SR বিভূতি-রচনাবলী - | লীলা একটু দুঃখিত হইল। বলিল-নাও না ? আমি আর একটা বাবার কাছ থেকে নেবো, নাও তুমি এটা, দেখি তোমার হাত ? বাস!••• আর ফেরত দিতে পারবে না। ব্যাপারটা অপুত্র সম্পূর্ণ অবাস্তব ঠেকিল। সে বলিল-কিন্তু তোমায় যদি কেউ বুকে ? লীলা বলিল-ফাউন্টেন পেন দেবার জন্যে ? কেউ বকুবে না, আমি মাকে বলবো অপূৰ্বকে দিয়ে দিলাম-বাবার কাছে থেকে আর একটা নেবো-বাবার ফটো দেখবে ?***ওই ক্যালেণ্ডায়ের পাশে টাঙানো-দাড়াও পাড়ি তাহার পর লীলা আরও দু’তিনখানি ফটো দেখাইল । আলমারি হইতে খানকতক বই বাহির করিয়া বলিল-মাষ্টায় মশায় কিনে দিয়েচেন-তুমি কোন স্কুলে পড়ো ? অপু কাশীতে সেই ঘা দিনকতক স্কুলে পড়িয়াছিল, আর ঘটে নাই। বলিল-কাশীতে পড়তাম, এখন আর পড়ি নৌ-কথাটা বলিতে সে সঙ্কোচ বোধ করিতেছিল বলিয়াই শেষের কথাটা এমন সুরে বলিল, যেন না পড়িয়া খুব একটা বাহাদুরী করিতেছে। একখানা বইয়ে অনেক ছবি। অপু বলিল-বইখানা পড়তে দেবে একবাল্পটি ? লীলা বলিল—নাও না ? আমার আরও অনেক ছবির বই আছে, তিন বছরের বাধানো মুকুল আছে, মায়ের ঘরের verificve, qtar cartri, etcvs l অপু বলিল-আমার কাছেও বই আছে, আনবো ? লীলা বলিল-চলে, তোমাদের ঘরে ঘাইলীলাকে নিজেদের ঘরে লইয়া যাইতে অপুর লঙ্গা করিতে লাগিল। আসবাবপত্র কিছু নাই, ছেড়া,বালিসের ওয়াঙ, আলনায় গায়ে দেওয়ার কঁথা। লীলা। তবুও গেল। অপু নিজের টিনের বাক্সটা খুলিয়া একখানা কি বই হাসিহাসি মুখে দেখাইয়া গর্বের স্বরে বলিল-আমার লেখা, এই স্থাখো ছাপায় অক্ষরে লেখা আছে আমায় নাম লীলা তাড়াতাড়ি হাত হইতে লইয়া বলিল-দেখি দেখি ? সেই কাশীর স্কুলের ম্যাগাজিনখানা । হরিহর ছেলের গল্প ছাপানো দেখিয়া যাইতে পারে নাই, তাহার মৃত্যুর তিন দিন পরে কাগজ বাহিঃ হয়। লীলা পড়িতে লাগিল, অপু তাহার পাশে বসিয়া উৎফুল্প মুখে শীলার চোখের দৃষ্টি অনুসরণ করিয়া পঠিত লাইনগুলি নিজেও মনে মনে একবার করিয়া পডিয়া যাইতেছিল। শেষ করিয়া লীলা প্ৰশংসমান চোখে গুলপুর মুখের দিকে খানিকট চাহিয়া থাকিয়া বলিল-বেশ তো হয়েচে, আমি এখানা নিয়ে যাই, মাকে Øሻፃiçማ」- অপুত্ৰ ভাৱী লক্ষ্মজ্ঞা হইল। বলিল-লা- লীলা শুনিল না। কাগজখানা হাতে করিয়া ব্ৰাখিল। বলিল-নিশ্চিন্দিপুর লেখা আছে, নিশ্চিন্দিপুর কোথায় ? --নিশ্চিন্দিপুর ষে আমাদের গা-সেইখানেই তো আমাদের আসল বাড়ী-কাশীতে তো মোটে বছর খানে কি হ’ল আমরা
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/২৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।