পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৩

Sls दिङ्गडि-ब्रश्नावली তাহার ছড়া, গান, শুগামী-সঙ্গীত, পদ, ৱান্ত্রির পর স্বান্ত্রি ধরিয়া গাওনা হইতেছে। কত দূৱদুৱাখার হইতে মাঠ ঘাট ভাঙিয়া লোকে খাবারের পুটুলি বাধিয়া আনিয়া বসিয়া আছে শুনিতে। দলের অধিকারীয় তাহার বাড়ী আসিয়া সাধিয়া পাল চাহিয়া লইয়া গিয়াছে। BB TB BuBBDBB BDSDBB D YSSuBB BDDuDB BYJSAS BD DBDB --না। নিশ্চিন্দিপুরের হরিহর রায় মহাশয়ের। এই দশাশ্বমেধ ঘাটেই বসিয়া তো বাইশ বৎসর পূৰ্ব্বে মনে মনে কত ভাঙা গড়া করিয়াছে --তারপর কবে সে সব ধীরে ধীরে ভুলিয়া গেল-কবে ধীরে ধীরে নূতন খাতাপত্রের তাড়া বাক্সের অনাদৃত, গুপ্ত কোণ আশ্ৰয় করিয়া দিনের আলো হইতে মুখ লুকাইয়া রহিল-যৌবনের স্বাক্ষ্মজাল জীবন-মধ্যাঙ্কে কুয়াসার মত দিগন্তে মিলাইয়া গেল । হারানো যৌবনের দিকে চাহিয়া দেখিলে বুকের মধ্যে কেমন করিয়া ওঠে, কত কথা মনে পড়ে-জীবনের সে সব দিনকে আর একটিবায়ও ফেরানো যায় না ? দশাশ্বমেধ ঘাটে অনেক ছেলের সঙ্গে অপুত্র ভাব হইয়াছে। কিন্তু এখানে তাহার বয়সী। সব ছেলেই স্কুলে পড়ে, সেই কেবল এখনো স্কুলে পডে নাই, নিশ্চিন্দিপুরে মাছ ধৰিয়া ও নৌকায় বেড়াইয়া দিন কাটানো চলিত বটে, কিন্তু এখানে সমবয়সীদের কাছে কিছু পড়ে না। বুলিতে লাজ কয়ে । তাহা ছাড়া দশাশ্বমেধ ঘাটে যেসব ছেলের সঙ্গে তােহাৱা ভাব হইয়াছে, সবাই অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলে। পণ্টৱ দাদা একদিন কথায় কথায় বলিয়াছিল যে তাহার বাবাকে খুব বিদেশে বেড়াইতে হয়। অপু বলিয়াছিল-কেন তোমাদের বুঝি খুব শিস্য-বাড়ী আছে? পক্টর দাদা আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিল-শিষ্য-বাউী ? কিসের ভাই ?••• অপু সদুত্তর দিবার পূর্বেই সে বলিল-আমাৱ বাবা কণ্টক্টরী করেন কি না ? তা ছাড়া কঁথিতে ছোট জমিদারী আছে- তবে আজকাল কিস্তি দিয়ে কিই বা থাকে ? এক একদিন বৈকালে অপু দশাশ্বমেধ ঘাটে বেড়াইতে গিয়া বাবার মুখে পুরাণ-পাঠ শোনে। হরিণশিন্তে শ্বাপদ কর্তৃক নিহত হইলে হরিণবালকের গোহাসিক্ত রাজবি ভারতের করুণ বিরহবেদন ও পরিশেষে তাহার মৃত্যুর কাহিনী যষ্ঠ-মন্দিরের পৈঠার উপর বসিয়া একমনে শুনিতে শুনিতে তাহার চোখে জল আসে-এদিকে আবার যখন সিন্ধু সৌবীরের রাজা রহগণ তাঙ্গার স্বরূপ না জানিয়া ব্ৰহ্মৰি গুৱতকে শিবিকাবাহক নিযুক্ত করেন—তখন হইতে কৌতুহলে ও উৎকণ্ঠার তাহার বুক দুরু দুরু করে, মনে হয় এইবার একটা কিছু ঘটবে, ঠিক ঘটবে। কথকতার শেষে পূরবী স্বরের আশীৰ্বাচনটি তাহার তারী ভাল লাগে কালে বর্ধতু পর্জন্তং পৃথিবী শস্যশালিনী লোকাঃ সন্তু নিরামায়াঃ সন্ধ্যার দিকে মন্দিরে মন্দিরে শখঘন্টার ধ্বনির সঙ্গে অন্তস্থাৰ্য্যের রাঙা আভা ও পূৱৰীয় মুর্কিনার সঙ্গে হরিণ-বালকের রিয়োগবেদনাতুর স্বজবির ব্যথা যেন মিশাইয়া থাকে।