পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sloje এই রাগের একজন প্রধান কলাবিৎ শিল্পী রূপেই ভারতের তথা বিশ্বের সাহিত্য-লতায় অগ্রাসন দিতে হয় । 事 鲁 ইতারার পুত্ৰ ঋষি মহীদাস (বা মহিদাস)। ঐতরেয়, আরণ্যক উপনিষদের যুগের একজন প্ৰখ্যাত তত্ত্বজয় ব্ৰক্ষীবিৎ ছিলেন। আচাৰ্য্য সায়ণ ব’লে গিয়েছেন, মহীদাসের মাতা ইতয়ার কুলদেবতা ছিলেন ভূমি বা পৃথিবী। “ইতারা" এই নাম থেকে অনুমান হয়, ইনি হয় তো অর্ধ-কক্সা ছিলেন না, অনাৰ্য্য-বংশ-জাতা ছিলেন। প্রাচীন কালে প্ৰচলিত অঙ্গুলোম-বিবাহে, আর স্কাচিৎ প্ৰতিলোম-বিবাহে, আৰ্য্য-অনাৰ্য্যেয় মিলন আর মিশ্ৰণ আৰ্য্য-হিন্দু জাতির উদ্ভব আর বিকাশকে নোতুন পথে চালিত করেছিল। আৰ্য্যের দেবতারা ছিলেন “দিবৌকসঃ", মুখ্যতঃ স্বর্পোকের বা আকাশের অধিবাসী তারা ছিলেন ; আর অনার্ধের পূজা-অৰ্চা ছিল পৃথিবী আর মর্ত্যভূমির দেবতাদের নিয়ে, গিরি-পৰ্বত-বন-জঙ্গলেই তার দেবতার বাস ছিল। অনাৰ্য্য মাতার আরাধ্যা দেবী ভূমি বা মহীর নামেই হয়তো ইত্যরার পুত্র ঐতরেয়, “মহীদাস” নামে পরিচিত হন (যদিও “মহিদাস” নামটির অন্য ব্যাখ্যা-ও আছে-“মহি” অর্থাৎ, “মহান পদ্মব্রিহ্মের দাস”)। মহীদাসের পিতা মহীদাসকে অবজ্ঞা করতেন। মায়ের প্রার্থনায় ভূমি-দেবী মহীদাসকে দিব্যজ্ঞান প্ৰদান করেন, তার ফলে তিনি ঋষি আর ব্ৰহ্ম-প্রবক্তা হন। বিভূতিভূষণেরও মনে ব্ৰহ্ম-প্ৰবক্তার ধরনের একটা উপলব্ধি ছিল বলে মনে হয়। এইজন্য বিভূতিভূষণের নামের সঙ্গে একটা বিরূদ জুড়ে দিয়ে সংক্ষেপে তার বর্ণনা-প্ৰশক্তি করতে ইচ্ছা হয়-তিনি হ’চ্ছেন সত্যকার “মহীদাস আরণ্যক” বিভূতিভূষণ ॥ (N) বিভূতিভূষণের “আরণ্যক।” S L ELL LBLLLLSLL LBL EEiD DBtE SBt DBDL LL DBD LLLS এপ্রিল-সেপ্টেম্বর ১৯৫৯ সালে প্ৰকাশিত ইংরেজি প্ৰবন্ধের আলাধায়ে-পরিবর্তিত ও পুনর্লিখিত ) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আৱশ্যক” বইখানি বাঙলা তথা ভারতীয় সাহিত্যের অন্যতম রত্নস্বরূপ একখানি ছোট বই।--আর বলতে গেলে, পৃথিবীর যে কোনও ভাবার সাহিত্যের কথা তুললেও এইরকম অপূর্ব বই পাওয়া কঠিন। বইখানি হচ্ছে গদ্যে লেখা অরণ্য-সম্বন্ধে একটি খণ্ডকাব্য-গীতিকবিতাও বলা যায়; কালিদাসের “মেঘদূত” যেমন-প্ৰকৃতি, মেক্ষাবৃষ্টি পাহাড়পৰ্বত নদ-নদী গাছ-পালা, আর সঙ্গে-সঙ্গে মানুষের জীবন-সম্বন্ধেও এক অতি মনোহয় খণ্ডকবিতা বা গীতিকবিতা রূপে সাহিত্য রসিকদের হৃদয়েৱ ধন মাথার মণি হয়ে আছে। ক্রমবর্ধমান মানব-পরিবারের বাসভূমির জন্য যে আদিম এবং অহল্যা বনভূমি ক্ৰমে-ক্রমে অবলুপ্ত হতে চলেছে।--তারই পৃষ্ঠভূমিকায়, আরণ্য পরিবেশ এবং আটবিক গ্রানের মধ্যে, এই খইয়ে গ্ৰন্থকায়, মানুষের জীবনেয়, মানুষেয় চরিত্রের, তার মনের আয় কাৰ্য্যেয় ৰে জন্ম