R9 विठ्ठडि-ब्रष्मांवगैी হুদী-লেদিন যখন লীলা মজলিলে হাসির কবিতা বলিতেছিল, তখন অপু একই তাহার মুখের দিকে চাহিয়াছিল, কবিতা সে ভাল শোমে নাই। লীলা বলিল--তোমরা কতদিন এসেচ আমাদের বাড়ী ? সেবায় এসে তো দেখিনি ? --অময়া ফাগুন মাসে এইচ, এই ফান্তন মাসে -কোথেকে এসেচ তোমায়া ? --কাণী থেকে । আমার বাবা সেইখনে মাৱা গেলেন কি না-তাই অপুৱা যেন বিশ্বাস হইতেছিল না। সারা ঘটনাটা এখনও যেন অবাস্তব, অসম্ভব। ঠেকিতেছিল। লীলা, মেজ-বৌরাণীর মেয়ে লীলা তাহাকে ভাকিয়া যাচিয়া তাহার সঙ্গে কথা কহিতেছে! খুশিতে তাহার সারা গা কেমন কৰিতে লাগিল। লীলা বলিল-চল, আমার পড়ার ঘরে গিযে বসি, মাষ্টার মশায়েব আসবার সময় হয়েচে سیاه ح অপু জিজ্ঞাসা করিল-আমি যাবো ? লীলা হাসিয়া বলিল-বারে, বলচি তো চল, তুমি তো ভারী লাজুক -এস-তুমি দেখোনি আমায় পড়ার ঘর ? ওই পশ্চিমের দালানের কোণে ?-- ঘৱ বেশী বড় নয়। কিন্তু বেশ সাজানো । একটি ছোট পাথরের টেবিলের দুপাশে দুখানা চামড়ার গদি আঁটা চেয়ার পাতা। একখানা বড় ছবিওয়ালা ক্যালেণ্ডার। সবুজ কাচকত্বাৱ খোলে একটা ছোট টাইমপিস, ঘড়ি। একটা বই রাখিবায় ছোট দেৱাজ। চারপাঁচখানা বঁধানো ফটোগ্রাফ এ দেওয়ালে, ও দেওয়ালে। লীলা একটা চামড়ার এ্যাটাসি কেস খুলিয়া বলিল-এই ভাখো আমার জলছাৰি, মাষ্টর মশান্য কিনে দিয়েচেন, ভাগ শিখলৈ আরও দেবেন, জালছবি গুহঠাতে জানো ? অপু বলিল-তুমি ভাগ জানো না ? --তুমি জানো ? ভাগ কযেছ ? অপু তাচ্ছিল্যের সহিত ঠোঁট উল্টাইয়া বলিল-কবে।-- এই ভঙ্গীতে অপুর স্বন্দর মুখ আরো ভায়ী সুন্দয় দেখাইল। লীলা হাসিয়া উঠিয়া বলিল-তুমি বেশ মজার কথা বলতে পারে তো? পয়ে লে। অপুর ঠোঁটের নীচে হাত দিয়া বলিল-এটা কি ? তিল ? বেশ দেখায় তো তোমার মুখে, তিলে বেশ মানিয়েছে, তোমার বয়স কত ? তেরো ? আমার এগারো-তোমাৰ চেয়ে দু বছরের ছোট অপু বলিল-তুমি সেদিন মুখস্ত বলেছিলে, সেই একটা হাসির ছড়া, বেশ লেগেচে৷ |- . -ভুমি জানো কবিতা ? -জানি-ৰাবার একখানা বই আছে, তা থেকে শিখিচি--- st ffچس
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/২৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।