পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-রচনাবলী -ই হাঁ, আহ্বান না। এই তো নিকটেই আমায় বাসা-চলুন না ? কথককে লইয়া হরিহর বাড়ী আসিল। চা খাওয়ার পাট কোন কালে নাই। কাঁড়ায় জল গায়াম করিয়া চা তৈরী হইল। অপু বঁটাসার গ্লাসে চা ও রেকাবিতে কিছু খাবার কখকের সামনে লইয়া আসিল । খাবার দেখিয়া কথক ঠাকুর ভারি খুশি হইল-খাবারের আশা সে করে নাই । --এটি ছেলে বুঝি ! বাৰু, বেশ ছেলে তো আপনার ? ভারী সুন্দর দেখতে-বাই-এস এস বাবা, থাকু থাক কল্যাণ হোক-লোন-চা করিয়েচেন তো মশায় ?--দেখি হরিহর বলিল-আপনার কি ছেলেপিলে সব এখানেই-সংসারই নেই তো ছেলেপিলে?”দশ বিঘে জমিও বেরিযে গেল অথচ ও মূলেও হাতত -জমি ক'বিষে যদি আজ থাকুতো-তো আজ কি এই এতদুৱে আসি।--আপনিও যেমন - এসব কি আর দেশ মশাই ?--বিশ্বেশ্বর অবিহিত মাথার থাকুন-এমন শীতকাল যাচ্ছে মশাইনা একটু খেজুর রস, না একটু গুড় পাটালি-আমার নিজের মশাই দু’কুডি খেজুর গাছ --ལ།iཡོ་ দেশটা কোথায় ?••• —সাতক্ষীরের সন্নিকট-বান্ধুড়ে-শীতলকাটি জানেন? শীতল-কাটির চকত্তিরা খুব ঘরানাহরিহর তামাক সাজিয়া নিজে কয়েক টান দিয়া কথক ঠাকুরের হাতে দিয়া বলিল-খান--কিছু না মশায়, ফাগুন মাসের দিকে তো যাই-একটা বাগান আছে, দিয়ে আসি বিক্রি করে- আমরা আবার শ্রোত্ৰিয কিনা ?--ত জমি দশ বিঘে ছিল তাই বন্ধক দিযে পণ যোগাড় করলাম--বিয়েও করলাম,-মশাই দশ বছর ঘর করলাম-হোল কি জানেন ?-- সন্ধ্যাবেল রান্নাঘরে চাল থেকে কুমড়ো কাটতে গিযেচে-ছিল মশাই সেখানে সাপ আমার জন্যে তৈরী হয়ে-হাতে দিযেচে কামড়ে-আমি আবার নেই সেদিন বাড়ী-কেই বা বন্তি কবরেজ দেখিয়েচে, কেই বা কি করেচে-পাটুলির ঘাট পার হচ্চি-গায্যের মহেশ সাধুর্থ ওপার থেকে আসচে, আমায্য কল্পে-শিগগির বাড়ী যান মশায়-আপনার বাড়ী বড় বিপদকি বিপদ তা বলে না-বাড়ী পৌছে দেখি আগের রাত্রিতেই বোঁ তো গিয়েচে মারে।-এই গেল ব্যাপার মশাই• জমিকে জমিও গেল-এদিকেও- সেই থেকে বলি ঘাই, দেশে থেকে আর কিই বা হবে।-কোথেকে পাবো তিন চার শী টাকা যে আবার বিয়ে করবো ?•••যাই বিশ্বনাথের ওখানে--- অল্পকষ্টটা তো হবে না-থআজ বছর আষ্টেক হয়ে গেল-এক খুড়তুতো ভাই আছে৷--জমিজমা সামান্ত যা একটু আছে, দখল ক’রে বসে আছে—বলে তোমার ভাগ নেই।--বেশ বাপু নেই তো সেই-গোলমালের মধ্যে কখখনো আমি যাবো না-করগে যা দখল । উঠি মশাই,--আপনায় এখানে বেশ চা খাওয়া গেল।--আপনার ছেলেটি কোথায় গেল?-•বেশ ছেলে, খাসা ছেলে পুৱাণো চামড়ায় তালি দেওয়া ক্যান্বিসের জুতা জোড়াটা ঝাড়িয়া লইয়া কথক ঠাকুর পায়ে দিয়া দরজার কাছে আসিল-যাইতে ঘাইতে বলিল-কােলও লাগাবো বামন-ভিক্ষে-দেখি केि ई