনে এক বাইশ তেইশ বছরের কালো-কোলো মেয়ে একটা চুপড়ি পাশে রাখিয়া ঠিক পৈঠার কাছে বসিয়া আছে। তার ছেলেটিও কাছে বসিয়া তখনও গোলাপছড়ি চুৰিতেছে। আমাকে দেখিয়া যেয়েটি খতমত খাইয়া মাথায় ঘোমটা তুলিয়া দিল। দুপুরের বিশ্রামের ব্যাঘাত হওয়ায় মনটা বিরক্ত ছিল, একটু রুক্ষ মুরেই বলিলাম—একটু সরে বস পথ থেকে। চুপড়িটা রাস্তার ওপর কেন ? মেয়েটি ভয়ে ও সঙ্কোচে জড়সড় অবস্থায় চুপড়ি সরাইয় এক পাশে রাপিয়া নিজে যেন - একেবারে মাটির সহিত মিশিয়া গেল । সন্ধ্যার কিছু আগে উকীলদের ক্লাবে টেনিস খেলিয়া বাসায় ফিরিতেছি, দেখি বাসার পাশে বড় রাস্তার ধারে তুততলার শুকনো পাতার উপরে আমার বোনের সই তাহার ছেলেটিকে লইয়া বসিয়া আছে। পাশে সেই চুপডি ও একটা ছোট ময়লা কাপড়। সন্ধ্যা হইবার দেরি নাই, তুতগাছের মগডালেও আর রোদ দেখা যায় না। হাবুলের বাপ এখনও পাটালি বিক্রি করিয়া হাট হইতে ফিরে নাই। মেয়েটি যেন কেমন ভরসা-হারা নিরাশ মুখে বসিয়া আছে, অন্তত: তেমন হাসিখুশির ভাব আর দেখিলাম না। রামশরণ দারোগার গল্প রামশরণবাবু আমাদের সান্ধ্য-আড্ডায় নিত্যই আসেন, কিন্তু কথাবার্তা বড একটা বলেন না । তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের কৰ্ম্মচারী, জীবনে অনেক জিনিসই দেখেছেন,—আমাদের অনেকের চেয়ে বেশি দেখেছেন। কিন্তু তিনি এসেই একটা তাকিয়া আশ্রয় ক’রে সেই যে আড হয়ে শুয়ে পড়েন, যতক্ষণ না আড়ার শেষ লোকটি চলে যায়—ততক্ষণ তিনি চোখ বুজে এবং নিজে নির্বাক থেকে অন্ত সকলের কথা মন দিয়ে শোনেন । * * * সেদিন সন্ধ্যা থেকেই মেয়েদের প্রেম ও তার মূলা—এই ধরনের একটা আলোচনা চলছিল। এ সম্বন্ধে যার যা অভিজ্ঞতা সকলেই কোন না-কোন ঘটনা বলছে। রামর্শরণরাবু তাকিয়া ঠেস দিয়ে শুয়ে চোখ বুজেই বলে উঠলেন, আমার চাকুরীজীবনে একটা ব্যাপার একবার ঘটেছিল, অনেকদিন হলেও এখন এ ভূলিনি। আরও ভুলিনি এই জন্তে যে ব্যাপারটা আমার কাছে একটা সমস্তার মতো চিরকাল রয়ে গিয়েছে, যদিও কত জটিল সমস্যারই মীমাংসা করে বেড়িয়েছি সারা জীবন ! বলি শুনুন ঘটনাট । আমি তখন থাকি আলমপুর থানায়। কলকাতার অত কাছে, বড় শহরের উপকণ্ঠে, চুরি জ্বাচুরির আজ্ঞা বেশি–একথা পুলিশ-কর্মচারী মাত্রই জানেন। এক মাসের মধ্যে কলকাতা পুলিশ থেকে অন্ততঃ সাত বার জিজ্ঞেস করে পাঠাল—আমাদের এলাকার কোন বাগান-বাড়ীতে একজন নোট জাল করছে, তার সম্বন্ধে আমরা কিছু জানি কি না। আর সাত বার জিজ্ঞেস করে পাঠাল-বাগান-বাড়ীতে ৰোমার কারখানা বসেছে, আমরা সে বিষয়ে