পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1ሥ" আলোচনা করার ও ঝোঁক ছিল খুব । উদ্ভিদ তত্ত্ব এবং জ্যোতির্তির সম্বন্ধোন্ত আলোচনা পছন্দ কবিতেন। এবং সর্বদাই এই সকল বিদ্যা সম্পর্কে অপবকে উৎসাহিত করিতে চাচিতেন। বাংলা বইয়ের মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্ৰেন্থ ‘বাজসিংস্ক’ তাহার ‘প্রিয় গ্ৰন্থ ছিল। সারা গৃহে নানাবিধ গ্ৰন্থ ও পঞ্জ-পত্রিকা ছড়ানো থাকিত। বই-পত্ৰ আলমারিতে গুছাইলা রাখা পছন্দ করিতেন না। যখন-তখন যে-কোন বই পড়ার ইচ্ছা হইলে ঘাহাতে হাতের কাছে পান-বোধ হয়। সেই জন্যই । তঁহার মন বরাববই ঈশ্বরাভিমুখী ছিল। প্ৰাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে তিনি মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথেব মতো ঈশ্বরে বই মহিমা দেখিতেন। শেষজীবনে এই ভক্তি ও বিশ্বাস প্রেমে পরিণত হইয়াছিল। বেশীক্ষণ কোথাও বৈষয়িক বা জডজাগতিক আলোচনা হইলে পপাইলা উঠতেন, বলিতেন, “মানুন, একটু ভগবানের কথা अiशibन] कब्रों भांक ।' বিভূতিভূষণ অতি প্ৰত্যুষে ঘুম হইতে উঠিয়া, গ্রামে থাকিলে শীত বা গ্রীষ্মে যে ঋতুতেই হোক “ইছামতী” নদীতে স্নান কবিয়া আসিয়া লিখিতে বসিতেন। প্ৰথমে দিনলিপি লিখিতেন ও চিঠিপত্রের উত্তর দিতেন । ৭টী-৭iটার মধ্যে চা-সংযোগে প্রাতরাশ সারিতেন। কটা-মটার মধ্যে আহার সারিয়া একটি সন্থা-ভাঙা গাছের ডাল বা বঁাশেক কঞ্চি হাতে লইষা গোপালনগর উচ্চ ইংরাজি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা কবিতে যাইতেন। আবার বৈকালে বিদ্যালয় হইতে ফিরিয়া কিঞ্চিৎ জলযোগের পাবে “ইছামতী”ৰ বা বঁওডেব ধারে কোন কতিত বৃক্ষাকাণ্ডের উপরে গিয়া বসিতেন। নীরবে বসিয়া আকাশের নব-নব মাম্বাকপ ও রক্ত-সন্ধ্যায় শোভা দেখিতেন । সন্ধ্যাবেলাষ প্ৰতিবেশীদেল ছেলেমেযেখা। ভিড় করিয়া পডিতে আসিত । তিনি সানন্দে তাহাদের পডা বাির্লয দিতেন। গল্প বলিতেন। অপেক্ষাকৃত শীঘ্রই বিভূতিভূষণ রাত্রির আহার সম্পন্ন করিতেন। আহাবের পাব কোনো কোনো দিন গল্প-গুজন কবিতে বাডিবা বাহিবে। DLuuBDS SDD LLtSrD DBLB DDD DBB BBBBD DBBDDBO K SBBDBBBO নৈশশোভা দেখিতে দেখিতে রাত্ৰি গভীৰ্থ হইয়া যাইত। এই সময়ে গুনগুন কবিয়া স্বৰচিত গান গাহিতেন। সে-সব গান কেহ লিখিযা বাখে নাই । অনেক সময় কান পাতিয়া কীট ও পতঙ্গেব গুঞ্জন শুনিতেন। তঁহার প্রতিদিনেব জীবনচর্যান্য একটা সুন্দৰ ছন্দ ছিল। তিনি এই সাধাবণ জীবন হইতে, সাধাৰণ মাসুষেবা মধা হইতেই হঁহার সাহিতে্যুব প্রাণরস আহরণ করিতেন। 'পথেল পাঁচালী” প্রসঙ্গে তিনি একশর দিলীপকুমাব বায়কে লিখিয়াছিলেন : ‘আমি কোনো বড় ঘটনাব্য বিশ্বাসাবান নাই দৈনন্দিন ছোটখাটো সুখ-দুঃখের মধ্যে দিয়ে যে জীবনধারা ক্ষুদ্র গ্ৰাম্য নদীব্য মত মঙ্গব বেগে অথচ পবিপূর্ণ বিশ্বাসেবী ও আনন্দোব সঙ্গে চলেছে-আসল জিনিসটা সেখানে কোনো কৃত্ৰিম প্লষ্ট সাজানো, পাচ কম্বা, কৃত্রিম সিচুয়েশন তৈরী করা-আমি মানি না। নভেল কেন কৃত্রিম হবে ? প্রতিদিনের অমূল্য দানকে ছুড়ে ফেলে দিযে কৃষিমতার মালা গাঁথা ও তারই বেসাতি শুধু টেকনিকোব বেসাতি হয়ে দাড়ায়। কোনো স্বাস্থ্য, সতর্ক ও অন্যাস মনেব বিভিন্নমুখী কৌতুহল তাতে চবিজ্ঞার্থ হয় না।” ( পরিচয় ১ম বর্ষ, মাঘ, ১৩৩৮, পৃঃ ৪৩৩ )