পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S& विष्ट्रॉडे-ब्रष्नांबौ নিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে এই সরলা খুড়ীমাটির উপর তাহার স্নেহ নিবিড়তার হইয়া উঠিল। সেদিন নাকি গোকুল-কাকা খুড়ীমার মাথায় খড়মেয় বাড়ি মারিয়াছিল---স্বৰ্ণ গোয়ালিনী তাহাজের বাড়ী গল্প করে। সে-ও সেদিন নদীর ঘাটে স্নান কয়িতে গিয়াছিল। খুড়ীমা স্বান করিতে আসিয়া মাথা ডুবাইয়া স্নান করিল না পাছে জ্বালা করে। সেদিন দুঃখে তাহার বুক ফাটিয়া যাইতেছিল; কিন্তু কিছু বলে নষ্ট পাছে খুড়ীমা অপ্ৰতিভ হয়- এক ঘাট লোকের সামুণে লাজ পায়। তবুও রায়-জেঠি জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন-বেীমা নাইলে না ?--খুড়ীমা হাসিয়া উত্তর দিল-নাবো না। আজ আর দিদিমা, শরীরটা ভাল নেই। --- খুড়ীমা ভাবিয়াছিল তাহার মার খাওয়ায় কথা বুঝি কেহ জানে না। কিন্তু খুড়ীমা ঘাট হইতে উঠিয়া গেলেই য়ায়-জেঠি বলিল-দেখেচো বৌটাকে কি রকম মেরেচে গোকুলো, মাথাব চুলে রক্ত একেবারে আটা হয়ে এট আছে। রায়-জেঠির ভারি অন্যায়। জানো তো বাপু, তবে আবার জিজ্ঞেস করাই বা কেন, আর সকলকে বলাই বা কেন ? -- মাছ ধুইয়া রাখিযা চলিয়া যাইবার সময় দুৰ্গা ভয়ে ভয়ে বলিল-খুড়ীমা, তোমাদের চিডেৱ ধান আছে ? মা বলছিল। অপুচিড়ে খেতে চেয়েছে, তা আমাদের তো এবার ধান কেনা হযনি।---গোকুলের বউ চুপি চুপি বলিল-আসিস এখন দুপুরের পর।--দালানের দিকে ইশারায় দেখাইয়া কহিলা-ঘুমূলে আসিস। দুৰ্গা জিজলা করিল-খুড়ীমা, তোমাদের বাড়ী কে এসেছে, আমি একদিনও দেখিনি। কিন্তু। -ঠাকুরপোকে দেখিসনি ? এখন নেই কোথায় বেরিষেচে, বিকেলবেলা আসিস, দেখা হবে এখন।--তারপর গোকুলের বউ হাসিয়া বলিল-তোর সঙ্গে ঠাকুরপোর বিয়ে হলে কিন্তু | || দুৰ্গা লাজায় রাঙা হইয়া বলিল-দুৱা। গোকুলের বউ আবার হাসিয়া বলিল-কেন রে দূর কেন ? কেন আমাদের মেযে কি খারাপ ? দেখি ?--সে দুর্গার চিবুকে হাত দিয়া মুখখানা একটু উঁচু করিয়া তুলিয়া ধরিয়া বলিল-দুখ তো এমন দুগগা-প্ৰতিমার মত সুন্দর মুখখানি ? হোলই বা বাপের পয়সা নেই। দুৰ্গা বঁকুনি দিয়া নিজেকে ছাড়াইয়া লইয়া কহিল—যাও, খুড়ীমা যেন কি-পরে সে একপ্রকায় দুটিয়াই খিড়িকী দোয় দিয়া বাহির হইয়া গেল। যাইতে যাইতে সে ভাবিলখুড়ীমায় আর সব ভাল, কেবল একটু বোকা, নৈলে স্থাখো না---"দুৱ!-- দুৰ্গ চলিয়া ঘাইতে না যাইতে স্বৰ্ণ গোয়ালিনী দুধ দুহিতে আসিল। বধুঘর হইতে বলিলও সম, আমার হাত জোড়া, বাচুরটা ওই বাইরের উঠোনে পিটুলি-গাছে বাধা আছে--নিয়ে আয়, আয় রোয়াকে ঘাঁটিটা মাজা আছে দ্ব্যাখ্যা ••• সখী ঠাকুরুণের এতক্ষণে পুজাঙ্কিক সমাপ্ত হইল। তিনি বাহিরে আসিয়া উত্তর দিকে স্থানীয় কালীমন্দিরের উদ্দেশে মুখ ফিরাইয়া প্ৰণাম করিতে করিতে টানিয়া টানিক্সা আবৃত্তিয় হুরে বলিতে লাগিলেন-দোহাই মাসিদ্ধেশ্বরী, দিন দিও মা, ভৰসমূদৱ পার কোৱো মামা ক্ষোকালী, রক্ষে কোৱো, মা-গো ।