পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 बिट्रडि-ब्राष्मांदनी করে পখেৱ ধাৱে দাড়াইয়া দুদণ্ড এইসব জ্ঞাখে-কিন্তু স্ত্রীলোকটি সঙ্গে থাকে বলিয়া লজ্জায় * || অপু তো একেবারে অবাকু হইয়া গিয়াছে। এরকম কাণ্ডকারখানা সে কখনো কল্পনায় আনিতে পারে নাই। তাদের বাসা হইতে দশাশ্বমেধ ঘাট বেশী দূৱ নয়, রোজ বিকালে সে সেখানে বেড়াইতে যায়। রোজই যেন চড়কের মেলা লাগিয়াই আছে। এখানে গান হইতেছে, ওখানে কথা হইতেছে, ওদিকে কে একজন রামায়ণ পড়িতেছে, লোকজনের ভিড়, হালিমুখ, উৎসব, অপু, সেখানে শুধু ঘুরিয়া ঘুরিয়া বেড়াইয়া দেখে আর সন্ধ্যার পর বাডী আসিয়া মহাউৎসাহে গল্প করে । কাহাজের চাকম্ব একটি ছোট ছেলেকে কোমরে দাডি বাধিয়া রোজ বেড়াইতে আনে, অপু ভাব করিয়াছে—তার নাম পট, ভাল কথা কহিতে জানে না, ভারী চঞ্চল, তাই পাছে হারাইয়া যায় বলিয়া বাড়ীর লোকেদের এই জেল-কয়েদীর মত ব্যবস্থা। অপু হাসিয়া খুন। চাকরকে অনুরোধ করিয়াছিল, কিন্তু সে ভয়ে দৃডি খুলিতে চাহে না । দ্বন্দী নিতান্ত ক্ষুদ্র ও অবোধ- এ ধরণের ব্যবহার যে প্ৰতিবাদযোগ্য, সে জ্ঞানই তাহার নাই। আসিলে সৰ্ববজয়ী রোজ তাহাকে বকে-একলা একলা ওরকম যাস কেন? শহর বাজার জাযগা, যদি দ্বাস্তা হারিয়ে ফেলিস?--মায়ের আশঙ্কা যে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, একথা সে মাকে হাত নাড়িয়া দুবেলা पक्षाबगांवनश्कांरब बूरांद्र । কাশীতে আসিয়া হরিহরের আয়ও বাডিল ! কয়েক স্থানে ইটাইটি করিয়া সে কয়েকটি মন্দিরে নিত্য পুরাণ-পাঠের কাৰ্য্য যোগাড় করিল। তাহা ছাড়া একদিন সৰ্ব্বজয়ী স্বামীকে বলিল, --স্বশাশ্বমেধ ঘাটে রোজ বিকেলে পুথি নিয়ে বোসো না কেন ? কত ফিকিরে লোক পয়সা আনে, তোমার কেবল বসে বসে পরামর্শ আঁটা স্ত্রীর তাড়া খাইয়া হরিহর কাশীখণ্ডের পুথি লইয়া বৈকালে দশাশ্বমেধ ঘাটে বসে। পুরাণ পাঠ করা তাহার কিছু নূতন ব্যবসায় নহে, দেশে শিষ্যবাড়ী গিয়া কত ব্ৰত-পাৰ্বণ উপলক্ষ্যে সে এ কাজ করিয়াছে। পুথি খুলিয়া স্বস্বরে সে বন্দনা গান নুরু করে বৰ্হপীড়াভিরামং মৃগমদতিলকং কুণ্ডলাক্রান্তগগুং।। . . . . . . . স্মিতাজভাগমুখং স্বাধৱে মুস্ত বেণুং। ...start তিভু মন্দ হয় না । বাসায় ফিরিয়া বালির কাগঙ্গে কি লেখে। স্ত্রীকে বলে শুধু শ্লোক পড়ে গেলে কেউ শুনতে চায় না-গুই বাঙালি কথকটার ওখানে আমার চেয়ে বেশী ভিড় হয়-ভেবেচি গোটকতক পালা লিখবো, গান থাকবে। কথকতার মতও থাকবে, নৈলে লোক জমে সা-বাঙালটায় সঙ্গে পরশু আলাপ হোল, দেবনাগরীয় অক্ষরপরিচয় নেই, শুধু ছড়া কেটে মেয়ে ভুলিয়ে পয়সা নেয়।“আমার রেকাৰী কুড়িয়ে ছ’ আনা, আট আনা, আর ওর একটা টাকার কম নয়-শুনবে একটু কেমন লিখচি ?