هالریا গণনা করা হয়)--ম্বে, সব কিছুর অন্তরে ছিল উঠার প্রবেশ, আয় তিনি জানতেন জানবান্ধ মত সব কিছুই-“স সর্বজ্ঞঃ সৰ্বমাৰিবেশ।” রবীন্দ্রনাথ ছিলেন মানবজীবনের সর্বপ্রকার প্রকাশ সম্বন্ধে, সাহিত্যের সমস্ত বিভাগ সম্বন্ধে “শতাবধানী”-একসঙ্গে বহু বঙ্গা বহু স্বয় ধ'রে চলতে পাৰ্বতেন। এ ছাড়া সঙ্গীত, নাট, অভিনয়, শিক্ষণ, উপদেশ, রাজনীতি, আন্তর্জাতিক চিন্তু, বিশ্বজনের জীবন-স্পন্দনের সঙ্গে সংযোগ-এইরূপ কত বিষয়ে ছিল তীব্র সক্রিয় আগ্ৰহ। কয় জন লোকের সম্বন্ধে এ কথা বলা যায় ? কিন্তু অন্য মহান ব্যক্তিত্বশালী লেখক বা অঙ্গ। কর্মক্ষেত্রের কর্ম, প্ৰকাশভূমির জ্যোতিষ্ক ধারা, তাদের প্রতিভা বহুমুখী না হ’তে পারে-না হ’লে ক্ষতিও নেই, কিন্তু দুই-একটি বিষয়ে তাদের এমন একটি কৃতিত্ব এমন প্ৰাধান্ত এমন শক্তি থাকবেই, ষেটিতে বা যেগুলিতে তাদের “একপত্রী” বলা যেতে পারে, আব্ব সেখানেই তাদের বৈশিষ্ট্য, তঁাদের মৌলিকতা। 事 বিভূতিভূষণ আর সমস্ত সার্থক-কর্মী দিবাদৃষ্টি-সম্পন্ন লেখকের মত এই দুইটি প্রধান বিষয় বা বস্তু নিয়েই পৃষ্ঠার যা কিছু বলবার তা বলে গিয়েছেন । সে দুইটি বিষয় হচ্ছে-(১) প্ৰকৃতি, wis (r) sty, 1 Nature and Man: Algiri etyvita - fair, vi figy at জগতের মধ্যেই সীমিত, তা এই দুইটির বাইরে আর কোথাও ঠাই পায় না । প্ৰকৃতি আর মানুষের পিছনে, তার আধার বা পটভূমিকা-ৰূপে অবস্থিত একটা Ultimate Reality বা পরম বা চরম সত্তার সম্বন্ধে আমাদের সকলের মনেব। গভীরে একটা আকাজকা বা আগ্রহ আছে। আবার সেই আকাঙ্ক্ষা বা আগ্রহ অনেকের মানে বিশ্বপ্ৰপঞ্চেৱ সঙ্গে বিজড়িত, বিশ্বজগৎকে অতিক্ৰম ক’রে আর সঙ্গে সঙ্গে তাতে অস্থনিহিত থেকে বিদ্যমান আর কাৰ্যকর এক ঐশী শক্তি সম্বন্ধে পূর্ণ বিশ্বাস বা আস্থার কপি গ্ৰহণ ক'রে থাকে। এই আস্থা বা বিশ্বাস, ভৌতিক অর্থাৎ প্ৰাকৃতিক যা মানসিক পদ্ধতিতে প্রমাণ করা হয়তো অসম্ভব, কিন্তু উপলব্ধি আর অনুভূতির মাধ্যমে তা সহজ এবং প্রমাণিত সত্য ব’লেই প্ৰতিভাত হয়। যাদের মনে এই ভাব দৃঢ় বা বদ্ধমূল হ’য়েছে, তঁরা সন্দেহবাদী সংশয়বাদী বা অজোগবাদী নন, তঁরা বিশ্বাসী বা আস্থাশীল ; পঞ্চ ইন্দ্ৰিয়ের সাহায্যে উপলব্ধ দর্শন, শ্রবণ, আত্মাণ, আস্বাদন ও সম্পর্শের অতীত এই সত্তাকে অংশতঃ অথবা পূর্ণতঃ উপলব্ধ বা অনুভূতি-গ্ৰাহ ক’রতে তারা সমর্থ হয়েছেন-এরূপ আত্মবিশ্বাস অথবা আত্মতৃপ্তির অধিকারী ঠাৱা হ’য়েছেন। তঁদের সঙ্গে বিরোধের কোনও অর্থ হয় না, কারণ এটি হ'চ্ছে মূলতঃ ব্যক্তিগত প্রত্যয়ের কথা, যে প্রত্যয়ের সত্যতা সম্বন্ধে তাদের মনে ও ভাবনায় কোনও দ্বিধা বা সংশয় নেই। অবিশ্বাসী সঙ্গনের পক্ষে, অন্ততঃ সৌজন্থের সঙ্গে, নিজেদের পূর্ণজ্ঞানের অভাৰ সম্বন্ধে সচেতন হয়ে, বিশ্বাসী মলের এই সংশয়হীনতাকে শ্ৰদ্ধার সঙ্গেই গ্ৰহণ করা উচিত হবে। বিভূতিভূষণের চিত্ত আর অনুভূতি বিশ্বপ্ৰেপঞ্চের সঙ্গে, প্রকৃতির সঙ্গে, পুথিবীর সঙ্গে, ভুমিশ্ৰীৱ সঙ্গে যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে” ছিল ৷ শিশুকাল থেকেই তিনি বাঙলার পল্লীশ্ৰণীর মধ্যে এমনভাবে মানুষ হ’য়েছিলেন যে, সত্যই তিনি নিজের সন্তাকে নিজের আত্মাকে বনের মধ্যে গাছপালা। নদনদী পাহাড়পর্বত fo, *-» gfrvi-(R)
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।