মৃত্যুর পাঁচ-সাতদিন পূর্বে পূজার অবকাশে “শেষ লেখা।” গল্পটি লিখিয়া শেষ করেন। মৃত্যুর পর উহ। তাহার লিখিবার বাক্সে পাওয়া যায়। বিভূতিভূষণ প্রায় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সাহিত্য-সাধনা করিয়া গিয়াছেন। এবং প্রকৃত সাধকের মতো তাহাতে উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছেন। খ্যাতি ও অর্থ আসিয়া তাহার সাহিত্য”- সাধনাকে বিপর্যন্ত করিতে পারে নাই। জীবনের শেষ দশ বৎসর বিভূতিভূষণ র্তাহার সাধের বারাকপুর গ্রামে বাস করিয়াছিলেন। এই সময়েই তিনি অজস্র উল্লেখযোগ্য সাহিত্য সৃষ্টি করেন। তঁহার বিখ্যাত উপখ্যাস “অসুবর্তন’, ‘দেবধান’, ‘’অশনিসংকেত’, ‘ইছামতী’ প্রভৃতি একালেই লিখিত হয় । বহু সার্থক ছোট গল্পও এ সময়ে রচনা করেন। এই কালেই তাহার একমাত্র পুত্রসস্তান বাবলু বা তারা দাস জন্মলাভ করে। বাণীৰ্থ বরপুত্ৰ প্ৰকৃতিপ্রেমিক বিভূতিভূষণ ঘাটিশীলায় স্বগৃহে ১৫ কাতিক বুধবার, ১৩৫৭ ( ১ নভেম্বর, ১৯৫• ) সালে রান্ত্রি ৮-১৫ মিনিটে সন্ধানে পরলোকগমন করেন । শ্ৰীচণ্ডীদাস চট্টোপাধ্যায়
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।