পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৪৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6३० বিভূতি-রচনাবলী —আপনি বাকিয়াচুর দেখেন নি, চিটমিটি দেখেন নি, জাতে দেখেন নি— —জাতে ? সে আবার কি রকম নাম ? চিটিমিটিই বা কি নাম—- —হো-ভাষার নাম। ও অঞ্চলের বনের বাসিন্দা সবই হে!—যেমন রাচীর ওদিকে সব মুণ্ডা। চলুন আপনাকে ওদিকটা দেখিয়ে আনি— আমার আসল বন ভ্ৰমণ এইভাবে শুরু। ৩রা জানুয়ারী। বন্ধুরা মোটর নিয়ে এলেন। জিনিসপত্র বাধাছাদা হোল। রোরো নদী পার হয়ে আমাদের গাড়ী সোজা চললে। রণচী-রোড বেয়ে প্রায় মাইল দশেক। তারপরেই বাদিকের ফরেস্ট-রোড ধরে বরকেলা পাহাড়শ্রেণীর দিকে চললে । চাইবাসা" ছাড়িয়ে উন্মুক্ত প্রাস্তরের বড় শোভা। রাঙা মাটি, উচ্চাবচ ভূমিভাগ, ছবির মত দেখতে সমস্তটা। মুশকিল হয়েছে, যারা সেখানে অনেকদিন আছে, তারা সেখানকার সৌন্দৰ্য্য ভালো ধরতে পারে না। টাইবাসার বাসিন্দাজের অনেকের মতে এসব এমন श्रांद्र कि ? - এখানে একটা কথা মনে পড়লে । ঘাটশিলা থেকে সাত আট মাইল দূরে বেশ একটি নির্জন বনভূমি ও ক্ষুত্র একটি ঝর্ণ অাছে। তার প্রবেশপথটি সত্যই অতি স্বদুখ । শরৎকালে, পৰ্ব্বতসাল্লুর বনে অজস্র বনশিউলি ফুল ফুটে ঝরেছে শিলাতল বিছিয়ে, শিশিরার্ক্স বনস্থলীর স্বগন্ধ মনে শাস্তি আনে, তৃপ্তি আনে, নব নব কল্পনা জাগায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেদিন আমাদের সঙ্গে এক বড়ম্বরের বধু ছিলেন, তিনি সারা পথ কেবল ঠোট বেঁকিয়ে বলতে লাগলেন—এ কি আর এমন । কাশ্মীরে যা দেখেছি তার তুলনায় এ— আমি তার কথার প্রতিবাদ করছি নে। কাশ্মীর ভালো নয় কেউ বলছে না- তা বলে, ষে একবার কাশ্মীর দেখেছে তার কাছে সব প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য বিস্বাদ হয়ে যাবে, আর কিছু থেকে সে আনন্দ পাবে না, গাছপালা নদী প্রাস্তরের সৌন্দর্ঘ্য দেখবার সহজ চোখ সে হারিয়ে ফেলবে । এ দি হয় তবে কাশ্মীর না দেখাই মঙ্গলজনক ! বরকেলা শৈলশ্রেণীর মধ্যে বনপথে অনেকখানি গিয়ে সৈদবা নামে একটি বন্ধগ্রাম আছে। সেখানে বন-বিভাগের কৰ্ম্মচারীদের জন্য একটি বাংলো আছে। বেল প্রায় বারোটা । রান্নাবান্না করে খেয়ে নিতে হবে এখান থেকে । আমরা চা খেয়ে বাংলোর আরাম-কেদারায় গল্প করি কিছুক্ষণ । D BB DBBDSDBBSBBBD DD DDDD DB BBBD K K DD DDBBB छांबू*? ! —কেন ? --রাত্রে এই বাংলোর বারানাতেই আমি বাৰ চরতে দেখেছি। —গ্রাম তে রয়েচে নিকটে । f \