পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

st st SS আপনি ছোট করিয়া রাখিয়াছিল, তাহা আজি চলিয়াছে, চলিয়াছে, সম্মুখে চলিয়াছে।--ওই পশ্চিম আকাশের অন্তঃমান সূৰ্য্যকে লক্ষ্য করিয়া-নদ-নদী, দেশ-বিদেশ-ডিঙাইয়া দুটিয়াছে -এই চলিল্লা চলার বাস্তবতাকে সে প্রতি হৃদয় দিয়া অনুভব করিতেছিল আজি!--এই তো সেদিন এক বৎসর আগেও নিশ্চিন্দিপুরের বাড়ীতে কত রাত্ৰে শুইয়া যখনই সে ভাবিত, সুবিধা হুইলে একবার চাকদা কি কালীগঞ্জে গঙ্গাক্সিালে যাইবে, তখনই তাহা পন্থবের ও নিশ্চয়তায় বহু বাহিরের জিনিস বলিয়া মনে হুইযাছে।--আর আজ ? DDSLD ggOD KL DDSCBE gg BKEK EEEE DD BBDu BS SEEEB DD E হুহু শব্দে ঝড়ের বেগে বাহির হইয়া চলিয়া গেল ! অপু বিস্ময়ের সঙ্গে সেদিকে চাহিয়া রহিল। i iBEED YS eeeS BBLLB BBuBk EEu LBDD Yz SDBDB S uBBDSS OCBBDS ওদিকে এঞ্জিন দৌড়িতেছে, বড় বড় মালগাড়ীগুলো স্টেশন কঁপাইয়া প্ৰতি পাঁচমিনিট অন্তর না থামিয়া চলিয়া যাইতেছে। হৈ হৈ শব্দ-এদিকে এক্লিনের সিটির কানে-তাল-ধর আওয়াজ, ওদিকে আর একখানা ধাত্রীগাভী ছাডিয়া যাইতেছে, গার্ড সবুজ নিশান দুলাইতেছে-সন্ধ্যার সময় স্টেশনের পূর্বে পশ্চিমে লাইনের ওপর এত সিগন্যাল ঝাঁকে ফঁাকে—লাল সবুজ আলো জলিতেছে-য়েল, এরিন, গাড়ী, লোকজন - একটু রান্ত্বি হইলে তাঁহাদের কাশী খাহবার গাড়ী আসিয়া বিকট শব্দে প্লাটফৰ্ম্মে দাড়াইল। বিশাল স্টেশন, বেঙ্গায় লোকের ভিড়-সর্বজয়া কেমন দিশেহারা হইয়া গেল।--তাড়া খাইয়া অনভ্যন্ত আড়ষ্ট পায়ে পায়ে স্বামীর পিছনে একখানা কামরার ঘুয়াৱে আসিয়া দাড়াইতেই হরিহয় অতিকষ্ট্রে দুৰ্জয় ভিড় ঠেলিয়া বেপথুমান স্ট্রীকে ও দিশাহারা পুত্ৰকে কায়ক্লেশে গাড়ীর বেঞ্চিতে বসাইয়া দিয়া কুলীর সাহায্যে মোেটগঢ়ি উঠাইয়া দিল । ভোরের দিকে সর্বােজয়ায় তন্দ্ৰ গেল ছুটিয়া। ট্রেন ঝড়ের বেগে ছুটয়াছে’-মাঠ, মাটি, গাছপালা একাকার করিয়া ছুটিয়াছে।--রাত্রের গাড়ী বলিয়া তােহাৱা সকলে এক গাড়ীতেই উঠিয়াছে-হরিহয় তাহাকে মেয়ে-কামরায় দেয় নাই। গাড়ীতে “ভড় আগের চেয়ে কমএক এক বেঞ্চে এক একজন লম্বা হইয়া শুইয়া ঘুমাইতেছে। উপরের বেঞ্চে একজন কাবুলী নাক ডাকাইতেছে। অপু, কখন উঠিয়া ই করিয়া জানােলা দিয়া মুখ বাহির করিয়া একদৃষ্টি চাহিয়া আছে। হরিহর জাগিয়া উঠিয়া ছেলেকে বলিল-ওরকম ক’রে বাইরের দিকে তাকিয়ে থেকে না। খোকা, এখখুনি চোখে কয়লার গুড়ো পড়বে।-- কয়লায় গুড়ে তো নিরীহ জিনিস, চোখ দুটা যদি উপড়াইয়া চলিয়াও যায়। তবুও অপুর সাধ্য নাই যে, জানালায় দিক হইতে এখন সে "চাখ ফিরাইয়া লইতে পারে। সে প্ৰায় সারারাত্রি, ঠায় এইভাবে বসিয়া। বাবা মা তো ঘুমাইতেছিল-সে যে কত কি দেখিয়াছে ! কত স্টেশনে গাড়ী দাঁড়ায় নাই, আলো লোকজন স্বন্ধ স্টেশনটা হল করিয়া হাউইবাজীর মত পাশ কাটাইয়া উড়িয়া চলিয়া যাইতেছিল--রাত্রে কখন তাহার একটু তন্ত্রা আসিয়াছিল, হঠাৎ ঘুম ভাণ্ডিয়া যাইতেই সে মুখ বাহির করিয়া দেখিল যে, গভীর রাত্রির জ্যোৎস্নায় রেলগাড়ীখানা