পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*gषंङ्ग । &&. এই গল্পগুজব এক এক দিন আবার অভাব ও কল্পনার সর্বোচ্চ স্তয়ে উঠিত, গ্রামের ওপাড়ার রাজকৃষ্ণ সাঙ্গ্যাল মহাশয় যেদিন আশিতেন। যে কোনো গল্প হউক, যত সামান্তই হউক না কেন, সেটি সাজাইয়া বলিবার ক্ষমতা ভঁহায় ছিল অসাধাৱণ । সায়্যাল মহাশয় দেশভ্রমণ-বাতিক গ্রন্তু ছিলেন । কোথায় দ্বারকা, কোথায় সাবিত্রী পাহাড়, কোথায় চন্দ্ৰনাথ, তাহা আবার একা দেখিয়া তাহার তৃপ্তি হইত না, প্ৰতিবারই শ্ৰী-পুত্ৰ লইয়া যাইতেন এবং খরচপত্র করিয়া সৰ্ব্বস্বাস্ত হইয়া ফিরিতেন। দিব্য আন্নামে নিজের চণ্ডীমণ্ডপে বসিয়া থেলো হুক টানিতেছেন, মনে হইতেছে সাল্লাল মহাশয়ের মতন নিতান্ত ঘরোয়া, সেকেলে, পাড়াগায়ের প্রচুর অবসরপ্রাপ্ত গৃহস্থ বেশী আর বুঝি নাই, পৈতৃক চণ্ডীমণ্ডপে শিকড় গাড়িয়া বসিয়াছেন। হঠাৎ একদিন দেখা গেল সদর দরজায় তালাবদ্ধ, বাড়ীতে জনপ্রাণীর সাড়া নাই। ব্যাপার কি ? সাম্যাল মশায় সপরিবারে বিন্ধ্যাচল, না চন্দ্রনাথ ভ্ৰমণে গিয়াছেন। অনেক দিন। আর দেখা নাই, হঠাৎ একদিন দুপুর বেলা ঠকঠক শব্দে লোকে সবিস্ময়ে চাহিয়া দেখিল, দুই গরুর গাড়ী বোঝাই হইয়া সায়্যাল মশায় সপরিবারে বিদেশ হইতে প্ৰত্যাগমন করিয়াছেন ও লোকজন ডাকাইয়া হাঁটুসমান উচু জলবিছুটি ও অৰ্জ্জুন গাছের জঙ্গল কাটিতে কাটিতে বাদী তুলিতেছেন। একটা মোটা লাঠি হাতে তিনি লম্বা লম্বা পা ফেলিয়া পাঠশালায় আসিয়া উপস্থিত হইতেন ---এই যে প্ৰসন্ন কি রকম আছে, বেশ জাল পেতে বসেচ যে । ক'টা মাছি পড়লো ! নামৃত-মুখস্থ-য়ত অপুর মুখ আমনি অসীম আহিলাদে উজ্জ্বল হইয়া উঠিত। সান্ন্যাল মশায় যেখানে তালপাতার চাটাই টানিয়া বসিযাছেন, সেদিকে হাতখানেক জমি উৎসাহে আগাইয়া বসিত। শ্লেট বই মুডিয়া একপাশে রাখিয়া দিত যেন আজ ছুটি হইয়া গিয়াছে, আর পড়াশুনার দরকার নাই , সঙ্গে সঙ্গে তাহার ভাগর ও উৎসুক চোখ দুটি গল্পের প্রত্যেক কথা ধেন দুভিক্ষের ক্ষুধার আগ্রহে গিলিত। কুঠির মাঠের পথে যে জায়গাটাকে এখন নালতাকুডির জোল বলে ঐখানে আগে-অনেক কাল আগে-গ্রামের মতি হাজরার ভাই চন্দবু হাজরা কি বনের গাছ কাটিতে গিয়াছিল। বর্ষাকাল-এখানে ওখানে বৃষ্টির জলের তোড়ে মাটি খসিয়া পড়িয়াছিল, হঠাৎ চন্দ্ৰন্থ হাজাৱা দেখিল এক জায়গায় যেন একটা পিতলের ইড়ির কানা মত মাটির মধ্য হইতে একটুখানি বাহির হইয়া আছে। তখনই সে খুঁড়িয়া বাহির করিল। বাড়ী আসিয়া দেখে এক হাঁড়ি সেকেলে আমলের টাকা। তাই পাইয়া চন্দর হাজরা দিনকতক খুব বাধুগিরি করিয়া বেড়াইল ---এসব সায়্যাল মশায়ের নিজের চোখে দেখা ৷ এক একদিন রেলভ্রমণের গল্প উঠিত। কোথায় পাবিত্রী পাহাড় আছে, তাহাতে উঠিতে তাহায় স্ত্রীর কি রকম কষ্ট হইয়াছিল, নাভিগয়ায় পিণ্ড দিতে গিয়া পাণ্ডার সঙ্গে হাতাহাতি হুইবার উপক্রম। কোথাকার এক জায়গায় একটা খুব ভাল খাবার পাওয়া যায়, সামাল মশায় নাম বলিলেন-প্যাড়া। নামটা শুনিয়া অপুত্ৰ ভারি হাসি পাইয়াছিল-বড় হুইলে সে “প্যাডা’ কিনিয়া খাইবে । هـدف ع م)