পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SOB विष्ट्रडि-ब्रष्नांवऔ বঁাশবন ঘেরা বাড়ীতে এক বসিয়া বসিয়া লিখিতেছে, কিন্তু এমন শক্তি নাই যে, তাহাকে বসাইয়া স্বাখে । এখন যদি বলে-খোকা, এস পড়তে বসে-অমনি চারিদিক হইতে একটা যেন ভয়ানক প্রতিবাদেয় হাঁটগোল উঠিবে। সকলে যেন বলিকে-না, না, এ হয় না! এ হয় না। যাত্রা যে বসে বসে - “কোন উল্লাসের প্রবল শক্তি তাহার বাবাকে যেন নিতান্ত অসহায়, নিরীহ, দুৰ্বল করিয়া দিয়াছে। সাধা নাই যে, তাহার পড়িবার কথা পৰ্যন্ত মুখে উচ্চারণ করে। বাবার জন্য অপুৱা মন কেমন করে। দুৰ্গ বলিল-আপু, তুই মাকে বল না। আমিও দেখতে যাবো। অপু বলে—ম, দিদি কেন আনুক না। আমায়ু সঙ্গে ? চিক দিয়ে ঘিরে দিয়েচে সেইখানে বসবে ? মা বলে-“এখন থাকু ; আমি, ওই ওদের বাড়িয়া মেয়েয়া যাবে, তাদের সঙ্গে যাবে,--আমার সঙ্গে যাবে ve বারোয়াৱী তলায় যাইবার সময় দুৰ্গা পিছন হইতে তাঁহাকে ডাকিল-শোনা অপু ! পরে সে কাছে আসিয়া হাসিহাসি মুখে বলিল-হাত পাত দিকি ! অপু হাত পাতিতেই দুৰ্গা তাহার হাতে দুটা পয়সা রাখিয়াই তাহার হাতটা নিজের দু'হাতের মধ্যে লইয়া মুঠা পাকাইয়া দিয়া বলিল-দু পয়সার মুড়কী কিনে খাস, নয়তো যদি নিচু বিক্রি হয় তো কিনে খাস্। ইহায় দিনসাতেক পূর্বে একদিন অপু আসিয়া চুপি চুপি দিদিকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিল তোর পুতুলের বাক্সে পয়সা আছে? একটা দিবি? দুৰ্গা বলিয়াছিল--কি হবে পয়সা তোর ? অণু দিদির মুখের দিকে চাহিয়া একটুখানি হাসিয়া বলিল--নিচুখাবো-কথা শেষ করিয়া সে পুনরায় লজ্জার হাসি হাসিল। কৈফিয়তের স্বরে বলে-বােষ্টমদের বাগানে ওরা মুচা বেঁধেছে, দিদি, অনেক নিচু পেডেচে, দুখুড়ি-ই-ই-এক পয়সায় ছটা, এই এত বড় বড়, একেবারে সিঁদুরের মত রাঙা । সতু কিনলে, সাঁধন কিনলে-পরে একটু থামিয়া জিজ্ঞাসা করিলআছে দিদি দি দুর্গার পুতুলের বাক্সে সেদিন কিছুই ছিল না, সে কিছু দিতে পারে নাই। অপুকে বিয়াসমুখে চলিয়া যাইতে দেখিয়া সেদিন তাহার খুব কষ্ট হইয়াছিল, তাই কাল বৈকালে সে বাবার কাছে পয়সা দুটা চড়ক দেখিবার নাম করিয়া চাহিয়া লয়। সোনার তাঁটার মত ভাইট, মুখের আবদার না। রাখিতে পারিলে দুর্গার ভাৱী মন কেমন করে। অপু চলিয়া গেলে তাঁহার মা ঘাট হইতে আসিয়া বলে দুগংগা একটা কাজ করতো। স্বাণুদের বাগান থেকে দুটো সাদা গন্ধতোলির পাতা খুঁজে নিয়ে আয় তো-অপুর শরীরটা অসুখ করেছে, একটু বোল করে দোব!-- মায়ের কথায় সে একছুটে রাখুলীয় বাগানে যায়-বাগানে মানুষ-সমান উচু ঘন আগাছার জঙ্গলের মধ্যে গন্ধভেদালির পাতা খুজিতে খুজিতে মনের সুখে মাথা দুলাইয়া পিসিমার মুখে ছেলেবেলায় শেখা একটা ছাড়া আবৃত্তি কর্মে হলুদ বনে বনেনাক-ছবিটি হারিয়ে গেছে দ্বখ নেইকো মনে