পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

列欧蜥育呼h可帝 Steve গোকুলের বউ স্নান্নাঘর হইতে ভাকিয়া বলিল-ও পিসিমা, নারকোলের নাড়ু, রেখে দিইচি, স্কুটো খেয়ে জল খান । হঠাৎ সখী ঠাকুরুণ রোয়াক হইতে জ্ঞাক দিলেন-বেীমা, দেখে খাণ্ড তো এদিকে। স্বয় শুনিয়া গোকুলের বউ-এর প্রাণ উড়িয়া গেল। সখী ঠাকুরুণকে সে যমের মত ভয় করে। মায়াদিয়া বিতরণ সম্বন্ধে ভগবান সখী ঠাকুরুণের প্রতি কোণ পক্ষপাতিত্ব দেখান নাই -একথা নিঃসন্দেহে বলা চলে। রোয়াকের কোণে জড়ো-করা মাজা বাসনগুলির উপর ঝুকিয়া পড়িয়া, আঙুল দিয়া দেখাইলা কহিলেন-দ্যাখে তো চক্ষু দিয়ে, দেখতে পাচ্ছে ? একেবারে সম্পষ্ট জলের দ্বাগ দেখলে তো ? এইখান থেকে সন্ন ঘটি তুলে নিয়ে গিয়েচে, তারপর সেই শূন্দরের ছোয়া এটা বাসন আবার হেঁসেলে নিয়ে সাত-রাজ্যি জাজানো হয়েচে । হাঃ । জাতজন্মে। একেবারে গেল ! সখী ঠাকুরুণ হতাশভাবে রোয়াকে বসিয়া পড়িলেন । খেন উপযুক্ত পুত্রের মৃত্যুসংবাদ পাইলে ইহার চেয়ে বেশী হতাশ হইতে পারিতেন না। -হাদ্ব’ৱে হাড়হাভাতে ঘরের মেয়ে আনলেই অমনি হয়, ভদর লোকের রীত শিখবেই বা কোথা থেকে - জানবেই বা কোথা থেকে ? বাসন মাজলি তা দেখলি নে এটা গেল কি ৱৈল ? তিনপহার বেলা হয়েচে, ভাবলাম একটু জল মুখে দিই। শূন্দরের এটা, এখখুনি নেয়ে মরতে হোত-ভাগ্যিস ঘাঁটিটা ছুইনি ! গোকুলের বউ বিষ্ণমূখে দ্বাডাইয়া ভাবিতেছিল-কেন মন্তে সন্ন পোড়ারমুখীকে ঘটি তুলে নিতে বল্লাম, নিজে দিলেই হোত । সখী ঠাকুরুণ মুখ খি চাইলা বলিলেন--ধিঙ্গী হয়ে দাড়িয়ে রইলে যে ? যাও ইণ্ডিকুড়ি ফেলে দাও গিয়ে ; বাসন-কোসন মেঙ্গে আনো ফের ; রান্নাঘরে গোবর দিযে নেয়ে এসে । যত লক্ষ্মীছাড়া ঘরের মেয়ে জুটি সংসারটাকে ছারখারে দিলে। --সখী ঠাকুরুণ রাগে গৰ্ব্বগাৱ করিতে করিতে ঘরে ঢুকিলেন, বাহিরের খরবৌদ্র তঁাচার সন্থ হইতেছিল না। হুকুম-মত সকল কাজ সারিতে বেলা একেবাৱে পডিয়া গেল। নদীতে সে যখন পুনরায় স্বান করিতে গেল, তখন রৌদ্রে, ক্ষুধাতৃষ্ণায় ও পরিশ্রমে তাহার মূখ শুকাইযা ছোট হুইয়া fstos ঘাটে বৈকালের ছায়া খুব ঘন, ওপারের বড় শিমূল গাছটােয রোদ চিক চিক্‌ করিতেছে। নদীয় বঁাকে একখানা পাল-তোলা নৌকা দান্ড বাহিয়া বাক ঘুরিয়া যাইতেছে। হালের কাছে একজন লোক দাড়াইয়া কাপড় শুকাইতেছে, কাপডটা ছাড়িয়া দিয়াছে, বাতাসে নিশানের মত উড়িতেছে। মাঝনদীতে একটা বড কচ্ছপ মুখ তুলিক্সা নিঃশ্বাস লইয়া আবার ডুবিয়া গেল-সো- vs-e-e-g নদীর জলের কেমন একটা ঠাণ্ড ঠাণ্ড সুন্দর গন্ধ আসে, ছোট নদী , ওপারের চরে একটা পানকৌড়ি মাছ-ধৱা বাঁশের দোয়াড়ির উপর বসিয়া আছে। এই সময় প্ৰতিদিন তাহার শৈশবের কথা মনে পড়ে