পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sy विष्ट्रख्रि-ब्रष्नांवऔ খার্কিত। নদীর ওপায়ের খড়ের মাঠে বাৰুলা গাছে গাছে হলুদ রংএর ফুল ফুটিয়া খার্কিত, গরু, চরিত, মোটা গুলঞ্চলতা-ফুলানো শিমূল গাছটাকে দেখিলে মনে হুইত যেন কতকালের পুরাতন গাছটা। রাখালের নদীর ধারে গরুকে জল খাওয়াইতে আসিত, ছোট একখানা ঙ্গোলে-ভিঙ্গি বাহিয়া তাহদের গায়ের আক্ৰীৱ মাৰি মাছ ধরিবার দোয়াড়ি পাতিতে যাইত, মাঠের মাঝে মাঝে কাড় ঝাড়ু সোদালি ফুল বৈকালের বিবুঝিরে বাতাসে দুলিতে থাকিস্তঠিক সেই সময়ে হঠাৎ এক একদিন ওপারের সবুজ খড়ের জমির শেষে নীল আকাশটা যেখানে আসিয়া দূর গ্রামের সবুজ বনরেখার উপর কুকিয়া পড়িয়াছে, সেদিকে চাহিয়া দেখিতেই তাহার মনটা যেন কেমন হইয়া যাইত-সে সব প্ৰকাশ কঢ়িয়া বুঝাইয়া বলিতে জানিত না। শুধু তাঁহার দিদি ঘাট হইতে উঠিলে সে বলিত-দিদি দিদি, দ্যাখ, ভাখ, ঐদিকে-পরে সে মাঠের শেষের দিকে আঙুল দিয়া দেখাইয়া বলিত-ঐ যে ? ঐ গাছটার পিছনে ? কেমন অনেক দূর, না ? দুৰ্গা হাসিয়া বলিত-অনেক দূৱ-তাই দেখাচ্ছিলি ? দু, তুই একটা পাগল! আজ সেই অপু সৰ্বপ্রথম গ্রামের বাহিরে পা দিল। কয়েকদিন পূৰ্ব্ব হইতেই উৎসাহে তাহার রাজিতে ঘুম হওয়া দায় হইয়া পড়িয়াছিল, দিন গুণিতে গুণিতে অবশেষে যাইবার দিন আসিয়া গেল। তাহাদের গ্রামের পথটি বাকিয়া নবাবগঞ্জের সড়ককে ভাইনে ফেলিযা মাঠের বাহিবে আষাঢ় দুর্গাপুরের কাচা রাস্তার সঙ্গে মিশিয়াছে। দুর্গাপুরের রাস্তায় উঠিয়াই সে বাবাকে বলিল --বাবা, যেখান দিয়ে রেল যায় সেই রেলের রাস্তা কোন দিকে ? তাহার বাবা বলিল-সামূনেই পড়বে, এখন চলো না। আমরা রেল লাইন পেরিয়ে 혁적 - সেবার তাদের ব্লাঙী গাইয়ের বাছুর হায়াইয়াছিল। নানা জায়গায্য খুজিয়াও দুই তিন দিন ধরিয়া কোথাও খুজিয়া পাওয়া যায় নাই। সে তার দিদির সঙ্গে দক্ষিণ মাঠে বাছুর খুঁজতে আসিয়াছিল। পৌষ মাশ, ক্ষেতে ক্ষেতে কলাই গাছের ফলে দানা বঁধিয়াছে, সে ও তাহার দিদি নীচু হইয়া ক্ষেত হইতে মাঝে মাঝে কলাই ফল তুলিয়া খাইতেছিল—তাঁহাদের সামনে কিছুদূরে নবাবগঞ্জের পাকা রাস্তা, খেজুর গুড় বোঝাই গরুর গাড়ীর সারি পথ বাহিয়া কঁ্যাচ কঁ্যাচ কৰিতে করিতে আষাঢ়ৱ হাটে যাইতেছিল। তাহার দিদি পাকা রাস্তার ওপারে বহুদূরে বাপলা মাঠের দিকে একদৃষ্টি চাহিয়া কি দেখিতেছিল, হঠাৎ সে বলিয়া উঠিল,-এক কাজ কবি অপু, চল যাই আমরা রেলের রাস্তা দেখে আসি, যাবি ? অণু বিশ্বয়ের সুরে দিদির মুখের দিকে চাহিয়া বলিল-রেলের স্বাস্তা-সে যে অনেক দূর! সেখানে কি করে যাবি ? তাহার দিদি বলিল-বেশী দুৱা বুঝি ! কে বলেচে তোকে-ঐ পাকা রাস্তাৱ ওপারে ce-a অপু বলিল-নিকটে হ’লে তো দেখা যাবে? পাকা স্বাস্তা থেকে দেখা যায়-চল