2ელაtâ êtibirit ዓሳ অপু দুটিয়া পাচিলের পাশের পথ দিয়া পিছনের বঁাশবাগানের দিকে ছুটিল। আকাশে মেঘ তখনও থমকিয়া আছে, বাশবনের তলাটা ঝোপে-ঝাড়ে নির্জন বর্ধাসন্ধ্যায় ঘুট্ফুটে অন্ধকায় । সহজ অবস্থায় এরূপ স্থানে এ-সময় একা আসিবার কল্পনাই সে করিতে পাক্সিত না কোনদিনও । কিন্তু বৰ্ত্তমানে চারিধারের নির্জনতা ও অন্ধকার, বাশঝাডের মধ্যে কিসোল খড়খাড় শব্দ, অদূরে লিলতে-খাগী আমগাছে ভূতের প্রবাদ সম্পূর্ণ বিশ্বত হইয়া দাডাইয়া দাড়াইয়া ভাবিতে লাগিলBB iiSEB DD DBD B uDu SS0 YDB DBB D DB DS অভিমানের প্রথম বেগটা কাটিয়া গেলে তাহার একটু গা ছমছম করিতে লাগিল-ভয়ে ভয়ে সে একবার দূরের সঙ্গীতে-খাগী আমগাছটার দিকে চাহিয়া দেখিল। তাহার মনে হইলএখন যদি একটা ভূতে আমায় তুলে একেবারে মগডালে নিয়ে যায় তো বেশ হয়-মা খুজে খুজে কেঁদে মারে।--ভাবে, কেন সন্দেবোলা ছাই খাও বল্লাম, তাইতে খোকা আমার রাগ ক’রে কোথায় অন্ধকারে মেঘ মাথায় বেরিয়ে চ'লে গেল, আর ফিরে এলো না। ভূতের হাতে সে মরিয়া গেলে মা’র কি রকম কষ্ট হইবে তাহা সে খানিকক্ষণ প্ৰতিহিংসায় আনন্দে উপভোগ কৱিল। পরে সেখান হইতে সে গিয়া পাচিলের পাশের পথে দাড়াইল । তাহার ভয়-ভয় করিতেছিল---সম্মুখের বঁাশঝাড়ে একটা যেন অস্পষ্ট শব্দ হইল, অপু একবার ভয়ে ভয়ে চোখ উচু করিয়া চাহিয়া দেখিল। তাহার মা ও দিদি রাণুদের বাড়ীর দিকে ডাকিতেছে-ও অপুৰ উ-উ । বঁাশকড়ে আবার যেন একটা শব্দ হইল । সে মনে মনে বড় অস্বস্তি বোধ করিতে লাগিল। কিন্তু মুস্কিল এই যে, তাহাকে খোসামোদ না করিলে সে নিজেই অত রাগের মাথায় বাড়ী গিয়া ঢুকিবে, সত্য সত্য এতটা আত্মসন্মানজ্ঞানশূন্য সে নয় নিশ্চয়ই। এবার তাহার দিদি ৱাণুদের বাড়ীর খিডাকী দিয়া বাহির হইয়া আসিতেছে ধেন। সে ছুটিয়া দরজার সামনে পাচিলের কোণটাতে দাড়াইল । হঠাৎ অ্যাসিতে অ্যাসিতে পাচিলের পাশে চোখ পড়িতেই দুৰ্গা চেঁচাইয়া বলিয়া উঠিল, ওই দাড়িয়ে রয়েচে মা !--এই দ্যাখে পাচিলের পাশে । পরে সে চুটিয়া গিয়া ভাইয়ের হাত ধরিল। (ছুটিবার আবশ্যকতা ছিল না )—ওরে দুষ্ট, এখানে চুপটি ক’রে দাড়িয়ে থাকা হয়েচে, আর আমি আর মা সমস্ত জায়গা খুঁজে বেড়াচ্চি, এই স্থাখো । দুজনে মিলিয়া তাহাকে বাড়ীর মধ্যে ধরিয়া লইয়া গেল । ষোড়শ পরিচ্ছেদ এবার বাড়ী হুইতে ঘাইবার সময় হরিহর ছেলেকে সঙ্গে করিয়া লইয়া চলিল। বলিল—বাড়ী থেকে কিছু খেতে পায় না, তবুও বাইরে বেফলে দুধটা, ঘিটা-ওর শরীরটা সাবৃবে এখন। অপু জন্সিয়া অবধি কোথাও কখনো যায় নাই। এ গায়েরই বকুলতলা, গোসাঁইবাগান, চালতোতলা, নদীর ধার-বড় জোর নবাবগঞ্জ যাইবার পাকা সড়ক—এই পৰ্যন্ত তাহার দৌড়। মাঝে মাঝে বৈশাখ কি জ্যৈষ্ঠ মাসে খুব গরম পড়িলে তাহার মা বৈকালে নদীর ঘাটে দাড়াইয়া
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।