Se বিবেচনা মুখ্যতঃ “স্বাস্থঃ সুখায়”-নিজের আত্যন্তর তৃপ্তির জঙ্গই কিছু কিছু লিখে রেখে গিয়েছিলেন- এগুলির প্রকাশনও অংশতঃ হ’য়েছে diary বা “দিনলিপি” রূপে ("স্মৃতির রেখা”, “তৃণাকুর”, “উমিমুখব”, “উৎকৰ্ণ”, “হে "অরণ্য কথা কও”)। এই সমস্ত দিনলিপিতে তঁর চিন্তাধারা একটু গুছিয়ে প্রকাশের আকাঙ্ক্ষা আর চেষ্টা আছে--কিন্তু সারল্যে, নিষ্কপটতায়, আর তার সঙ্গে প্রকৃতি-মাতার আবির্ভাবে, এই রচনাগুলিতেও বিভূতিভূষণের মনের আয় মানসিক প্রবণতায় সুন্দর ছবি প্রতিফলিত হ’য়ে আছে। 事 বিভূতিভূষণের মধ্যে একটা গভীর আধ্যাত্মিকতার ধারা অন্তঃসলিলা কন্ধ-সদীর মতন বইত। তঁর সাধারণ চলা-ফেরায় ধন্বন-ধারণে কথাবার্তায় সেটা তেমন প্ৰকাশ পেত না, BB BBBD S Da SLBBz KB BDB BB SDDD Bt DDL অনুধ্যান-পরায়ণ বা চিন্তাশীল ছিলেন-কাচিৎ-কখনও একটু serious বা গভীর প্রসঙ্গ উঠলে, বিভূতিভূষণ “সে বিষয়ে তীর আস্থার কথা না ব'লে পাবৃতেন না। “ইছামতী’র রামকানাই কবিরাজের মত তিনি নিজে দুই-চারবার “আদি-সংবাদ” শোনবার আর শোনাবার ইচ্ছা! প্ৰকট করেন। আমার নিজের কোনও অনুভূতি নেই, উপলব্ধি নেই, আর এসব বিষয়ে অনাস্থার প্রবৃত্তি-ও যথেষ্ট। রবীন্দ্রনাথের কথার, “ছলনাময়ীর ছলনা” ব’লে, বিচারবিহীন জনসাধারণ্যে প্রচলিত নানা রকমের “আধ্যাত্মিকতা”, যেমন গুরুবা, “গুরু" দেৱ নানা প্রকারের বুজরুগী, ভক্তদের অন্ধ ভক্তির আতিশয্য, ভোজবাজী প্রভৃতি, সব সময়ে যা আমাদের উদভ্ৰান্ত ক’রে থাকে—এসব থেকে উদ্ধার পাবার চেষ্টা আমার মনের মধ্যে সদা-জাগ্ৰত। কিন্তু আমার ধারণায় যেটুকু আমি বুঝত্নেম, আর নানা জাতির শ্রেষ্ঠতম গভীরতক্ষী-চিন্তায় কিছু পাবার আগ্ৰহ নিয়ে যেটুকু পড়াশুনা ক’ত্নতুম, তা থেকে, অন্ধের হস্তীদর্শন স্থায় তার সঙ্গে কথা কইতুম। বিভূতিভূষণ তঁর “দেবযান” উপন্যাসে এ সম্বন্ধে তীর বিশ্বাস লিপিবদ্ধ ক’রে গিয়েছেন। তঁর সব কথা বুঝি না, সব নিদৰ্য ঠিক মানতে পারি না। তবে এইটুকু বোধ মনের মধ্যে এসে যাচ্ছে, কেবল পরিদৃশ্যমান জড়াজগৎ নিয়ে য’সে থাকা চলে না , বিজ্ঞানও যেন বলছে-এক transcendent and immanent frtfür w fffw wyw zes wizę, cy stoi হচ্ছে সর্বন্ধিয়, যার মধ্যে আমরা সকলেই আছি-যে সত্তার মুখ্য রূপ হচ্ছে “প্রজ্ঞান” বা সম্পূর্ণ জ্ঞান, আর যে সত্তার সঙ্গে আমাদের প্রধান যোগসূত্র হচ্ছে আমাদের “রভসানন্দানুভূতি” যাকে rapturous amazemento'o Einstein Wilorofooto forcer || alo rapturous amazement বিভূতিভূষণের মধ্যে ছিল--বিশ্বপ্রকৃতিকে নিয়ে যতটা, মানুষকে নিয়ে বোধ হয় ততটা নয়। তবে মানুষকে তিনি অবহেলা বা উপেক্ষা করেন নি। আমাদের জগতে আসার উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই একটা কিছু আছে, তবে আমরা তা জানি না ; আর অনঙ্গ পরিবর্তনই হচ্ছে অস্তিত্বের ধর্ম, বিশ্বপ্ৰপঞ্চে কিছুই কখনও স্থির নেই-মানুষের মধ্যেই তো ক্ৰমাগত পরিবর্তন চলেছে। যা হোক, এসব বিষয়ে একটা ঈহা বা আকুতি না থাকলে, আমার মনে হুয়া সাহিত্যেৱ কোনও সার্থকতা কোনও চিরঞ্জন মূল্য থাকে না। বিভূতিভূষণের মধ্যেও
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।