পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৪৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনে-পাহাড়ে 8¢ፃ পাহাড়-মান আকৃতির, নানা ধরণের। কোঁটার আকার পিরামিডের মত কোনোটার বা মন্দিরের মত, কোনোট নর্মান ক্যাসল-এর মত, কোনোট বিরাটকায় শিবলিঙ্গের মত, কোনোটা গম্বুজাকৃতি। কোনোটার রং কালো, কোনোটা মেটে সি দুরের মত রাঙা, কোনোট ধূসর, কোনোট ঝকঝকে মিছরির মত সাদা কোয়াংজ, পাথরের। প্রত্যালয় শীতের অপরাহ্লের রাঙা রোদ কোনো কোনোটার মাথায় । হ হ ঠাও। হাওয়া বইচে, খড়কাই নদীর দিক থেকে। পশ্চিমে বহুদূরে দিকচক্রবালের অনেকটা জুড়ে স্বীর্ঘ বরকেল পাহাড়শ্রেণী, তারই পিছনে এখন টকৃটকে রাঙা সূৰ্য্যটা অস্ত যাচ্চে। চারিপাশের সেই সব অদ্ভূত-দর্শন পাহাড় দেখে মনে হয় আমেরিকার কোনো ছন্নছাড়া মরুভূীি মধ্যে বসে যেন space-এর সমূত্রে ডুবে আছি, থৈ থৈ space-এর সমুদ্র, কুলকিনারা দেখা যায় না। মনে হয় কলকাতার সরু এদে গলির মধ্যে আলোবাতাসমূন্ত একতলা জুরে যার বাস করে, পর দিন, মাসের পর মাস, স্বারা স্বৰ্য্যাস্ত দেখবার স্বৰোগ পায়ন মুক্তরূপ। BBBB BBBS BBBS BBBB BBBBB BB BBB BB BB BBB দেখে নি, নির্জন পাহাড়ের সমতল শিলাসনে বলে দূরের গিরিমালার দি*েচেয়ে"কে নি কখনো বার, তাদের নিয়ে আসি, তাদের এ সব দেখাই। এমন অনেক গরীব গৃহম্বের কথা আমার মনে হয় এই সব মুক্ত স্থানে বসলেই। আমি জানি তাদের, কি ভাবে তারা क्षएक ! ওদেরই মধ্যে একটি বধূ আমাকে বলেছিল--দাদা, তারকেশ্বর কোন দিকে ? —কেন ? —সেখানে একবার যেতে ইচ্ছে করে— —গেলেই হয়। বেশি দূর তো নয়। –তাই তো দাদা, পয়সায় ষে স্কুলোর নী উনি যা পান তাতে এই ঘরভাড়া দিয়ে খেয়ে দেয়ে কি থাকে বলুন। কতদিন থেকে ভাবচি— —এই বাসায় কতদিন আছ তোমরা ? —হয়ে গেল সাত বছর । আমার ঐ খুকির বয়েস, দাদা। —কোথাও স্বাওনি এই সাত বছরের মধ্যে ? —স্থ্য, যাচ্ছি। কোথায় যাবো ? আপনি পাগল ! পয়সা কোথায় ? যখন কোথাও যাই, কোনো ভাল জিনিস দেখি, তখন আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয়া সেই বস্তুটির কথা মনে পড়ে। 苓 পরেশবাৰু একটা গল্প জুড়ে দিলেন। আমরা খাবারের হাড়ি খুলে শালপাতায় খাবার . ভাগ করে দিতে থাকি। তারপর সবাই খাই, আর চারিদিকে চাই। এ ঠিক আরিজোনার মরুভূমি, নিগুৰু সন্ধ্যায় এখুনি দূরে কোথাও কোয়াটু ডেকে উঠবে, যার ছন্নছাড়া চীৎকার শুনলে নিজন মরুপ্রাপ্তরে অতি বড় সাহসী পথিকেরও হস্কেপ উপস্থিত হয়।