S& বিভূতি-রচনাবলী ৰোগ্য নয়, সে দেশের পথের ধুলো এমন কি পুণ্য কয়েছে মা, যে তুমি সেখানে পড়ে থাকতে যাবে ? খাওয়া শেষ হ’লে প্ৰদ্যুম্ন বিদায় চাইলে। দেবীর চোখে হতাশার দৃষ্টি ফুটে উঠল, বললেন-থাকো না কেন রাত্রে! আমি রাজে পায়স রোধে দেব। গ্রন্থায় জিজ্ঞাসা করলে-আপনার এখানে এক রাত্রে থাকতে ভয় কয়ে না ? -খুব ভয় করে। ওই বেতের বনে অন্ধকারে কি যেন নড়ে, ভয়ে আমি দোয় পারিনে। ঘুম হয় না, সমস্ত স্নাত বসেই থাকি। A প্ৰস্থ্যয়ের হাসি পেল, ভাবলে রাত্রে একা থাকতে ভয় করে বলে পায়সোয় লোভ দেখিয়ে দেবী তাকে সঙ্গে রাখতে চান। সে বললে,-আচ্ছা রাত্রে থাকৃব। cबौद्ध झूर्ष आनन ऐधन दल । সমস্ত স্নাত সে কুটীরের বাইয়ে খোলা হাওয়ায় বসে কাটালে । দেবীও কাছে বলে রইলেন। বললেন- এমন জ্যোৎ মা, আমি কিন্তু ভয়ে বাইরে আসতে পারিনে, ঘরের মধ্যে বসে রাত কাটাই । দেবীর ব্যাপার দেখে প্ৰত্যুম্ন অবাক হয়ে গিয়েছিল। হ'লেই বা মন্ত্রশক্তি, এতটা আত্মDDDB LLSL GG BDDB BBBD gDDD DBD নানা গল্পে সমস্ত রাত কাটল, ভোৱ হ’লে সে বিদায় চাইলে। দেবী বলে দিলেন--সন্ন্যাসী এলে একদিন আবার এস। সেই দিন থেকে প্রতি রাত্রে সে দেবীর অলক্ষিতে পাহাড়ের নীচে বসে কুটীরের দিকে চেয়ে পাহারা রাখত। তার তরুণ বীর হৃদয় এক ভীরু মায়ীকে একা বনের মধ্যে ফেলে রাখার বিরুদ্ধে বিজোহ তুলেছিল। দিশ-পনেয় দিন কেটে গেল। এক-একদিন গ্ৰন্থায় অনন্ত, দেবী অনেক স্নাতে এক গান গাইছেন-লে গান পৃথিবীর মানুষের থান নয়, সে গান প্ৰাণধারার আদিম বন্ধুণার গান, সৃষ্টিমুখী নীহারিকদের গান, অনন্ত আকাশে দিকুহারা কোন পখিক তারার গান । একদিন দুপুর বেলা কে তাকে বললে—তুমি ৰে গো-বৈন্থের কথা বলছিলে, তাকে এইমাত্র দেখে এলাম, পথের ধারে পুকুরে সে স্থান করছে। শুনে ছুটতে ছুটতে গিয়ে পুকুরের ধারে উপস্থিত হ’ল। দেখলে সত্যই গুণাচ্য, পুকুয়ের ধারে বস্ত্ৰাদির পুটুলি নামিয়ে রেখে পুকুরে আন করতে নেমেছেন। সে অপেক্ষা করতে up একটু পয়ে গুণাঢ্য বস্ত্র পরিবর্তন করে উপরে উঠে প্ৰন্ধ্যায়কে দেখে কেমন যেন হয়ে গেলেন। বললেন-ভূমি এখানে ? প্রস্থায় বললে-আমি কেন তা বুঝতে পারেননি ।
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৩০৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।