SS বিভূতি-রচনাবলী झूर्ण अछि eqकों कधों पछांक्टिछिल । কাল সে বৈকালে ওপাড়ার খুড়ীমার কাছে বেড়াইতে যায়। একথা সেকথার পর খুড়ীমা জিজ্ঞাসা করিল, দুগগ্ৰা, তোর সঙ্গে ঠাকুরপোর কোথায় দেখা হয়েছিল রে ? সে বলিল-কেন খুড়ীমা ---পরে সে সেদিনের কথা বলিল। কৌতুকের সুরে বলিল, পথ হারিয়ে খুড়ীমা গুতেই-একেবারে গড়ের পুকুর-সেই বনের মধ্যে খুড়ীমা হাসিয়া বলিল-আমি কাল ঠাকুরপোকে বলছিলাম তোয় কথা-বলছিলামগান্ধীবের মেয়ে ঠাকুরপো, কিছু দেবার থোবার সাধি তো নেই বাপেক্স-বড় ভাল মেয়ে-যেন একালেরই মেয়ে না।--তা। ওকে নাওগে না ? তাই ঠাকুরপো তোর কথা-টথা জিগ্যেস করছিল -বল্পে, ঘাটের পথে সেদিন কোথায় দেখা হোল-পথ ভুলে ঠাকুরপো কোথায় গিয়ে পড়েছিলএই সব। তারপর আমি আজ তিনদিন ধ’রে বলুচি শ্বশুর-ঠাকুরকে দিধে তোর বাবাকে বলবো। ঠাকুরপোৱা যেন মত আছে মনে হোল, তোকে যেন মনে লেগেচে দুৰ্গা গোয়াল হইতে বাছুর বাহির করিয়া রৌদ্রে বঁধিল বটে, কিন্তু অস্তুদিন বাড়ীর কাজ তবু তো যাহোক কিছু করে, আজ সে ইচ্ছা তাহার মোটেই হইতেছিল না । এক একদিন, তাহার এরকম মনের অভাব হয়, সেদিন সে কিছুতেই বাড়ীর গাওঁীতে আটকাইয়া থাকিতে পারে না।-- কে তাহাকে পথে পথে পাড়ায় পাড়াঙ্গ ঘুরাইয়া লইয়া বেড়ায়। আজ যেন হাওয়াটা কেমন স্বান্দয়, সকালটা না-গৱম-না-ঠাণ্ডা, কেমন মিষ্ট গন্ধ পাওযা যায় নেবুফুলের-ধেন কি একটা মনে আলে, কি তাহ সে বলিতে পারে না। বাড়ীয় বাহির হইয়া সে রাণুদের বাজী গেল। ভুবন মুখুয্যে অবস্থাপন্ন গৃহস্থ, এই তার প্ৰথম মেয়ের বিবাহ, খুব ঘটা করিয়াই বিবাহ হইবে। বাজিওয়ালা আসিয়া বাজির দরদপ্তর করিতেছে। শীতানাথ ও-অঞ্চলের বিখ্যাত স্নয়নচৌকী বাজিয়ে, তাহারও বায়না হইয়াছে, বিবাহ উপলক্ষে নানাস্থান হইতে কুটুম্বের দল আসিতে সুরু করিয়াছে। তাহদের ছেলে-মেয়েতে বাড়ীয় উঠান সরগরম। দুৰ্গর মনে ভগরি আনন্দ হইল-আর দিনকতক পরে ইহাদেৱই বাড়ীতে কত বাজি পুড়িবে। সে কোনো বাজি কখনও দেখে নাই, কেবল একবার গাঙ্গুলী বাড়ীৱ ফুলদোলে একটা কি বাজি দেখিয়াছিল, হুল করিয়া আকাশে উঠিয়া একেবাৱে যেন মেঘের গায়ে গিয়া ঠেকে, সেখান হইতে আবার পিডিয়া যায়, এমন চমৎকার দেখায় ! --অপু বলে হাউই বাজি । দুপুরের পর মা দালানে আঁচল বিছাইয়া একটু ঘুমাইয়া পড়িলে, সে স্কুড়ৎ করিয়া পুনরায় বাড়ীর বাহির হইল। ফাস্তুনের মাঝামাঝি, রৌদ্রের তেজ চড়িয়ছে, একটানা তপ্ত হওয়ায় রাগুলোর বাগানের বড় নিমগাছটার হলদে পাতাগুলা ঘুরিতে ঘুরিতে ঝরিয়া পড়িতেছে-কেহ কোনদিকে নাই, নেজাদের বাড়ীর দিকে কে যেন একটা টিন বাজাইতেছে । বু-উ-উ-উ করিয়া কি একটা শব্দ হইল। কঁচপোকা । দুর্গ নিজের অনেকটা অজ্ঞাতসারে তাড়াতাড়ি আঁচল মুঠার মধ্যে পাকাইয়া চকিত দৃষ্টিতে চাহিতে লাগিল। কঁচপোকা নয়। সুদৰ্শন পোকা ।
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।