পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ojať ৫১। ষাং দ্বিীপাদ পক্ষিণ সম্পগুছি হিংসাঃ সুপর্ণ: শঙ্কনা বয়াংলি। বক্সাং বার্তা মাতারিখেয়াতে বজাংসি রুগ্নাংশ্চ্যাবষংশ্চ বৃক্ষান। বাতন্ত প্ৰবামুণৰামছু বাতাটিঃ ॥ “যে পৃথিবীর উপরে বিপদ পাখিসমূহ উডে’ বেড়ায-নানা রকমেব পাখী, রাজহংস, সুপর্ণ ইত্যাদি, পৃথিবীর উপর দিয়ে মাতিরিশ্বা বায়ু ধাবিত হন, বাবু ধূলা উড়িযে” নিয়ে ঘাষ, গাছ ধীয়ে নাভিয়ে’ দেয়, আব্ব ধাবমান বায়ুকে অগ্নিশিখা এধাব-ওধার অনুসরণ করে।” ৫৩। ছোঁশ মা ইদম পৃথিবী চান্তরিক্ষাৎ চ মে ব্যচঃ। অগ্নিঃ সূৰ্য্য আপো মেধাং বিশ্বে দেবাশ্চ সং দদুঃ ॥ “ড়েী, পৃথিবী, আর উভয়েব মধ্যে স্থিত আন্তবিক্ষ-দেশ-এ বা আমাকে এই বিশাল স্থান দিয়েছেন, অগ্নি, সূৰ্য্য, জলসমূহ আর বিশ্বদেবগণ মিলিত হ’যে আমাকে মেধা বা মানসিক শক্তি দিয়েছেন।” ৫৬। যে গ্রাম বদরুণ্যং যা সত্য অধি। ভূম্যাম। যে সংগ্রামাঃ সমিতযন্তেষু চাক বাদেমী তে ॥ “পৃথিবীর উপরে যে সকল গ্রাম বা জনসমষ্টি আছে, যে অৰণ্য আছে, যে সভা বা মিশনস্থান আছে, যেখানে (যুদ্ধের জন্য) গ্রাম-সমূহ বা জনগণ মিলিত হয-যেখানে বিচার ও অ্যালোচনার জন্তু লোকে স্বায়ু, সে-সব স্থানে আমরা তোমার স্তুতি ক’ববো।” ৫৭। অশ্ব ইব রজো দুধবে বি তান জনান যা আক্ষিযন পৃথিবীং যাদজাযত । মশ্রাগ্রেত্বরী ভুবনন্ত গোপী বনম্পতীনাং গৃদ্ভিরোষধীনাম। “ঘোড়া যেমন খুলে ওড়ায-তেমনি মানুষেরা, জন্মের পরে যারা পৃথিবীতে বাস করে, তাদের পৃথিবীই বিকীর্ণ ক’রে দেন, এই পুথিবীই হচ্ছেন নেত্রী আর সমগ্ৰ বিশ্বজনেৰ পালিকা, তিনি আনন্দময়ী, বনস্পতিবুক্ষের রক্ষয়িত্রী, স্মার ওষধিসমূহের পালযিন্ত্রী।” ৬৩। ভূমে মাতির্নি ধেহি। মা ভদ্ৰয়া স্বপ্রতিষ্ঠিতম্। সং বিদ্যানা দিবা কবে শ্ৰিয়াম মা ধেহি ভূত্যাম । “মাতা ভূমি, তুমি আমাকে স্বাভাবে স্বপ্রতিষ্ঠিত করো, তুমি কবি অর্থাৎ ঋবির মত, আকাশের সঙ্গে মিলিত হয়ে আমাকে দুৰ্গতি অর্থাৎ বিশ্ব-প্রকৃতির স্থির আসনে প্ৰতিষ্ঠিত করে।” 粤 “ভূমি”-যা থেকে সবকিছুর উৎপত্তি, আর যিনি বিদ্যমান আছেন, “পৃথিবী”-যিনি সুবিস্তীর্ণ সমতল প্রদেশ, “উৰী”—যিনি বিশাল, “মহী”-যিনি মহতী বা বুহুতী বা বিরাটু-পৃথিবীর এই সমস্ত নাম থেকে আদি অর্থ্য যুগের মানুষের মনে যে সন্ত্রম যে বিস্ময় যে অ্যাকুলতা দেখা দিয়েছিল, তাই যেন প্ৰকাশ পায়। এই সন্ত্রম ও বিশ্বয, আর সঙ্গে সঙ্গে আমরা। “ভূমি-পুত্র” মানুষ বলে আমরাও এই সন্ত্রম আর বিস্ময়ের অধিকারী, এরকম একটা বোধ, একটা mystic feeling বা রহস্তের অনুভূতি মানুষ একেবারে কাটিয়ে উঠতে পারে নি—ঘদিও এখনকার কালে, বিশেষ ক’রে মানুষ নিজেল শক্তির দন্থে পৃথিবীয় প্ৰভু ব'লে সেই বোধ বা অনুভূতির