পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਮਸ਼ ਅੱਸੇ &gግ দেখা যাচ্চে, তখন সেই লোক ক’জন বল্পে-ওস্তাদজী, আমাদের ঘাট হয়েচে, আমরা বুঝতে পারিনি, ছেড়ে দাও। বুধে গাড়োয়ান বল্লে-সে হবে না ব্যাটার । আজি সব থানায় নিয়ে গিয়ে বঁধিয়ে দোব। অনেক কাকুতি-মিনতির পর বুধে বল্পে— আচ্ছা যা ছেড়ে দিলাম। এবার, কিন্তু কক্ষনো এরকম আর করিাসনি! তবে তারা বুধে গাডোয়ানের পায়ের ধুলো নিয়ে চ'লে গেল। আমার স্বচক্ষে দেখা । মন্তরের চোটে ওই যে ওরা বঁাশ এসে ধরেচে, অমনি ধ’রেই রয়েচে-আয় ছাড়াবার সাধি নেই-চলেছে গাড়ীর সঙ্গে ! একেবারে পেরোক-আঁটা হয়ে গিয়েচে । তা বুঝলে বাপু ? মন্তৱ-তন্তরের কথা— গল্প বলিতে বলিতে বেলা যাইত। পাঠশালার চারিপাশের বনজঙ্গলে অপরাহ্রের রাঙা রৌদ্র বঁকা ভাবে আসিয়া পড়িত। কঁঠালগাছের জগডুমুৱগাছের ডালে ঝোলা গুলঞ্চলতার গায়ে টুনটুনি পাখী মুখ উচু করিয়া বসিয়া দোল খাইত। পাঠশালাঘরে বনের গন্ধের সঙ্গে লতাপাতার চাটাই, ছেড়াখোড়া বই-দপ্তর, পাঠশালার মাটির মেজে ও কড়া দা-কাটা তামাকের ধোঁয়া, সবসুদ্ধ মিলিয়া এক জটিল গন্ধের সৃষ্টি করিত । সে গ্রামের ছায়া-ভরা মাটির পথে একটি মুগ্ধ গ্ৰাম্য বালকের ছবি আছে। বইদপ্তর বগলে লইয়: rল তাহার দিদির পিছনে পিছনে সাজিমাট দিয়া কাচা, সেলাই করা কাপড় পরিয়া পাঠশালা হইতে ফিরিতেছে, তাহার ছোট মাথাটির অমন রেশমের মত নৱম, চিকুণ সুখ-স্পর্শ চুলগুলি তাহার মা যত্ন করিয়া আঁচড়াইয়া দিয়াছে—তাহার ভােগর ভােগর সুন্দর চােখ দুটিতে কেমন যেন অবাক ধরণের চাহনি-ধেন তাহারা এ কোন অদ্ভুত জগতে নতুন চোখ মেলিয়া চাহিয়া চাহিয়া দিশহারা হইয়া উঠিয়াছে। গাছপালায় ঘেরা এইটুকুই কেবল তার পরিচিত দেশ-এখানেই মা রোজ হাতে করিয়া খাওয়ায়, চুল আঁচড়াইয়া দেয়, দিদি কাপড় পরাইয়া দেয়, এই গণ্ডীটুকু ছাড়াইলেই তাহার চারিধারে ঘিরিয়া অপরিচয়ের আকুল জলধি ! তাহার चित्युधन ११ अंश ना । ঐ যে বাগানের ওদিকের লাশবন-ওর পাশ কাটিয়ে সে সরু পথu{ ওধারে কোথায় চলিয়া গেল।--তুমি বরাবর সোজা যদি ও পথটা বাহিয়া চলিয়া যাও তবে শাঁখারীপুকুরের পাড়ের মধ্যে অজানা গুপ্তধনের দেশে পন্ডিবে-বড় গাছের ৩লায় সেখানে বৃষ্টির জলে মাটি খসিয়া পড়িয়াছো-কত মোহর ভর হাড়ি-কলসীর কানা বাহির হইয়া আছে, অন্ধকার ধনঝোপের নীচে, কচু ওল ও বন-কলমীর চকচকে সবুজ পাতার আড়ালে চাপ—কেউ জানে না কোথায় । একদিন পাঠশালায় এমন একটি ঘটনা হইয়াছিল, যাহা তাহার জীবনের একটি নতুন অভিজ্ঞতা । সেদিন বৈকালে পাঠশালায় অন্য কেহ উপস্থিত না থাকায় কোন গল্পগুজব হইল না, পড়াশুনা হইতেছিল-সে গিয়া বসিয়া পড়িতেছিল শিশুবোধক—এমন সময় গুরুমহাশয় বলিলেন-শেলেট নেও, শ্রতিলিখন লেখো মুখে মুখে বলিয়া গেলেও অপু বুঝিয়াছিল। গুরু মহাশয় নিজের কথা বলিতেছেন না, মুখস্থ