পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

鲁岱 विष्ट्रऊि-ब्रष्नांवऔ ক’রে মায় খায়।--তাহার দিদিয়া বয়সী অঙ্ক কোনো মেয়ের খেলনায় ঐশ্বৰ্য্য কত বেশী, তাহা লে এ পৰ্যন্ত কোনো দিন দেখে নাই, আজ তুলনা করিয়া দেখিবার সুযোগ পাইয়া দিদির প্ৰতি অত্যন্ত করুণায় তাহার মনটা যেন গলিয়া গেল। তাহার পয়লা থাকিলে সে দিদিকে একটা কলের ঘোড়া কিনিয়া দিত।--আর একটি রবারের বঁাৱ-ভূমি যেদিকে যাও, তোমার দিকে চাহিয়া সেটা চোখ পিটুপিটু করে ••• বধুর কাছে একজোড়া পুরানো তাস ছিল ; ঠিক একজোড়া বলা চলে না, সেটা নানা জোড়া তাসের পরিত্যক্ত কাগজগুলি এক জায়গায় জড়ো কিয়া আছে মাজে-অপু সেগুলি লাইয়া মধ্যে মধ্যে নাড়ে চাড়ে। স্নাপুরি বাড়ীতে মাঝে মাঝে দুপুরবেলা তাসের আডিড বাসিত, B BBB BB LEB L S S S LDBDDS BDBDSSYiZ EE D KBS DD BYSLLL LLK SS BDBS KBL GDDD KB SS LOBBB E BB BB KS এক একদিন তাহের মা তাস খেলিতে যায়, তাহার মাকে লইয়া কেহ বসিতে চায় না, সকলে বলে, ও কিছু খেলা জানে না , এক একদিন তােহর মা তাঁস খেলিতে বসে, এমন ভাব দেখায় যেন সে খুব পাকা খেলোয়াড়-খানিকক্ষণ পরেই কিন্তু ধরা পড়ে। কেউ বলে, ও বোঁ, একি ? এখানে টেকা মেয়ে বসলে যে ! দেখলে না। ওহাতে রংয়ের গোলাম কাটলে ?”— তোমার চোখের সামনে নে ? তাহার মা তাড়াতাড়ি অজ্ঞতা ঢাকিতে যায়, হাসিয়া বলে, তাই তো ! বড় তো ভুল হয়ে গেছে, ও ঠাকুরবি মোটেই তো মনে নেই। পরে সে আবার খেলিতে থাকে, মুখ টিপিয়া হাসে, এর ওর দিকে চায়, এমন ভাবটা দেখায় যে তাহার কাছে সকলের হাতের তালের খবরই আছে, এাষায় একটা কিছু না করিয়া সে ছাড়িবে না-কিন্তু খানিকটা পরে একজন অবাক হইয়া বলিয়া উঠে-একি বোমা, দেখি ? শুমা আমার কি হবে! তোমার হাতে যে এমন বিন্তি ছিল, দেখাও নি?--তাহার মা মুখ টিপিয়া হাসিয়া বিয়ের ভাব কৰিয়া বলে, আছে, আছে, ওর মধ্যে একটা কথা আছে । ইচ্ছে ক’রেই দেখাই নি। সে আসলে বিঙ্কি কিসে হয় সব দানে না।--তাহার খেলুড়ে য়াগ করিয়া বলে-ওয় মধ্যে আবার কথাটা কি শুনি ? এমন হাতটা নষ্ট কল্পে ? দাও তুমি তাল সেজবোঁকে, দাও তোমার আর খেলতে হবে না-চেয়া হয়েচে । তাহার মা অপমান ঢাকিতে গিয়া আবার হাসে-ফেন কিছুই হয় নাই, সব ঠাট্টা, উহারা ঠাট্টা করিয়াই বলিতেছে, সেও সেই ভাবেই লাইতেছে ৭৫ সে যদি একজোড়া তাস পায় তবে সে, মা ও দিদি খেলে। খাওয়া-দাওয়ার পর দুপুরকেলা তাদের বাষ্ঠীর বনের ধারের দিকের সেই জানালাটা-•যেটার কিবাটগুলার মধ্যে কি পোকায় কাটিয়া সরিষার মত গুড়া করিয়া দিয়াছে।--নাভা দিলে ঝুরুঝুরু করিয়া করিয়া পড়ে, পুৱানো কাঠের গুড়ায় গন্ধ বায় হয়—জানালার ধারের বন থেকে দুপুরের হাওয়ায় গন্ধভেদালি লতার কটু গন্তু আলে, রোয়াকের কালমেঘের গাছের জঙ্গলে দিদির পরিচিত কঁাচপোকাটা একবায় ওড়ে, আবার বসে, আবার গুড়ে আবার বলে-নিৰ্মান দুপুরে তারা তিনজনে সেই জানলাটির ধাৱে মাছৰ পাতিয়া বসিয়া আপন মনে তাঁস খেলিবে। কিলে কিলে বিপ্তি হয় তাদের নাই